ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খালেদাকে বিদেশ নিতে দ্রুত ব্যবস্থা চায় বিএনপি

জাতীয় ডেস্কঃ

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দেশনেত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম। স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহবান জানায়।’

গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণ দলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি, উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণ কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এরজন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার, তা সরকারের ইমিডিয়েটলি করা উচিত। তারপরের যে পদক্ষেপগুলো আছে পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

গত ১৯ জুন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।

হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তার চিকিৎসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথম কয়েকদিন কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা ভয়ংকর আকার ধারণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে একমাস ছিলেন বিএনপি প্রধান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

খালেদাকে বিদেশ নিতে দ্রুত ব্যবস্থা চায় বিএনপি

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দেশনেত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম। স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহবান জানায়।’

গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণ দলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি, উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণ কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এরজন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার, তা সরকারের ইমিডিয়েটলি করা উচিত। তারপরের যে পদক্ষেপগুলো আছে পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

গত ১৯ জুন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।

হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তার চিকিৎসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথম কয়েকদিন কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা ভয়ংকর আকার ধারণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে একমাস ছিলেন বিএনপি প্রধান।