ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় প্রাচীন অতি ক্ষুদ্র কোরআন শরিফের সন্ধান

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফের অতি ক্ষুদ্র আকারের প্রাচীন কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ বলে দাবি করা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় এটি কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা জামিল আহমেদ খন্দকারের কাছে সংরক্ষিত আছে।

কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি , প্রস্থ এক ইঞ্চি ও পুরুত্ব এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। ছাপার অক্ষরের কোরআন শরিফটি খালি চোখে পড়া কঠিন। এটি আতশি কাঁচের নিচে রেখে পড়া যায়।

জামিল আহমেদ খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, তার পূর্ব পুরুষেরা ইয়েমেন থেকে এ দেশে আসেন। তারা কোরআন শরিফটি সেখান থেকে এনেছেন বলে ধারণা করছি। বংশ পরম্পরায় এটি আমরা সংরক্ষণ করে রেখেছি।

তিনি আরও জানান, তার বয়স যখন ২১ বছর তখন তার বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মারা যান। তাই তিনি কোরআন শরিফটি কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্য জানতে পারেননি। অনেক দিন এটি কোথায় ছিল তাও তিনি জানতেন না। সম্প্রতি আলমারিতে এটির খোঁজ পান।

ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, কোরআন শরিফটি ৩০০ বছরের আগের হতে পারে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরিফ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন।

ইসলামী ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরিফ ছাপা বা লেখা হতো না। এ ধরণের কোরআন শরিফ বিভিন্ন ইসলামিক দেশ থেকে আনা হয়। তবে সেকালের জন্য এটি ক্ষুদ্র আকারের হলেও মুদ্রণশিল্পের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এর চেয়ে আরও ছোট আকারের কোরআন শরিফ পাওয়া যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

কুমিল্লায় প্রাচীন অতি ক্ষুদ্র কোরআন শরিফের সন্ধান

আপডেট সময় ০৮:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফের অতি ক্ষুদ্র আকারের প্রাচীন কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ বলে দাবি করা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় এটি কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা জামিল আহমেদ খন্দকারের কাছে সংরক্ষিত আছে।

কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি , প্রস্থ এক ইঞ্চি ও পুরুত্ব এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। ছাপার অক্ষরের কোরআন শরিফটি খালি চোখে পড়া কঠিন। এটি আতশি কাঁচের নিচে রেখে পড়া যায়।

জামিল আহমেদ খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, তার পূর্ব পুরুষেরা ইয়েমেন থেকে এ দেশে আসেন। তারা কোরআন শরিফটি সেখান থেকে এনেছেন বলে ধারণা করছি। বংশ পরম্পরায় এটি আমরা সংরক্ষণ করে রেখেছি।

তিনি আরও জানান, তার বয়স যখন ২১ বছর তখন তার বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মারা যান। তাই তিনি কোরআন শরিফটি কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্য জানতে পারেননি। অনেক দিন এটি কোথায় ছিল তাও তিনি জানতেন না। সম্প্রতি আলমারিতে এটির খোঁজ পান।

ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, কোরআন শরিফটি ৩০০ বছরের আগের হতে পারে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরিফ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন।

ইসলামী ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরিফ ছাপা বা লেখা হতো না। এ ধরণের কোরআন শরিফ বিভিন্ন ইসলামিক দেশ থেকে আনা হয়। তবে সেকালের জন্য এটি ক্ষুদ্র আকারের হলেও মুদ্রণশিল্পের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এর চেয়ে আরও ছোট আকারের কোরআন শরিফ পাওয়া যায়।