ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে থমকে আছে জিহাদ হত্যার মামলা : পরিবারকে হুমকি

pc murad 08-06-15 copy
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

রোজ শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউপির মির্জাপুর এলাকার ফুলকলি কিন্ডার গার্ডেনের ২য় শ্রেনীর ছাত্র জিহাদ(৮)কে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের  হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে এলাকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে  পুলিশের ভূমিকা। এ ব্যাপারে জিহাদের মা ও স্থানীয়রা শনিবার সকালে নিজ বাড়ীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলার তদন্তভার গোয়েদা সংস্থা সিআইডি অথবা ডিবি পুলিশের কাছে স্থানান্তর করার দাবী জানান ।

জিহাদের মা শাহনাজ অভিযোগ করে বলেন, গত ৬জুন আমার ছেলে জিহাদকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে অপহরন করে নেওয়ার পর জিহাদের চাচা শহিদ মিয়া ঐ দিন সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরদিন পুলিশ ঢাকা থেকে একই গ্রামের রবিউল নামের যুবককে আটক করে। আটক রবিউল এঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ও সিএনজি ড্রাইভার সংকরের নাম প্রকাশ করলে থানা পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন সম্পৃক্ততা না পেয়ে ছেড়ে দেয়। ৮জুন সকালে স্থানীয়রা আটক রবিউলের ঘর থেকে জিহাদের পায়ের জুতা ও তার ঘরের পেছনের ডোবায় জিহাদের বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে রবিউল অপহরন করে হত্যার কথা শিকার করে। শাহনাজ বেগম বলেন মূল হত্যাকারী যাদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ তাদেরকে আটক না করে, মামলা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য মামলার বাদী ও জিহাদের চাচা শহিদ মিয়ার ছেলে কবিরকে আটক করে পুলিশ।

pc muradnagar,comilla.17-10-15

অপর দিকে রবিউলের মা, বোন ও চাচাকে পুলিশ আটক করে তাদেরকে এজহারভুক্ত আসামি না করে জিহাদ হত্যার সাথে সন্দেহ জনক জড়িত থাকার অভিযোগে জেল হাজতে প্রেরন করে। তিনি আরো বলেন, মামলার বাদীর নাম পরিবর্তন করে, আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করলে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দা হাতে আমার বাড়ীর সামনে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় আমাকে ও আমার পরিবারের  সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে গত ২৮ আগস্ট মুরাদনগর থানায় ১৩জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলেও পুলিশের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। হুমকির ব্যপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর হুমকি আরো বেড়ে যায় বলে তিনি জানান।

শাহনাজ বলেন চাদাঁ না দেওয়ার কারনেই আজ আমার ছেলেকে হারাতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে রবিউল টাকা চেয়ে ছিল সেই মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে এ ঘটনার পূর্বে এ চক্রটি গ্রামের বাতেন মেম্বার, প্রবাসী মতিনের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, জালাল উদ্দিনের স্ত্রী হোসনেয়ারা, তাজুল ইসলাম, হত্যাকারী রবিউলের মামি ও রুহুল আমীনের স্ত্রী সুমীসহ আরো অনেকের কাছে মোবাইল ফোনে তাদের সন্তানদের অপহরন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে চাদাঁ দাবী করেছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত থাকা জালাল উদ্দিন ও ছেনোয়ারা বেগম চাদাঁর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ,শহীদ মিয়া, ছেনোয়ারা বেগম মোসলেম মিয়া,মোতালেব মিয়া,স্বপন মিয়া,হারুন মিয়া,শাহ জালাল,রশিদ মিয়া, জালাল উদ্দিন, শাহিন মাষ্টার, নাছিমা বেগম,সাবিনা বেগম,জুলেখা বেগম সামসুন্নাহার সহ এলাকার অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন হত্যাকারীসহ দুই আসামী কারাগারে আছে ,মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। সুষ্ঠতদন্ত শেষে জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে থমকে আছে জিহাদ হত্যার মামলা : পরিবারকে হুমকি

