ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় পুকুরপাড়ে গ্রেনেড

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে একটি পুকুরপাড় থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার গ্রেনেডটি উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ডাক্তার রমিজ উদ্দিনের বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে একই গ্রামের মোহন মিয়া সকালে ঘাস কাটতে গিয়ে গ্রেনেডটি দেখতে পায়। পরে তিনি রমিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদকে বিষয়টি জানালে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেডটির স্থান ঘেরাও করে রাখে।

জমির মালিক মাস্টার রমিজ উদ্দিন জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এ স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেডসহ বিভিন্ন ভারি অস্ত্র নিয়ে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন। সে সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের গাইডম্যান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। যুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা এ স্থানটি ত্যাগ করার সময় ভুলে এ গ্রেনেডটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যেতে পারে।

কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন জানান, সকাল স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি- বসন্তপুর গ্রামে মাস্টার রমিজ উদ্দিনের পুকুর পাড়ে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করি।

তিনি আরও জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ওই স্থান থেকে অস্ত্র জমা রেখে পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বোমারু বিশেষজ্ঞকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে গ্রেনেডটি অপসারণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লায় পুকুরপাড়ে গ্রেনেড

আপডেট সময় ০১:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে একটি পুকুরপাড় থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার গ্রেনেডটি উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ডাক্তার রমিজ উদ্দিনের বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে একই গ্রামের মোহন মিয়া সকালে ঘাস কাটতে গিয়ে গ্রেনেডটি দেখতে পায়। পরে তিনি রমিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদকে বিষয়টি জানালে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেডটির স্থান ঘেরাও করে রাখে।

জমির মালিক মাস্টার রমিজ উদ্দিন জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এ স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেডসহ বিভিন্ন ভারি অস্ত্র নিয়ে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন। সে সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের গাইডম্যান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। যুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা এ স্থানটি ত্যাগ করার সময় ভুলে এ গ্রেনেডটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যেতে পারে।

কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন জানান, সকাল স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি- বসন্তপুর গ্রামে মাস্টার রমিজ উদ্দিনের পুকুর পাড়ে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করি।

তিনি আরও জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ওই স্থান থেকে অস্ত্র জমা রেখে পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বোমারু বিশেষজ্ঞকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে গ্রেনেডটি অপসারণ করা হবে।