ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে অবৈদ গ্যাস সংযোগের মহোৎসব

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরেঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

জ্বালানি প্রতি মন্ত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলে যখন বলছে আর বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ নয়। এবং জেলা প্রশাসক যেখানে অবৈদ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ঠিক সেই সময়ে কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রাতে-অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহোৎসব। বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও আরো গতিশীল হয়ে উঠেছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের এই রমরমা বানিজ্য। আবার বৈধ গ্রাহক না হয়েও বিল বই ছাড়াই গ্যাস ব্যবহার করছেন হাজার হাজার গ্রাহক। যা থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

জানা যায় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দালাল চক্র বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন দেবিদ্বার জোনাল অফিস ও কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাসের হেড অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে সাধারন নিরীহ  গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা । বাখরাবাদ গ্যাসের কুমিল্লা হেড অফিস ও দেবিদ্বার জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে এসব লাইনকে মুখে অবৈধ বললেও, বিপুল অর্থের বিনিময়ে তারাই এ অবৈধ গ্যাস সংযোগের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে উপজেলা এলজিআরডির পাকা সড়ক কেটে সম্পূর্ন অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মান হলেও কর্মকর্তারা কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলজিআরডি সড়কের মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর-কিষ্ণপুর-ইলিয়েটগঞ্জ সড়কের নহল-চৌমুহনী মোড় থেকে সড়ক কেটে দু’ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে মুকশাইর গ্রাম পর্যন্ত সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে টানা হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার ফুট লম্বা পাইপ লাইন। যেখানে দু’ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের কোন প্রকার কোন বৈধ্যতা না থাকলেও বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশনের কুমিল্লা হেড অফিস ও দেবিদ্বার জোনাল অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের এসব লাইন নির্মানে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এলজিআরডি বিভাগের সড়ক কেটে অবৈধ ভাবে পাইপ লাইন নেয়া হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে এ বিষয়ে চুপ থাকায় তা নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুমেন ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারীর ভাগিনা জিলেটের মাধ্যমে রাতের-অন্ধকারে কোন এক অলৈাকিক ক্ষমতা বলে চালাচ্ছে অবৈধ এ লাইন নিমার্ন ও সংযোগ কার্যক্রম।

জানাযায়, নির্মানাধীন এ লাইন থেকে প্রায় ৩হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি। এজন্য প্রতি গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। যা থেকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আর মাঝ থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র গুলো। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস অনুমোদিত রাইজার মেশিন দিয়ে পাইব লাইন স্থাপন না করে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে লাইন নিয়ে ওয়েডিং করে পাইব লাইন স্থাপন করাতে এলাকাবাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামঘর, করিমপুর,রহিমপুর, নগরপাড় দের কি:মি:, ,বাখরনগর ৫কি:মি:, ছালিয়াকান্দি, গকুলনগর, ত্রিশ,সহ অর্ধশতাধিক গ্রাম এবং বোড়ারচর থেকে জাহাপুর পর্যন্ত ৩০হাজার ফুট এবং ভুবনঘর থেকে দরিকান্দি হয়ে দুলারামপুর পর্যন্ত ১১হাজার ফুট, করকটিয়া থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ২ কি:মি:, বাখরাবাদ-ইলিয়টগঞ্জ সড়ক হইতে সুবিলারচর পর্যন্ত  ২ কি:মি:, নবীপুর মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে বেড়িবাধ পর্যন্ত ৩ কি:মি:, রাণীমুহুরী-বড়ইয়াকুড়ি-বোড়ারচর পর্যন্ত ৬ কি:মি:, গাইটুলী-মসজিদের দু পার্শ্বের কাঁচা সড়কে লাইন নির্মাণ ৪কি:মি:, বড়িয়াকুড়ি-বোড়াররচর বাজার হয়ে গ্রামের ভিতর ৬ কিলোমিটার, দারোরা বাজার-পালাসুতা পর্যন্ত ৬হাজার ফুট, বাখরাবাদ সড়ক হইতে শুশুন্ডা বেরিবাধ পর্যন্ত ২কি:মি:, বাখরাবাদ সড়ক হইতে পায়ব পর্যন্ত ২কি:মি:, কেয়টগ্রাম হইতে উদনারপাড় পর্যন্ত ৫কি:মি:, ধনীরামপুর গ্রামে মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে বেড়িবাধ পর্যন্ত ৮শত ফুট, জাহাপুর দক্ষিণ পাড়া বেড়িবাধ হয়ে বোড়ারচর পর্যন্ত ৩হাজার ফুট, জাহাপুর দক্ষিণ পাড়া হইতে দড়িকন্দি ২কি:মি:,  নোয়াকান্দি মসজিদ থেকে ময়নল মিয়ার বাড়িতে রাইজার বসিয়ে ৬শত ফুট দূরে মৃত মুতি সরকার এর বাড়িতে ২টি চুলা এবং একই পাইপ থেকে আরো ৩০০ ফুট দূরে আনু সরকার এর বাড়িতে আরো ০৩টি চুলা স্থাপন মোট ৯শত ফোট, পালাসুতা ৬ হাজার ফুট, পায়ব ২কি:মি:, শুশুন্ডা ৩কি:মি:, মধ্যনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত ৩কি:মি:, নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কে ৩কি: মি:, গুঞ্জর ৩ কি:মি:, বড়ইয়াকুড়ি-তিক্তাকান্দা ২হাজার ফুট, বড়ইয়াকুড়ি, সংযোগ দেওয়ার সময় স্থানীয়রা মেশিনসহ শ্রমিকদেরকে আটক করে রাখে। পরে মুরাদনগর থানার এস.আই. মাহমুদুল হাসান রুবেল তাদেরকে উদ্ধার করে ছেড়ে দেয়। বোড়ারচর ব্রিজের উত্তর পার্শ্বের সড়কে ১কি:মি:,  পৈয়াপাথর দের কি:মি:, নহল-রামনগর ৩হাজার ৬শত ফুট, কাজিয়াতল থেকে দারোরা বাজার পর্যন্ত ২ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে সংযোগ ১৫ কি:মি:, এ কাজ চলা কালীন ভ্রাম্যমান আদালত এর অভিযান হওয়ার কথা থাকলেও কারণ বশত ভ্রাম্যমান আদালত আসেনি।

এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাসের দেবিদ্বার জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  শাহরিয়ার বাপ্পি জানান,  দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি সাধারন ডায়রি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কুমিল্লা জেলা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক মোহাম্মদ নিজামুল হাসান শরীফ বলেন,  আমি অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা শুনেছি।  এবিষয় গুলো আমি সেন্ট্রালকে অবহিত করেছি। খুব শীঘ্রই আমরা অভিযান চালাব। চক্রগুলো গ্যাস সংযোগের নামে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আবার ভুয়া বিল বানিয়ে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে এবার শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হব।

ট্যাগস

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে অবৈদ গ্যাস সংযোগের মহোৎসব

আপডেট সময় ০৮:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরেঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

জ্বালানি প্রতি মন্ত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলে যখন বলছে আর বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ নয়। এবং জেলা প্রশাসক যেখানে অবৈদ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ঠিক সেই সময়ে কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রাতে-অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহোৎসব। বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও আরো গতিশীল হয়ে উঠেছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের এই রমরমা বানিজ্য। আবার বৈধ গ্রাহক না হয়েও বিল বই ছাড়াই গ্যাস ব্যবহার করছেন হাজার হাজার গ্রাহক। যা থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

জানা যায় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দালাল চক্র বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন দেবিদ্বার জোনাল অফিস ও কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাসের হেড অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে সাধারন নিরীহ  গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা । বাখরাবাদ গ্যাসের কুমিল্লা হেড অফিস ও দেবিদ্বার জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে এসব লাইনকে মুখে অবৈধ বললেও, বিপুল অর্থের বিনিময়ে তারাই এ অবৈধ গ্যাস সংযোগের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে উপজেলা এলজিআরডির পাকা সড়ক কেটে সম্পূর্ন অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মান হলেও কর্মকর্তারা কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলজিআরডি সড়কের মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর-কিষ্ণপুর-ইলিয়েটগঞ্জ সড়কের নহল-চৌমুহনী মোড় থেকে সড়ক কেটে দু’ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে মুকশাইর গ্রাম পর্যন্ত সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে টানা হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার ফুট লম্বা পাইপ লাইন। যেখানে দু’ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের কোন প্রকার কোন বৈধ্যতা না থাকলেও বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশনের কুমিল্লা হেড অফিস ও দেবিদ্বার জোনাল অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের এসব লাইন নির্মানে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এলজিআরডি বিভাগের সড়ক কেটে অবৈধ ভাবে পাইপ লাইন নেয়া হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে এ বিষয়ে চুপ থাকায় তা নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুমেন ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারীর ভাগিনা জিলেটের মাধ্যমে রাতের-অন্ধকারে কোন এক অলৈাকিক ক্ষমতা বলে চালাচ্ছে অবৈধ এ লাইন নিমার্ন ও সংযোগ কার্যক্রম।

