ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পাল্লা দিয়ে চলছে খাল দখল

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাওয়া প্রায় ২১টি পুরনো খাল এখন প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। সবকটি খালের মোহনা দখল হয়ে যাওয়ার কারণে খালগুলো সারা বছরই হয়ে থাকে পানিশূন্যতায়। যার ফলে বেহত হচ্ছে কৃষি ফসলে সেচ দেওয়া। দভলদারদের সাথে পাল্লা দিয়ে পিছিয়েও নেই সরকারও। ঐসব খালের উপর দিয়ে সরকার তৈরী করছে সড়ক, মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

উপজেলা সদর, কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, বাংগরা, রামচন্দ্রপুর চাপিতলা, মেটংগরে মূল্যবান কয়েকটি খাল সরকারি দলের নেতারা দখলে নিয়ে মার্কেট তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব খাল ও সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে নেই কোনো প্রকার উদ্যোগ।

জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে প্রবাহিত ২১টি খালে গুলোতে এক সময় স্রোত ও পানি প্রবাহ অবাধে নৌকা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপজেলায় এক সময় সড়ক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও জনসাধারণের চলাচলের প্রধান মাধ্যম ছিল খাল গুলো। প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বের কারণে বেশিরভাগ খালই এখন মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। বেপরোয়া দখলদারদের কারণে এখন বর্ষা মৌসুমেও খালগুলোতে পানি আসতে পারে না। কিছু কিছু জায়গায় খাল সম্পূর্ণ দখলে নিয়ে প্রভাবশালীরা এর চিহ্নই মুছে ফেলেছে। আংশিক দখল হওয়া খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার ফসলী জমিতে সেচের পানির অভাবে কৃষি কাজ ও ফসল আবাদ করতে পারছে না এলাকার কৃষকরা।

এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও রয়েছে হতাশা ক্ষোভ। দেশের অন্যন্য এলাকার মতো মুরাদনগরের কৃষকরা বৈরী আবহাওয়া কিংবা জলবায়ুকে দায়ী করছেন না। তারা শুধু কালের সাক্ষী উপজেলার ২১টি খাল ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন। কৃষকদের আশা খাল গুলো যদি খনন ও সচল করে অবাধ পানি প্রবাহ তৈরি করা যায় তাহলে উপজেলায় অতীতের চেয়ে আরও বেশি কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ছাইফুল্লাহ বলেন, ২১টি খাল পুনঃখননের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির বরাদ্দ পেলেই খাল খননের কাজ আমরা শুরু করতে পারব।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগরে পাল্লা দিয়ে চলছে খাল দখল

আপডেট সময় ০৮:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০১৬

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাওয়া প্রায় ২১টি পুরনো খাল এখন প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। সবকটি খালের মোহনা দখল হয়ে যাওয়ার কারণে খালগুলো সারা বছরই হয়ে থাকে পানিশূন্যতায়। যার ফলে বেহত হচ্ছে কৃষি ফসলে সেচ দেওয়া। দভলদারদের সাথে পাল্লা দিয়ে পিছিয়েও নেই সরকারও। ঐসব খালের উপর দিয়ে সরকার তৈরী করছে সড়ক, মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

উপজেলা সদর, কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, বাংগরা, রামচন্দ্রপুর চাপিতলা, মেটংগরে মূল্যবান কয়েকটি খাল সরকারি দলের নেতারা দখলে নিয়ে মার্কেট তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব খাল ও সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে নেই কোনো প্রকার উদ্যোগ।

জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে প্রবাহিত ২১টি খালে গুলোতে এক সময় স্রোত ও পানি প্রবাহ অবাধে নৌকা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপজেলায় এক সময় সড়ক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও জনসাধারণের চলাচলের প্রধান মাধ্যম ছিল খাল গুলো। প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বের কারণে বেশিরভাগ খালই এখন মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। বেপরোয়া দখলদারদের কারণে এখন বর্ষা মৌসুমেও খালগুলোতে পানি আসতে পারে না। কিছু কিছু জায়গায় খাল সম্পূর্ণ দখলে নিয়ে প্রভাবশালীরা এর চিহ্নই মুছে ফেলেছে। আংশিক দখল হওয়া খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার ফসলী জমিতে সেচের পানির অভাবে কৃষি কাজ ও ফসল আবাদ করতে পারছে না এলাকার কৃষকরা।

এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও রয়েছে হতাশা ক্ষোভ। দেশের অন্যন্য এলাকার মতো মুরাদনগরের কৃষকরা বৈরী আবহাওয়া কিংবা জলবায়ুকে দায়ী করছেন না। তারা শুধু কালের সাক্ষী উপজেলার ২১টি খাল ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন। কৃষকদের আশা খাল গুলো যদি খনন ও সচল করে অবাধ পানি প্রবাহ তৈরি করা যায় তাহলে উপজেলায় অতীতের চেয়ে আরও বেশি কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ছাইফুল্লাহ বলেন, ২১টি খাল পুনঃখননের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির বরাদ্দ পেলেই খাল খননের কাজ আমরা শুরু করতে পারব।