ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে ছাত্রকে বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র এক শিশুকে (১৩) বলাৎকারের অভিযোগে একই মাদ্রাসার সহকারী ও আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

ওই শিক্ষককে শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর রাত ১০টায় দেবিদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের ‘স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের’ তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র আবাসিক কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

এরপর ভিক্টিমের বাবা বাসচালক (৪০) বাদী হয়ে শনিবার সকালে মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে একমাত্র আসামি করে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে ভিক্টিমের বাবা একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত অনুমান ৯টায় অভিযুক্তকারীকে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষ থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

আটক শিক্ষক উপজেলার ধামতী(উত্তর পাড়া মাঝি বাড়ি) গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মাঝির ছেলে। 

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ভিক্টিম শিশুটি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং আবাসিক কক্ষে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে থাকত। শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজালাল প্রায়ই তাকে খারাপ উদ্দেশে যৌন নীপিড়নের চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার দিন তাকে নানাভাবে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বলৎকার করে। বিষয়টি তার মা ও বাবাকে জানালে তারা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর তারা আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। 

এ ব্যাপারে ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ প্রধান মাওলানা আবু সাঈদ সোহেল জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। আমার মাদ্রাসায় তাকে সহ ৩ জন শিক্ষক ও প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। 

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বলাৎকারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি ও ভিক্টিমসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হোসেন খানের আদালতে ভিক্টিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি, ডাক্তারি পরীক্ষা করা এবং আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী নথিভুক্ত করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

দেবিদ্বারে ছাত্রকে বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

আপডেট সময় ১০:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র এক শিশুকে (১৩) বলাৎকারের অভিযোগে একই মাদ্রাসার সহকারী ও আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

ওই শিক্ষককে শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর রাত ১০টায় দেবিদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের ‘স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের’ তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র আবাসিক কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

এরপর ভিক্টিমের বাবা বাসচালক (৪০) বাদী হয়ে শনিবার সকালে মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে একমাত্র আসামি করে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে ভিক্টিমের বাবা একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত অনুমান ৯টায় অভিযুক্তকারীকে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষ থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

আটক শিক্ষক উপজেলার ধামতী(উত্তর পাড়া মাঝি বাড়ি) গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মাঝির ছেলে। 

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ভিক্টিম শিশুটি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং আবাসিক কক্ষে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে থাকত। শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজালাল প্রায়ই তাকে খারাপ উদ্দেশে যৌন নীপিড়নের চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার দিন তাকে নানাভাবে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বলৎকার করে। বিষয়টি তার মা ও বাবাকে জানালে তারা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর তারা আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। 

এ ব্যাপারে ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ প্রধান মাওলানা আবু সাঈদ সোহেল জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। আমার মাদ্রাসায় তাকে সহ ৩ জন শিক্ষক ও প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। 

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বলাৎকারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি ও ভিক্টিমসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হোসেন খানের আদালতে ভিক্টিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি, ডাক্তারি পরীক্ষা করা এবং আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী নথিভুক্ত করা হবে।