ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আন্দোলন,আ’লীগের প্রতিক্রয়া

কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলন করে সরকার পতনের ক্ষমতা বিএনপির নেই, এটা একটা ভীরু কাপুরুষের দল, মাঝে মধ্যে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে এসে রাজপথে উঁকি মারে। আমরা এলে পালিয়ে যায়। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করার চেষ্টা করলে বিএনপিকে রাজপথেই মোকাবেলা করবে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। তিনি বলেন, বিএনপি কি আন্দোলন করবে তা আমাদের জানা আছে। অরাজকতা করলে রাজপথেই জবাব দেয়া হবে। জাহাঙ্গীর আলম সরকার আরও বলেন, এক সময় কুমিল্লাকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখন সে শক্তি আর তাদের নেই। কুমিল্লায় বিএনপি এখন একটা ছন্দহারা দেউলিয়া দল। আমরা যখন বিরোধী দলের রাজনীতি করেছি পুলিশকে মোকাবিলা করেই আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হয়েছি কিন্তু বিএনপি পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যায়। এরা কি রাজনীতি করবে? রাজনীতির মাঠে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই আমাদের প্রতিহত করতে পারেনি এখন কিভাবে করবে। আন্দোলনের নামে বিএনপি ও তার দোসররা জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ খুন ও মানুষের সম্পদ বিনষ্ট করছে যা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। জাহাঙ্গীর সরকার বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। এদিকে জেলার একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, বিএনপি-জামায়াত চক্র যদি আন্দোলনের নামে এবার কোনো অরাজকতা করার চেষ্টা করে তাহলে কুমিল্লা উত্তর জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মী সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রস্তুত আছে।আন্দোলন ঠেকানোর ক্ষমতা আলীগের নেই : আক্তারুজ্জামান সরকারকুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধিকুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সরকার যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার পতনের চূড়ান্ত ডাক দিলে আমাদের বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আমরা চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় আছি, আমাদের আন্দোলন কৌশল সম্পর্কে আওয়ামী লীগের ধারণা নেই। সুতরাং ঠেকানোর ক্ষমতাও আওয়ামী লীগের নেই। কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির সমর্থক শতকরা ৮০ ভাগ। আওয়ামী লীগের পুলিশ বাহিনী ছাড়া আর কিছুই নেই। পুলিশ ছাড়া আমাদের মিছিল-মিটিং দেখলে এরা ভয়ে পালিয়ে যায়। আকতারুজ্জামান বলেন, কুমিল্লায় শাসক দলকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের পুরো সংগঠন লাগবে না, ভ্রাতৃপ্রতিম দুয়েকটা সংগঠনের কাছেই এরা টিকে থাকতে পারবে না। এবারের আন্দোলন, দেশ রক্ষার আন্দোলন, তাই জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৫ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানটিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ভোটের অধিকার হরণ করেছে। অবৈধ হাসিনা সরকারকে পতন ঘটাতে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সব নেতৃবৃন্দ এখন প্রস্তুত। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচন যেমন দেশের জনগণ প্রত্যাখান করেছে তেমনি আন্তর্জাতিক মহলেও অস্বীকৃত রয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির সব জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা হবে। আক্তারুজ্জামান বলেন, খালেদা জিয়া চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিলে আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

ট্যাগস

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আন্দোলন,আ’লীগের প্রতিক্রয়া

আপডেট সময় ০৭:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলন করে সরকার পতনের ক্ষমতা বিএনপির নেই, এটা একটা ভীরু কাপুরুষের দল, মাঝে মধ্যে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে এসে রাজপথে উঁকি মারে। আমরা এলে পালিয়ে যায়। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করার চেষ্টা করলে বিএনপিকে রাজপথেই মোকাবেলা করবে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। তিনি বলেন, বিএনপি কি আন্দোলন করবে তা আমাদের জানা আছে। অরাজকতা করলে রাজপথেই জবাব দেয়া হবে। জাহাঙ্গীর আলম সরকার আরও বলেন, এক সময় কুমিল্লাকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখন সে শক্তি আর তাদের নেই। কুমিল্লায় বিএনপি এখন একটা ছন্দহারা দেউলিয়া দল। আমরা যখন বিরোধী দলের রাজনীতি করেছি পুলিশকে মোকাবিলা করেই আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হয়েছি কিন্তু বিএনপি পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যায়। এরা কি রাজনীতি করবে? রাজনীতির মাঠে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই আমাদের প্রতিহত করতে পারেনি এখন কিভাবে করবে। আন্দোলনের নামে বিএনপি ও তার দোসররা জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ খুন ও মানুষের সম্পদ বিনষ্ট করছে যা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। জাহাঙ্গীর সরকার বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। এদিকে জেলার একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, বিএনপি-জামায়াত চক্র যদি আন্দোলনের নামে এবার কোনো অরাজকতা করার চেষ্টা করে তাহলে কুমিল্লা উত্তর জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মী সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রস্তুত আছে।আন্দোলন ঠেকানোর ক্ষমতা আলীগের নেই : আক্তারুজ্জামান সরকারকুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধিকুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সরকার যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার পতনের চূড়ান্ত ডাক দিলে আমাদের বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আমরা চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় আছি, আমাদের আন্দোলন কৌশল সম্পর্কে আওয়ামী লীগের ধারণা নেই। সুতরাং ঠেকানোর ক্ষমতাও আওয়ামী লীগের নেই। কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির সমর্থক শতকরা ৮০ ভাগ। আওয়ামী লীগের পুলিশ বাহিনী ছাড়া আর কিছুই নেই। পুলিশ ছাড়া আমাদের মিছিল-মিটিং দেখলে এরা ভয়ে পালিয়ে যায়। আকতারুজ্জামান বলেন, কুমিল্লায় শাসক দলকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের পুরো সংগঠন লাগবে না, ভ্রাতৃপ্রতিম দুয়েকটা সংগঠনের কাছেই এরা টিকে থাকতে পারবে না। এবারের আন্দোলন, দেশ রক্ষার আন্দোলন, তাই জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৫ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানটিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ভোটের অধিকার হরণ করেছে। অবৈধ হাসিনা সরকারকে পতন ঘটাতে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সব নেতৃবৃন্দ এখন প্রস্তুত। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচন যেমন দেশের জনগণ প্রত্যাখান করেছে তেমনি আন্তর্জাতিক মহলেও অস্বীকৃত রয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির সব জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা হবে। আক্তারুজ্জামান বলেন, খালেদা জিয়া চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিলে আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।