ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পুলিশ কর্মকর্তা কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বি দখলের অভিযোগ

pc muradnagar,19-04-15

মো: দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রোজ রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ

মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বি এক পুলিশ কর্মকর্তা কতৃক দখল করে পাকা দালান নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আ: মজিদ মোল্লার প্রবাসী পুত্র  মো: রিয়াজুল হকের স্ত্রী মোসা: আছমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেড’র বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামালা নং পি আর ৬৬৩/১৫।

জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলা সদরের জেলেপাড়ার পশ্চিমে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য আ: মজিদ মোল্লার অসহায় পরিবারের বসবাস। মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামীয় মুরাদনগর মৌজায় ৫৩৮৯ ও ৫৩৮৪ দাগ নাম্বারে ৮.৬৯শতক ভূমির মালিকানা ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে  দখলে রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার অসহায় পরিবারটি উক্ত ভূমির দখলে থাকা অবস্থায় তাদের প্রতিবেশী প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বির কিছু অংশ দখল করে পাকা দালান নির্মান শুরু করেন।

সুত্র জানায় এলাকার স্থানীয়দের উপস্থিতিতে  ভূমি পরিমাপকারী ৬জন আমিনের সহায়তায় ভূমি পরিমাপ করে সীমানা প্রচীর দেয়া হলেও সেই সীমানা প্রাচীর না মেনে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঔ পুলিশ কর্মকর্তা।

মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ আসমা বেগম জানান, তার স্বামী জীবিকা নির্বাহে প্রবাসে থাকার সুবাদে তাদের অসহায় পেয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সম্পত্ত্বি দখলের পায়তারা করেন।ঐ কর্মকতা নিমার্ন কাজ শুরু করলে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান সম্পত্ত্বি রক্ষা করার জন্য তিনি কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেড’র বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন এবং মামলা দায়ের করার পরে বিবাদী পক্ষ তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই, কোর্টের কোন নির্দেশনাও পাইনি। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগরে পুলিশ কর্মকর্তা কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

pc muradnagar,19-04-15

মো: দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রোজ রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ

মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বি এক পুলিশ কর্মকর্তা কতৃক দখল করে পাকা দালান নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আ: মজিদ মোল্লার প্রবাসী পুত্র  মো: রিয়াজুল হকের স্ত্রী মোসা: আছমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেড’র বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামালা নং পি আর ৬৬৩/১৫।

জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলা সদরের জেলেপাড়ার পশ্চিমে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য আ: মজিদ মোল্লার অসহায় পরিবারের বসবাস। মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামীয় মুরাদনগর মৌজায় ৫৩৮৯ ও ৫৩৮৪ দাগ নাম্বারে ৮.৬৯শতক ভূমির মালিকানা ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে  দখলে রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার অসহায় পরিবারটি উক্ত ভূমির দখলে থাকা অবস্থায় তাদের প্রতিবেশী প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্ত্বির কিছু অংশ দখল করে পাকা দালান নির্মান শুরু করেন।

সুত্র জানায় এলাকার স্থানীয়দের উপস্থিতিতে  ভূমি পরিমাপকারী ৬জন আমিনের সহায়তায় ভূমি পরিমাপ করে সীমানা প্রচীর দেয়া হলেও সেই সীমানা প্রাচীর না মেনে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঔ পুলিশ কর্মকর্তা।

মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ আসমা বেগম জানান, তার স্বামী জীবিকা নির্বাহে প্রবাসে থাকার সুবাদে তাদের অসহায় পেয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সম্পত্ত্বি দখলের পায়তারা করেন।ঐ কর্মকতা নিমার্ন কাজ শুরু করলে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান সম্পত্ত্বি রক্ষা করার জন্য তিনি কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেড’র বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন এবং মামলা দায়ের করার পরে বিবাদী পক্ষ তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই, কোর্টের কোন নির্দেশনাও পাইনি। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।