মো: নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রোজ মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০১৫ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ফুলকলি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র জিহাদ(৮) অপহরনের ৩দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের প্রবাসী মো: বাবুল মিয়া ও শাহনাজ বেগমের একমাত্র ছেলে ও ফুলকলি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র মো: জিহাদ (৮) গত ৬ জুলাই শনিবার দুপুর ২টায় বাড়ির পাশে পাচঁকিত্তা-রামচন্দ্রপুর সড়কে খেলতে যায়। পরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে আসা ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জিহাদকে অপহরন করে নিয়ে যায়। জিহাদের চাচা মো: শহিদ মিয়া বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।

স্কুলছাত্র জিহাদের পারিবারিক ভাবে জানা যায় অপহরনের পরদিন রবিবার বিকেল ৪ টায় জিহাদের বাড়িতে ফোন করে অপহরনকারীরা জিহাদকে সুস্থ রাখতে হলে পাচঁ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য একটি দোকানের বিকাশ নাম্বার দেয়। বাড়ির লোকজন ঐ নাম্বারে পাচঁ হাজার টাকা পাঠিয়ে, ঐ দোকান মালিককে ফোন করে ঘটনার বিষয়টি জানালে অপহরনকারীকে আটকের সহযোগিতা করার কথা বলে, ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকায় বিকাশ দোকানে আসতে বলে। বিষয়টি মুরাদনগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে, কামরাঙ্গীচর এলাকার পুলিশের ও ঢাকাতে অবস্থান কারী গ্রামের এক লোকের সহযোগিতায় রবিবার বিকেল ৪টায় অপহরনকৃত দলের রবিউলকে আটক করে কামরাঙ্গীচর থানা পুলিশ। সোমবার সকালে মুরাদনগর থানা পুলিশ আটককৃত রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে একমাত্র ছেলে জিহাদ অপহরনের ঘটনার তার মা এখন পাগল প্রায়,তিনি চিৎকার করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। জিহাদের মা শাহনাজ বেগম কান্না বিজড়িত কন্ঠে আকুতি জানিয়ে বলেন আপনারা যেভাবেই পারেন আমার জিহাদকে আমার কোলে ফিরিয়ে দেন। আমি এছাড়া আ কিছু চাইনা।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন স্কুলছাত্র জিহাদকে উদ্ধারে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।