ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে আবারও সেই গ্যাস লাইনটি অপসারন

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত কামাল্ল-মুরাদনগর গ্যাস লাইনে আবারও অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার দিন ব্যাপী মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের মধ্যনগর থেকে অভিযান শুরু করে। এতে কয়েক হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারন করা হয়।

তবে রহস্যজনক কারনে বার বার উক্ত অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মানে জড়িত ঠিকাদারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানীর  দেবিদ্বার সাব-সেকশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপ্পি শাহরিয়ারের নেতৃত্বে বাখরাবাদ গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আভিযানে অংশ নেন। এ সময় ওই গ্যাস লাইন থেকে প্রায় দের হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইনের পাইপ অপসারন করা হয়।

নির্মানাধীন এ লাইন থেকে প্রায় ৩হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি। এজন্য প্রতি গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। যা থেকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আর মাঝ থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র গুলো। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস অনুমোদিত রাইজার মেশিন দিয়ে পাইব লাইন স্থাপন না করে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে লাইন নিয়ে ওয়েডিং করে পাইব লাইন স্থাপন করাতে এলাকাবাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার সাব-সেকশনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপ্পি শাহরিয়ার জানান, অবৈধ এ গ্যাস লাইনটি আগেও আরেক বার আমরা অভিযান চালিয়ে ছিলাম। এ বার ২য় বারের মতো এ গ্যাস লাইনে অভিযান পরিচালনা করা হলো।

তিনি আরো জানান, দেবিদ্বার সাব-সেকশনের আওতাধীন অবৈধ গ্যাস লাইন যেখানে নির্মান করা হবে আমরা সেখানেই অভিযান চালিয়ে অসাধু চক্রের বিরুদ্দে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

অভিযানে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাখরাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপক বিক্রয় উপজেলা জিয়াউল হক, ব্যবস্থাপক বিক্রয় সদও আব্দুর রশিদ, অতুল কুমার নাহসহ বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর আরো কর্মকর্তা কর্মচারী। এ সময় স্থানীয় জনগন কাঙ্খিত এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলার সকল স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দাবি করেন।

ট্যাগস

মুরাদনগরে আবারও সেই গ্যাস লাইনটি অপসারন

আপডেট সময় ০৪:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত কামাল্ল-মুরাদনগর গ্যাস লাইনে আবারও অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার দিন ব্যাপী মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের মধ্যনগর থেকে অভিযান শুরু করে। এতে কয়েক হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারন করা হয়।

তবে রহস্যজনক কারনে বার বার উক্ত অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মানে জড়িত ঠিকাদারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানীর  দেবিদ্বার সাব-সেকশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপ্পি শাহরিয়ারের নেতৃত্বে বাখরাবাদ গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আভিযানে অংশ নেন। এ সময় ওই গ্যাস লাইন থেকে প্রায় দের হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইনের পাইপ অপসারন করা হয়।

নির্মানাধীন এ লাইন থেকে প্রায় ৩হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি। এজন্য প্রতি গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। যা থেকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আর মাঝ থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র গুলো। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস অনুমোদিত রাইজার মেশিন দিয়ে পাইব লাইন স্থাপন না করে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে লাইন নিয়ে ওয়েডিং করে পাইব লাইন স্থাপন করাতে এলাকাবাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার সাব-সেকশনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপ্পি শাহরিয়ার জানান, অবৈধ এ গ্যাস লাইনটি আগেও আরেক বার আমরা অভিযান চালিয়ে ছিলাম। এ বার ২য় বারের মতো এ গ্যাস লাইনে অভিযান পরিচালনা করা হলো।

তিনি আরো জানান, দেবিদ্বার সাব-সেকশনের আওতাধীন অবৈধ গ্যাস লাইন যেখানে নির্মান করা হবে আমরা সেখানেই অভিযান চালিয়ে অসাধু চক্রের বিরুদ্দে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

অভিযানে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাখরাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপক বিক্রয় উপজেলা জিয়াউল হক, ব্যবস্থাপক বিক্রয় সদও আব্দুর রশিদ, অতুল কুমার নাহসহ বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর আরো কর্মকর্তা কর্মচারী। এ সময় স্থানীয় জনগন কাঙ্খিত এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলার সকল স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দাবি করেন।