জানাযায়, নির্মানাধীন এ লাইন থেকে প্রায় ৩হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি। এজন্য প্রতি গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। যা থেকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আর মাঝ থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র গুলো। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস অনুমোদিত রাইজার মেশিন দিয়ে পাইব লাইন স্থাপন না করে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে লাইন নিয়ে ওয়েডিং করে পাইব লাইন স্থাপন করাতে এলাকাবাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামঘর, করিমপুর,রহিমপুর, নগরপাড় দের কি:মি:, ,বাখরনগর ৫কি:মি:, ছালিয়াকান্দি, গকুলনগর, ত্রিশ,সহ অর্ধশতাধিক গ্রাম এবং বোড়ারচর থেকে জাহাপুর পর্যন্ত ৩০হাজার ফুট এবং ভুবনঘর থেকে দরিকান্দি হয়ে দুলারামপুর পর্যন্ত ১১হাজার ফুট, করকটিয়া থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ২ কি:মি:, বাখরাবাদ-ইলিয়টগঞ্জ সড়ক হইতে সুবিলারচর পর্যন্ত  ২ কি:মি:, নবীপুর মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে বেড়িবাধ পর্যন্ত ৩ কি:মি:, রাণীমুহুরী-বড়ইয়াকুড়ি-বোড়ারচর পর্যন্ত ৬ কি:মি:, গাইটুলী-মসজিদের দু পার্শ্বের কাঁচা সড়কে লাইন নির্মাণ ৪কি:মি:, বড়িয়াকুড়ি-বোড়াররচর বাজার হয়ে গ্রামের ভিতর ৬ কিলোমিটার, দারোরা বাজার-পালাসুতা পর্যন্ত ৬হাজার ফুট, বাখরাবাদ সড়ক হইতে শুশুন্ডা বেরিবাধ পর্যন্ত ২কি:মি:, বাখরাবাদ সড়ক হইতে পায়ব পর্যন্ত ২কি:মি:, কেয়টগ্রাম হইতে উদনারপাড় পর্যন্ত ৫কি:মি:, ধনীরামপুর গ্রামে মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে বেড়িবাধ পর্যন্ত ৮শত ফুট, জাহাপুর দক্ষিণ পাড়া বেড়িবাধ হয়ে বোড়ারচর পর্যন্ত ৩হাজার ফুট, জাহাপুর দক্ষিণ পাড়া হইতে দড়িকন্দি ২কি:মি:,  নোয়াকান্দি মসজিদ থেকে ময়নল মিয়ার বাড়িতে রাইজার বসিয়ে ৬শত ফুট দূরে মৃত মুতি সরকার এর বাড়িতে ২টি চুলা এবং একই পাইপ থেকে আরো ৩০০ ফুট দূরে আনু সরকার এর বাড়িতে আরো ০৩টি চুলা স্থাপন মোট ৯শত ফোট, পালাসুতা ৬ হাজার ফুট, পায়ব ২কি:মি:, শুশুন্ডা ৩কি:মি:, মধ্যনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত ৩কি:মি:, নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কে ৩কি: মি:, গুঞ্জর ৩ কি:মি:, বড়ইয়াকুড়ি-তিক্তাকান্দা ২হাজার ফুট, বড়ইয়াকুড়ি, সংযোগ দেওয়ার সময় স্থানীয়রা মেশিনসহ শ্রমিকদেরকে আটক করে রাখে। পরে মুরাদনগর থানার এস.আই. মাহমুদুল হাসান রুবেল তাদেরকে উদ্ধার করে ছেড়ে দেয়। বোড়ারচর ব্রিজের উত্তর পার্শ্বের সড়কে ১কি:মি:,  পৈয়াপাথর দের কি:মি:, নহল-রামনগর ৩হাজার ৬শত ফুট, কাজিয়াতল থেকে দারোরা বাজার পর্যন্ত ২ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে সংযোগ ১৫ কি:মি:, এ কাজ চলা কালীন ভ্রাম্যমান আদালত এর অভিযান হওয়ার কথা থাকলেও কারণ বশত ভ্রাম্যমান আদালত আসেনি।

এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাসের দেবিদ্বার জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  শাহরিয়ার বাপ্পি জানান,  দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি সাধারন ডায়রি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কুমিল্লা জেলা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক মোহাম্মদ নিজামুল হাসান শরীফ বলেন,  আমি অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা শুনেছি।  এবিষয় গুলো আমি সেন্ট্রালকে অবহিত করেছি। খুব শীঘ্রই আমরা অভিযান চালাব। চক্রগুলো গ্যাস সংযোগের নামে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আবার ভুয়া বিল বানিয়ে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে এবার শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হব।