ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহাদাৎবরণকারী ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনো বিতর্ক করা যাবে না, বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না বলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজাকার ননী-তাহেরের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন।

মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল আজ রায় প্রদানকালে বলেছেন- মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকের কোনো অবকাশ নেই। এ রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ পরিবারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। এ রায় শহীদ পরিবারের জন্য স্বস্তি ও সান্ত্বনা। দীর্ঘ সময় পর হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছে শহীদ পরিবার।’

মামলার প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে চারটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর অভিযোগে আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ আসামিরা যে নৃশংস অপরাধ করেছেন তাতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাই প্রাপ্য বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।’

প্রসিকিউটর বাদল আরো বলেন, ‘এ আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ এ সাজা দেয়া হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জনাকীর্ণ ট্রাইব্যুনালে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই

আপডেট সময় ০৯:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহাদাৎবরণকারী ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনো বিতর্ক করা যাবে না, বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না বলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজাকার ননী-তাহেরের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন।

মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল আজ রায় প্রদানকালে বলেছেন- মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকের কোনো অবকাশ নেই। এ রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ পরিবারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। এ রায় শহীদ পরিবারের জন্য স্বস্তি ও সান্ত্বনা। দীর্ঘ সময় পর হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছে শহীদ পরিবার।’

মামলার প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে চারটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর অভিযোগে আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ আসামিরা যে নৃশংস অপরাধ করেছেন তাতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাই প্রাপ্য বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।’

প্রসিকিউটর বাদল আরো বলেন, ‘এ আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ এ সাজা দেয়া হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জনাকীর্ণ ট্রাইব্যুনালে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।