ঢাকা ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড দু’শতাদিক ঘরবাড়ি

মোঃ আরিফুল ইসাম, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শুক্রবার বিকেলে আকস্মি কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। এতে করে শনিবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুরে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত উপজেলাটি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্থানের গাছ-পালা, বিনষ্ট হয়েছে ফল-ফলাদি, জমির ফসল ও ঘরের চালাসহ অনেক স্থাপনা। ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঘরঘোলোর বেশির ভাগই খুজেঁ পাওয়া যায়নি।

কালবৈশাখীর তান্ডবে ঘরহারা মানুষেরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির অনেক পাকা ধান ছরে পরেছে।এত প্রায় ২০/২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু গাছ উপড়ে পড়ে ও গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় শুক্রবার বিকেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা। ঝড়ের সময় মুরাদনগর উপজেলা সদর, ধামঘর, ভূবনঘর, যাত্রাপুর, বাঙ্গরা, দিলালপুর, আড়ালিয়া, মোচাগড়া, শ্রীকাইল, কামাল্লা, কামারচরসহ উপজেলার প্রায় সবকটি গ্রামে এ কালবৈশাখী ঝড়ে নিমিষেই দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে প্রায় দুশতাদিক কাজা ঘরবাড়ি। উপজেলার কয়েকটি স্থানে গাছ এবং ডাল-পালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়েছিল, শনিবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে শুক্রবার বিকেল থেকে উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ঝড়ে গাছের ডাল-পালা পড়ে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে রাতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ভুতুরে এলাকায় পরিণত হয়।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের কোম্পানীগঞ্জ শাখার ডেপুটি ম্যানেজার সাদেকুজ জামান জানান, ঝড়ে মেইন লাইন, বিদ্যুতের খুটসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যার আগেই সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থনে ক্ষতিগ্রস্তের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপনের চেষ্ঠা করছি।

ট্যাগস

মুরাদনগরে কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড দু’শতাদিক ঘরবাড়ি

আপডেট সময় ০৭:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০১৬

মোঃ আরিফুল ইসাম, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শুক্রবার বিকেলে আকস্মি কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। এতে করে শনিবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুরে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত উপজেলাটি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্থানের গাছ-পালা, বিনষ্ট হয়েছে ফল-ফলাদি, জমির ফসল ও ঘরের চালাসহ অনেক স্থাপনা। ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঘরঘোলোর বেশির ভাগই খুজেঁ পাওয়া যায়নি।

কালবৈশাখীর তান্ডবে ঘরহারা মানুষেরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির অনেক পাকা ধান ছরে পরেছে।এত প্রায় ২০/২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু গাছ উপড়ে পড়ে ও গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় শুক্রবার বিকেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা। ঝড়ের সময় মুরাদনগর উপজেলা সদর, ধামঘর, ভূবনঘর, যাত্রাপুর, বাঙ্গরা, দিলালপুর, আড়ালিয়া, মোচাগড়া, শ্রীকাইল, কামাল্লা, কামারচরসহ উপজেলার প্রায় সবকটি গ্রামে এ কালবৈশাখী ঝড়ে নিমিষেই দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে প্রায় দুশতাদিক কাজা ঘরবাড়ি। উপজেলার কয়েকটি স্থানে গাছ এবং ডাল-পালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়েছিল, শনিবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে শুক্রবার বিকেল থেকে উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ঝড়ে গাছের ডাল-পালা পড়ে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে রাতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ভুতুরে এলাকায় পরিণত হয়।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের কোম্পানীগঞ্জ শাখার ডেপুটি ম্যানেজার সাদেকুজ জামান জানান, ঝড়ে মেইন লাইন, বিদ্যুতের খুটসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যার আগেই সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থনে ক্ষতিগ্রস্তের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপনের চেষ্ঠা করছি।