ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় গ্রেনেড ধ্বংসের শব্দে শতাধিক স্কুলছাত্রী আহত

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনা থানায় উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ধ্বংস করার সময় বিকট শব্দে আতংকিত হয়ে শতাধিক স্কুল ছাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ২৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হোমনা কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। থানা ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের ভবন নির্মাণকালে মাটির নিচ থেকে সাতটি অব্যবহূত তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত এসব গ্রেনেড আজ দুপুর সাড়ে বারোটার সময় সেনাবাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয় দল থানার পাশে তিতাস নদীর পাড়ে গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করে। এ সময় এর বিকট শব্দে পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন কেঁপে উঠে। এতে ভয়ে আতংকিত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং শ্রেণি কক্ষ থেকে দ্রুত বের হতে গিয়ে কেউ লাফিয়ে পড়ে কেউবা পায়ের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় ভয়ে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে আশে পাশের লোকজন ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এঘটনার খবর শুনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র এ্যাড. নজরুল ইসলাম, স্কুল গভর্ণিং বডির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল ফয়সলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার লোক হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

হোমনায় গ্রেনেড ধ্বংসের শব্দে শতাধিক স্কুলছাত্রী আহত

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনা থানায় উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ধ্বংস করার সময় বিকট শব্দে আতংকিত হয়ে শতাধিক স্কুল ছাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ২৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হোমনা কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। থানা ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের ভবন নির্মাণকালে মাটির নিচ থেকে সাতটি অব্যবহূত তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত এসব গ্রেনেড আজ দুপুর সাড়ে বারোটার সময় সেনাবাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয় দল থানার পাশে তিতাস নদীর পাড়ে গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করে। এ সময় এর বিকট শব্দে পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন কেঁপে উঠে। এতে ভয়ে আতংকিত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং শ্রেণি কক্ষ থেকে দ্রুত বের হতে গিয়ে কেউ লাফিয়ে পড়ে কেউবা পায়ের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় ভয়ে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে আশে পাশের লোকজন ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এঘটনার খবর শুনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র এ্যাড. নজরুল ইসলাম, স্কুল গভর্ণিং বডির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল ফয়সলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার লোক হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।