ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করলেই ইরাকে যাবজ্জীবন!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো সম্পর্ক অপরাধ। তার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে। আইন পাস ইরাকের পার্লামেন্টে। 

ইসরায়েলকে কখনোই সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেনি ইরাক। ইহুদি দেশটির সঙ্গে কখনো কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। এবার সেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই আরো কঠোর আইন পাস হলো ইরাকের আদালতে।

আইনসভায় যে বিলটি পেশ করা হয়েছিল, তাতে বলা ছিল, ইরাকের কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কে গেলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। 

ইরাকের ৩২৯ আসনের পার্লামেন্টে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৭৫টি। অর্থাৎ, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। ইরাকের সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও এত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া দল রাস্তায় নেমে উদযাপন করে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের শেষ অধ্যায়ে একের পর এক মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে সমঝোতা হতে থাকে ইসরায়েলের। অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপে এঘটনা ঘটে। বাইডেনের আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। সেই পরিস্থিতিতে ইরাকের এই নতুন আইন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরাকের এই আইনে বলা হয়েছে, দেশের কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবেও ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কে যেতে পারবে না। ইরাকে কাজ করতে আসা বিদেশি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।

সম্প্রতি উত্তর ইরাকে কুর্দদের হাতে থাকা এলাকায় একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে ইরাক। তাদের বক্তব্য, ওই অঞ্চলে ইসরায়েল ঘাঁটি তৈরি করেছে। কুর্দ এবং সুন্নি দলগুলির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেছে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারি দল। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করলেই ইরাকে যাবজ্জীবন!

আপডেট সময় ০৩:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো সম্পর্ক অপরাধ। তার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে। আইন পাস ইরাকের পার্লামেন্টে। 

ইসরায়েলকে কখনোই সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেনি ইরাক। ইহুদি দেশটির সঙ্গে কখনো কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। এবার সেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই আরো কঠোর আইন পাস হলো ইরাকের আদালতে।

আইনসভায় যে বিলটি পেশ করা হয়েছিল, তাতে বলা ছিল, ইরাকের কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কে গেলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। 

ইরাকের ৩২৯ আসনের পার্লামেন্টে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৭৫টি। অর্থাৎ, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। ইরাকের সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও এত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া দল রাস্তায় নেমে উদযাপন করে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের শেষ অধ্যায়ে একের পর এক মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে সমঝোতা হতে থাকে ইসরায়েলের। অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপে এঘটনা ঘটে। বাইডেনের আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। সেই পরিস্থিতিতে ইরাকের এই নতুন আইন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরাকের এই আইনে বলা হয়েছে, দেশের কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবেও ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কে যেতে পারবে না। ইরাকে কাজ করতে আসা বিদেশি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।

সম্প্রতি উত্তর ইরাকে কুর্দদের হাতে থাকা এলাকায় একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে ইরাক। তাদের বক্তব্য, ওই অঞ্চলে ইসরায়েল ঘাঁটি তৈরি করেছে। কুর্দ এবং সুন্নি দলগুলির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেছে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারি দল।