ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুপ্রস্তাবের অভিযোগে কুমিল্লায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীর মামলা

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লাযর তিতাসে কুপ্রস্তাব ও অশোভন আচরণের অভিযোগে এনে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমির উদ্দিন ও এস আই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন রুমানা রহমান জয়া নামে এক নারী।

রবিবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলাটি করেন তিনি।

পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী রুমানা তাদের পারিবারিক ও আত্মীয়-স্বজনের জমির বিরোধের বিষয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় যান। এসব কারণে থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এস আই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতো।

এক পর্যায়ে ওসি তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটাতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়াও এস আই মোশাররফ প্রায়ই ফোন করে তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতেন। তারা রুমানার মোবাইল নম্বরে এবং হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরে ফোন দিত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুজনেই রুমানার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ জুলাই একটি মামলায় রুমানার বোনের জামাই মোজাফফর আলীকে গ্রেপ্তার করতে যান থানার ওই ওসি এবং এসআই। এ সময় রুমানা মামলার ওয়ারেন্ট চাইলে এসআই তাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসআই মোশাররফ পুলিশের অন্য সদস্যদের সহায়তায় তাকে টেনে হিঁচড়ে ওসির রুমে নিয়ে যায়। এ সময় ওসি ও এস আই রুমানার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় রুমানার ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। সিনিয়র অফিসারদের তদন্তেও ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। পরদিন রুমানা ও তার ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাই জামিনে এসে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

কুপ্রস্তাবের অভিযোগে কুমিল্লায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীর মামলা

আপডেট সময় ১২:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লাযর তিতাসে কুপ্রস্তাব ও অশোভন আচরণের অভিযোগে এনে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমির উদ্দিন ও এস আই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন রুমানা রহমান জয়া নামে এক নারী।

রবিবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলাটি করেন তিনি।

পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী রুমানা তাদের পারিবারিক ও আত্মীয়-স্বজনের জমির বিরোধের বিষয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় যান। এসব কারণে থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এস আই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতো।

এক পর্যায়ে ওসি তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটাতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়াও এস আই মোশাররফ প্রায়ই ফোন করে তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতেন। তারা রুমানার মোবাইল নম্বরে এবং হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরে ফোন দিত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুজনেই রুমানার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ জুলাই একটি মামলায় রুমানার বোনের জামাই মোজাফফর আলীকে গ্রেপ্তার করতে যান থানার ওই ওসি এবং এসআই। এ সময় রুমানা মামলার ওয়ারেন্ট চাইলে এসআই তাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসআই মোশাররফ পুলিশের অন্য সদস্যদের সহায়তায় তাকে টেনে হিঁচড়ে ওসির রুমে নিয়ে যায়। এ সময় ওসি ও এস আই রুমানার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় রুমানার ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। সিনিয়র অফিসারদের তদন্তেও ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। পরদিন রুমানা ও তার ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাই জামিনে এসে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে।