ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে প্রার্থী মনোনয়নে কারচুপির প্রতিবাদে মানববন্ধন

শাহীন আলম, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ

রোজ শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর  ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ’র  তৃণমূল, উপজেলা কমিটির নাম ও সীলসহ স্বাক্ষরিত লিখিত ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে ১৮ ভোট বেশি পেয়েও মনোনয়ন না পাওয়ায় ও  প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যে ও কারচুপির প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ইউনুস ভূঞা (মাস্টার)সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও বীরমুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

শনিবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার ছংচাইল বাজার এলাকায় ওই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে ও সাাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ইউনুস ভূঞা মাস্টার ও অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল, উপজেলা  ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরিত লিখিত ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী চুড়ান্ত করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জারু মাত্র ৪ চার ভোট (তাও মৌখিক) পেয়ে কিভাবে মনোনয়ন পায়? বক্তরা আরও দাবী করেন,  জহিরুল ইসলাম জারু সরাসরি ঢাকায় যেয়ে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে মনোনয়ন নিয়ে আসে যা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। এ বিষয়টি এলাকায়  জানাজানি হলে ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে এসে কারচুপি ও জালিয়াতি করে মনোনয়ন পাওয়া’র প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টির তদন্তের দাবিসহ  ১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়া মো: ইউনুস ভূঞা মাস্টার কে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

পরে ওই বাজারে একটি মার্কেটে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জারু একসময় দেবিদ্বারের বিএনপি’র সাবেক সাংসদ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং তৎকালীন বিএনপির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কুলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় মঞ্জু মুন্সীর সাথে ২নং আসামী হিসেবে জেলও খেটেছেন। আজ সে নব্য আ’লীগ হয়ে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে  মনোনয়ন নিয়ে আসে যা কেন্দ্রীয় আ’লীগ’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরেণ্য রাজনৈতিক জীবনের বিপরীতপন্থী । তাই তৃনমূল, উপজেলা ও জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের দাবী এ কারচুপির সঠিক তদন্ত করে পুনরায় মনোনয়ন ঘোষণা করা।

মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে  উপিস্থত ছিলেন,  আলহাজ্ব আ: আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নূরুল ইসলাম মেম্বার, ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আ: আলীম,  মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক, আ: মালেক, দেওয়ান হুমায়ূন আহমেদ, আ: কুদ্দুস মুন্সী, হাবীবুর রহমান,  নজরুল ইসলাম আ: মান্নান পুলিশ, সাবেক মেম্বার আ: সালাম, ময়নল হোসেন, মনিরুল ইসলাম,  রাশেদুল রহমান, আবুল কাশেম ভূইয়া, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

ট্যাগস

দেবিদ্বারে প্রার্থী মনোনয়নে কারচুপির প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১২:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

শাহীন আলম, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ

রোজ শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর  ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ’র  তৃণমূল, উপজেলা কমিটির নাম ও সীলসহ স্বাক্ষরিত লিখিত ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে ১৮ ভোট বেশি পেয়েও মনোনয়ন না পাওয়ায় ও  প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যে ও কারচুপির প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ইউনুস ভূঞা (মাস্টার)সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও বীরমুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

শনিবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার ছংচাইল বাজার এলাকায় ওই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে ও সাাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ইউনুস ভূঞা মাস্টার ও অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল, উপজেলা  ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরিত লিখিত ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী চুড়ান্ত করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জারু মাত্র ৪ চার ভোট (তাও মৌখিক) পেয়ে কিভাবে মনোনয়ন পায়? বক্তরা আরও দাবী করেন,  জহিরুল ইসলাম জারু সরাসরি ঢাকায় যেয়ে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে মনোনয়ন নিয়ে আসে যা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। এ বিষয়টি এলাকায়  জানাজানি হলে ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে এসে কারচুপি ও জালিয়াতি করে মনোনয়ন পাওয়া’র প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টির তদন্তের দাবিসহ  ১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়া মো: ইউনুস ভূঞা মাস্টার কে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

পরে ওই বাজারে একটি মার্কেটে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জারু একসময় দেবিদ্বারের বিএনপি’র সাবেক সাংসদ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং তৎকালীন বিএনপির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কুলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় মঞ্জু মুন্সীর সাথে ২নং আসামী হিসেবে জেলও খেটেছেন। আজ সে নব্য আ’লীগ হয়ে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে  মনোনয়ন নিয়ে আসে যা কেন্দ্রীয় আ’লীগ’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরেণ্য রাজনৈতিক জীবনের বিপরীতপন্থী । তাই তৃনমূল, উপজেলা ও জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের দাবী এ কারচুপির সঠিক তদন্ত করে পুনরায় মনোনয়ন ঘোষণা করা।

মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে  উপিস্থত ছিলেন,  আলহাজ্ব আ: আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নূরুল ইসলাম মেম্বার, ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আ: আলীম,  মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক, আ: মালেক, দেওয়ান হুমায়ূন আহমেদ, আ: কুদ্দুস মুন্সী, হাবীবুর রহমান,  নজরুল ইসলাম আ: মান্নান পুলিশ, সাবেক মেম্বার আ: সালাম, ময়নল হোসেন, মনিরুল ইসলাম,  রাশেদুল রহমান, আবুল কাশেম ভূইয়া, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।