ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে ৬দিন পর কবর থেকে শিশু আবিরের লাশ উত্তোলন

শাহীন আলম, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা দেবিদ্বারে বাঙ্গুরী কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণীর ছাত্র শিশু আবির খান (৬) হত্যা মামলার ৬দিন পর কুমিল্লা জুডিসিয়াল ৪র্থ আদালতের নির্দেশে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও সুরতহাল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আবিরের নিজ গ্রাম বাঙ্গুরী জামে মসজিদ সংলগ্ল কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: দাউদ হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতে আবিরের লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।

মামলা পরিচালনা কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সোহেল আহমেদ’র একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জুডিসিয়াল ৪র্থ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো: তারেক আজিজ এ লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সোহেল আহমেদ বলেন, কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শিশু আবিরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়, এখন লাশ উত্তোলনের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে, সুরতহাল রিপোর্টের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল মর্গে প্রেরণ করা হবে সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যাকান্ড কিনা। এ মামলায় ৩জন আসামীর মধ্যে ১জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি বাকিরা পলাতক রয়েছে শিগগিরই অন্য আসামীদেরও গ্রেফতার করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবিরের মামি ও জ্যেঠি পাশ্ববর্তী মো: হারুনুর রশিদের দোকান থেকে বিষ জাতীয় দ্রব্য কিনে চকলেট বলে শিশু আবিরকে খাওয়ানো হয়, খাওয়ানোর পরে টয়লেটের বদনা থেকে পানিও পান করিয়ে নিজ ঘরে  পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরক্ষনে সন্ধ্যা ৭ টায় আবির যখন তার মায়ের সামনে বমি করে তখন  মুখ থেকে বিষ জাতীয় দ্রব্যের ঘ্রান বের হয়, আবিরের  অবস্থা অবনতি দেখে তার মা তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কুমিল্লা ক্যান্টম্যান্ট হাইওয়ে সড়কে পৌছলেই তার মৃত্যু হয়। পরে  লাশ বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সরদার মো: মিজানুর রহমান ওরফে মিজান সরদার আবির হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের শর্তে তরিঘরি করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে। পরে  মিজান সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শিশু আবির খান প্রবাসী আবু তাহের খানের একমাত্র পুত্র, সে স্থানীয় কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণীতে পড়ত।  শিশু আবির কে হারিয়ে আবিরের মা আখিঁ বেগম পাগল প্রায়, সন্তান হারানোর শোকে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে, কান্না জড়িত কন্ঠে আবিরের মা আখিঁ বেগম  জানায়, জমি সংক্রান্ত শুত্রুতার জের ধরে আমার জা লিপি আক্তার ও ভাইয়ের বৌ চাদঁনী এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দাবী করে  এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

এদিকে শিশু আবিরের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর আজ শুক্রবার কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

ট্যাগস

দেবিদ্বারে ৬দিন পর কবর থেকে শিশু আবিরের লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ১১:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬

শাহীন আলম, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা দেবিদ্বারে বাঙ্গুরী কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণীর ছাত্র শিশু আবির খান (৬) হত্যা মামলার ৬দিন পর কুমিল্লা জুডিসিয়াল ৪র্থ আদালতের নির্দেশে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও সুরতহাল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আবিরের নিজ গ্রাম বাঙ্গুরী জামে মসজিদ সংলগ্ল কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: দাউদ হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতে আবিরের লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।

মামলা পরিচালনা কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সোহেল আহমেদ’র একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জুডিসিয়াল ৪র্থ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো: তারেক আজিজ এ লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সোহেল আহমেদ বলেন, কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শিশু আবিরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়, এখন লাশ উত্তোলনের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে, সুরতহাল রিপোর্টের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল মর্গে প্রেরণ করা হবে সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যাকান্ড কিনা। এ মামলায় ৩জন আসামীর মধ্যে ১জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি বাকিরা পলাতক রয়েছে শিগগিরই অন্য আসামীদেরও গ্রেফতার করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবিরের মামি ও জ্যেঠি পাশ্ববর্তী মো: হারুনুর রশিদের দোকান থেকে বিষ জাতীয় দ্রব্য কিনে চকলেট বলে শিশু আবিরকে খাওয়ানো হয়, খাওয়ানোর পরে টয়লেটের বদনা থেকে পানিও পান করিয়ে নিজ ঘরে  পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরক্ষনে সন্ধ্যা ৭ টায় আবির যখন তার মায়ের সামনে বমি করে তখন  মুখ থেকে বিষ জাতীয় দ্রব্যের ঘ্রান বের হয়, আবিরের  অবস্থা অবনতি দেখে তার মা তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কুমিল্লা ক্যান্টম্যান্ট হাইওয়ে সড়কে পৌছলেই তার মৃত্যু হয়। পরে  লাশ বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সরদার মো: মিজানুর রহমান ওরফে মিজান সরদার আবির হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের শর্তে তরিঘরি করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে। পরে  মিজান সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শিশু আবির খান প্রবাসী আবু তাহের খানের একমাত্র পুত্র, সে স্থানীয় কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণীতে পড়ত।  শিশু আবির কে হারিয়ে আবিরের মা আখিঁ বেগম পাগল প্রায়, সন্তান হারানোর শোকে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে, কান্না জড়িত কন্ঠে আবিরের মা আখিঁ বেগম  জানায়, জমি সংক্রান্ত শুত্রুতার জের ধরে আমার জা লিপি আক্তার ও ভাইয়ের বৌ চাদঁনী এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দাবী করে  এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

এদিকে শিশু আবিরের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর আজ শুক্রবার কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।