ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় প্রবাসী হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতারদের দায় স্বীকার

মাসুদ রানা, স্টাফ রির্পোটারঃ
কুমিল্লায় প্রবাসী মো. স্বপন মিয়ার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার চারজন পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। এরা হলেন, চান্দিনা উপজেলার বড়কুল গ্রামের কামাল হোসেন ওরফে রানা, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রানীগাছ গ্রামের আল আমিন, দেবিদ্বার উপজেলার কোটনা গ্রামের মজিবুর রহমান ও তার ছেলে নাঈমুল ইসলাম ওরফে নাঈম।
সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রানীগাছ গ্রামের মোজাফ্ফর আলীর ছেলে প্রবাসী মো. স্বপন মিয়া ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওইদিন তার মামাতো ভাই মো. হাবিব ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। একইদিন বিকাল তিনটার দিকে স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা স্বপনের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। পরে মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা ওই মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল বুধবার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের কোটনা গ্রামের একটি ধানী জমি থেকে ওই অজ্ঞাত ওই যুবকের বিকৃত লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লাস্থ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই যুবকের বড় ভাই পূবালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার নিকটাত্মীয় হাজি নোয়াব মিয়াসহ স্বজনেরা পরদিন বৃহস্পতিবার দেবিদ্বার থানা যায়। তারা পরনের কাপড় ও ছবি দেখে লাশটি দুবাই প্রবাসী মো. স্বপন মিয়ার (২৬) বলে শনাক্ত করে।  এ ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলায় ওই চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ট্যাগস

কুমিল্লায় প্রবাসী হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতারদের দায় স্বীকার

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০১৬
মাসুদ রানা, স্টাফ রির্পোটারঃ
কুমিল্লায় প্রবাসী মো. স্বপন মিয়ার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার চারজন পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। এরা হলেন, চান্দিনা উপজেলার বড়কুল গ্রামের কামাল হোসেন ওরফে রানা, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রানীগাছ গ্রামের আল আমিন, দেবিদ্বার উপজেলার কোটনা গ্রামের মজিবুর রহমান ও তার ছেলে নাঈমুল ইসলাম ওরফে নাঈম।
সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রানীগাছ গ্রামের মোজাফ্ফর আলীর ছেলে প্রবাসী মো. স্বপন মিয়া ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওইদিন তার মামাতো ভাই মো. হাবিব ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। একইদিন বিকাল তিনটার দিকে স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা স্বপনের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। পরে মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা ওই মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল বুধবার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের কোটনা গ্রামের একটি ধানী জমি থেকে ওই অজ্ঞাত ওই যুবকের বিকৃত লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লাস্থ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই যুবকের বড় ভাই পূবালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার নিকটাত্মীয় হাজি নোয়াব মিয়াসহ স্বজনেরা পরদিন বৃহস্পতিবার দেবিদ্বার থানা যায়। তারা পরনের কাপড় ও ছবি দেখে লাশটি দুবাই প্রবাসী মো. স্বপন মিয়ার (২৬) বলে শনাক্ত করে।  এ ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলায় ওই চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।