আপডেট সময় ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

pc murad 08-06-15 copy
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

রোজ শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউপির মির্জাপুর এলাকার ফুলকলি কিন্ডার গার্ডেনের ২য় শ্রেনীর ছাত্র জিহাদ(৮)কে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের  হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে এলাকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে  পুলিশের ভূমিকা। এ ব্যাপারে জিহাদের মা ও স্থানীয়রা শনিবার সকালে নিজ বাড়ীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলার তদন্তভার গোয়েদা সংস্থা সিআইডি অথবা ডিবি পুলিশের কাছে স্থানান্তর করার দাবী জানান ।

জিহাদের মা শাহনাজ অভিযোগ করে বলেন, গত ৬জুন আমার ছেলে জিহাদকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে অপহরন করে নেওয়ার পর জিহাদের চাচা শহিদ মিয়া ঐ দিন সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরদিন পুলিশ ঢাকা থেকে একই গ্রামের রবিউল নামের যুবককে আটক করে। আটক রবিউল এঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ও সিএনজি ড্রাইভার সংকরের নাম প্রকাশ করলে থানা পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন সম্পৃক্ততা না পেয়ে ছেড়ে দেয়। ৮জুন সকালে স্থানীয়রা আটক রবিউলের ঘর থেকে জিহাদের পায়ের জুতা ও তার ঘরের পেছনের ডোবায় জিহাদের বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে রবিউল অপহরন করে হত্যার কথা শিকার করে। শাহনাজ বেগম বলেন মূল হত্যাকারী যাদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ তাদেরকে আটক না করে, মামলা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য মামলার বাদী ও জিহাদের চাচা শহিদ মিয়ার ছেলে কবিরকে আটক করে পুলিশ।

pc muradnagar,comilla.17-10-15

অপর দিকে রবিউলের মা, বোন ও চাচাকে পুলিশ আটক করে তাদেরকে এজহারভুক্ত আসামি না করে জিহাদ হত্যার সাথে সন্দেহ জনক জড়িত থাকার অভিযোগে জেল হাজতে প্রেরন করে। তিনি আরো বলেন, মামলার বাদীর নাম পরিবর্তন করে, আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করলে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দা হাতে আমার বাড়ীর সামনে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় আমাকে ও আমার পরিবারের  সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে গত ২৮ আগস্ট মুরাদনগর থানায় ১৩জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলেও পুলিশের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। হুমকির ব্যপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর হুমকি আরো বেড়ে যায় বলে তিনি জানান।

শাহনাজ বলেন চাদাঁ না দেওয়ার কারনেই আজ আমার ছেলেকে হারাতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে রবিউল টাকা চেয়ে ছিল সেই মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে এ ঘটনার পূর্বে এ চক্রটি গ্রামের বাতেন মেম্বার, প্রবাসী মতিনের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, জালাল উদ্দিনের স্ত্রী হোসনেয়ারা, তাজুল ইসলাম, হত্যাকারী রবিউলের মামি ও রুহুল আমীনের স্ত্রী সুমীসহ আরো অনেকের কাছে মোবাইল ফোনে তাদের সন্তানদের অপহরন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে চাদাঁ দাবী করেছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত থাকা জালাল উদ্দিন ও ছেনোয়ারা বেগম চাদাঁর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ,শহীদ মিয়া, ছেনোয়ারা বেগম মোসলেম মিয়া,মোতালেব মিয়া,স্বপন মিয়া,হারুন মিয়া,শাহ জালাল,রশিদ মিয়া, জালাল উদ্দিন, শাহিন মাষ্টার, নাছিমা বেগম,সাবিনা বেগম,জুলেখা বেগম সামসুন্নাহার সহ এলাকার অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন হত্যাকারীসহ দুই আসামী কারাগারে আছে ,মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। সুষ্ঠতদন্ত শেষে জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।