ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর শুরু

জাতীয় ডেস্কঃ

শ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজ শুরুর আগে আরও টিকা আসবে। ফলে দ্বিতীয় ডোজ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা আসছে।

তিনি বলেন, কিছু র‌্যাপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসেটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলাকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্ট লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, আপনারা জানেন যে প্রত্যেকটা মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।

সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ন করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করব যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ন করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা। সারাদেশের হাসপাতালগুলো যেই চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি। এই প্যানডেমিকের সময় আমাদের সহায়তা করেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক আবু হেনা মোরশেদসহ অন্যরা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ৫৬১টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩০০টি এখন বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো দুই চালানে ৫৬২টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর আসে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর শুরু

আপডেট সময় ০৭:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

শ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজ শুরুর আগে আরও টিকা আসবে। ফলে দ্বিতীয় ডোজ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা আসছে।

তিনি বলেন, কিছু র‌্যাপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসেটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলাকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্ট লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, আপনারা জানেন যে প্রত্যেকটা মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।

সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ন করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করব যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ন করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা। সারাদেশের হাসপাতালগুলো যেই চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি। এই প্যানডেমিকের সময় আমাদের সহায়তা করেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক আবু হেনা মোরশেদসহ অন্যরা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ৫৬১টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩০০টি এখন বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো দুই চালানে ৫৬২টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর আসে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।