ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিডনির সংক্রমণ অবহেলা নয়

কিডনি সংক্রমণ আর প্রস্রাবে সংক্রমণ এক বিষয় নয়। প্রস্রাবের সংক্রমণ পরিচিত একটি সমস্যা, অনেকে এতে ভোগেন। বিশেষত নারী, ডায়াবেটিক, প্রোস্টেট ও কিডনিতে পাথর আছে এমন রোগীদের প্রস্রাবে বেশি সংক্রমণ হয়। মূত্রনালি বা বড়জোর মূত্রথলি সংক্রমিত হয় এ সমস্যায়। কিন্তু এই সংক্রমণ যখন কিডনিকেও আক্রান্ত করে, তখন বিষয়টা একটু জটিলই হয়ে পড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলে পাইলোনেফ্রাইটিস।
সাধারণত প্রস্রাবের সংক্রমণের মতোই এ জটিলতার শুরুটা। জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, তলপেটে একটু অস্বস্তি ইত্যাদি। ঠিকঠাক চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণই ছড়িয়ে পড়ে ও এক বা দুটি কিডনিকেই আক্রমণ করে। তখন দেখা দেয় কোমরের পেছন দিকে ব্যথা, কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ মাত্রার জ্বর, বমি বা বমি ভাব, এমনকি সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়লে রোগীর চেতনাও কমে আসতে পারে। প্রস্রাবের রং লাল ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। রোগী অতি মাত্রায় দুর্বল ও অসুস্থ বোধ করতে পারেন।
পাইলোনেফ্রাইটিস হলে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক শিরায় দিতে হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা কিডনিতে ফোঁড়ার মতো হতে পারে। এগুলো বেশ জটিল ও গুরুতর সমস্যা ও রোগীর জীবনাশঙ্কাও থাকে।
কিডনি সংক্রমণ এড়াতে হলে যেকোনো প্রস্রাবের সমস্যা ও অস্বস্তির দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রস্রাব কালচার করে সঠিক
মাত্রায় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে, আন্দাজের ওপর বা দোকানির কথায় নয়।
বারবার সংক্রমণ হলে রক্তে শর্করা, প্রোস্টেটের সমস্যা বা কিডনিতে পাথর আছে কি না দেখতে হবে। জন্মগত কিডনি ত্রুটির কারণেও এমন হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: শিশুদের বুকে ব্যথা হলে কি হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা করতে হবে?
উত্তর: শিশুদের যে হৃদ্‌রোগ হয় না, তা নয়। তবে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের বুকে ব্যথার সঙ্গে হৃদ্‌রোগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বুকে ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট হওয়া, নীল হয়ে যাওয়া বা জ্ঞান হারানো ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে অবশ্যই হৃদ্‌রোগের কথা বিবেচনায় আনতে হবে।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কিডনির সংক্রমণ অবহেলা নয়

আপডেট সময় ০৫:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৬

কিডনি সংক্রমণ আর প্রস্রাবে সংক্রমণ এক বিষয় নয়। প্রস্রাবের সংক্রমণ পরিচিত একটি সমস্যা, অনেকে এতে ভোগেন। বিশেষত নারী, ডায়াবেটিক, প্রোস্টেট ও কিডনিতে পাথর আছে এমন রোগীদের প্রস্রাবে বেশি সংক্রমণ হয়। মূত্রনালি বা বড়জোর মূত্রথলি সংক্রমিত হয় এ সমস্যায়। কিন্তু এই সংক্রমণ যখন কিডনিকেও আক্রান্ত করে, তখন বিষয়টা একটু জটিলই হয়ে পড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলে পাইলোনেফ্রাইটিস।
সাধারণত প্রস্রাবের সংক্রমণের মতোই এ জটিলতার শুরুটা। জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, তলপেটে একটু অস্বস্তি ইত্যাদি। ঠিকঠাক চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণই ছড়িয়ে পড়ে ও এক বা দুটি কিডনিকেই আক্রমণ করে। তখন দেখা দেয় কোমরের পেছন দিকে ব্যথা, কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ মাত্রার জ্বর, বমি বা বমি ভাব, এমনকি সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়লে রোগীর চেতনাও কমে আসতে পারে। প্রস্রাবের রং লাল ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। রোগী অতি মাত্রায় দুর্বল ও অসুস্থ বোধ করতে পারেন।
পাইলোনেফ্রাইটিস হলে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক শিরায় দিতে হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা কিডনিতে ফোঁড়ার মতো হতে পারে। এগুলো বেশ জটিল ও গুরুতর সমস্যা ও রোগীর জীবনাশঙ্কাও থাকে।
কিডনি সংক্রমণ এড়াতে হলে যেকোনো প্রস্রাবের সমস্যা ও অস্বস্তির দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রস্রাব কালচার করে সঠিক
মাত্রায় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে, আন্দাজের ওপর বা দোকানির কথায় নয়।
বারবার সংক্রমণ হলে রক্তে শর্করা, প্রোস্টেটের সমস্যা বা কিডনিতে পাথর আছে কি না দেখতে হবে। জন্মগত কিডনি ত্রুটির কারণেও এমন হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: শিশুদের বুকে ব্যথা হলে কি হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা করতে হবে?
উত্তর: শিশুদের যে হৃদ্‌রোগ হয় না, তা নয়। তবে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের বুকে ব্যথার সঙ্গে হৃদ্‌রোগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বুকে ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট হওয়া, নীল হয়ে যাওয়া বা জ্ঞান হারানো ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে অবশ্যই হৃদ্‌রোগের কথা বিবেচনায় আনতে হবে।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