ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ৪ দিনেও ফেলে যাওয়া সেই শিশুর অভিভাবকের সন্ধান মেলেনি

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক মাস বয়সি একটি মেয়ে শিশু একটি বাড়ির সিঁড়িতে ফেলে য়াওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি পাওয়ার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও শিশুটির বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত রোববার দুপুরে উপজেলা বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামের নবীপুর রোডের পাশের বসতবাড়ির সিঁড়ির ওপর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হুমায়ন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম।

এ বিষয়ে হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, রোববার দুপুরে দোতলা বাসার মধ্যে আমরা বিশ্রাম করছিলাম। এ সময় অনেকক্ষণ ধরে নিচতলা থেকে একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। পরে বাসা থেকে নেমে গিয়ে দেখি সিঁড়ির প্রবেশ মুখের ফ্লোরে একটি মেয়ে শিশু পড়ে আছে আর কান্না করছে।

তখন আশপাশে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও কাউকে দেখতে পাইনি। পরে এ ঘটনা আমার স্বামীকে জানালে তিনিও নিচে নেমে আসেন এবং শিশুটিকে কোলে তুলে নিতে বলেন। তবে আমাদের ধারণা, হয়তো কেউ এখানে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। শিশুটির পরনে একটি হলুদ সাদা রঙের জামা ছিল। শিশুটির আনুমানিক বয়স এক মাস হতে পারে।

এদিকে শিশু পাওয়ার খবর সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন নিঃসন্তান দম্পত্তি ও একাধিক পরিবার শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকি কেউ কেউ টাকার বিনিময়েও শিশুটিকে দত্তক নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া না গেলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগরে ৪ দিনেও ফেলে যাওয়া সেই শিশুর অভিভাবকের সন্ধান মেলেনি

আপডেট সময় ০৬:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক মাস বয়সি একটি মেয়ে শিশু একটি বাড়ির সিঁড়িতে ফেলে য়াওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি পাওয়ার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও শিশুটির বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত রোববার দুপুরে উপজেলা বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামের নবীপুর রোডের পাশের বসতবাড়ির সিঁড়ির ওপর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হুমায়ন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম।

এ বিষয়ে হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, রোববার দুপুরে দোতলা বাসার মধ্যে আমরা বিশ্রাম করছিলাম। এ সময় অনেকক্ষণ ধরে নিচতলা থেকে একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। পরে বাসা থেকে নেমে গিয়ে দেখি সিঁড়ির প্রবেশ মুখের ফ্লোরে একটি মেয়ে শিশু পড়ে আছে আর কান্না করছে।

তখন আশপাশে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও কাউকে দেখতে পাইনি। পরে এ ঘটনা আমার স্বামীকে জানালে তিনিও নিচে নেমে আসেন এবং শিশুটিকে কোলে তুলে নিতে বলেন। তবে আমাদের ধারণা, হয়তো কেউ এখানে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। শিশুটির পরনে একটি হলুদ সাদা রঙের জামা ছিল। শিশুটির আনুমানিক বয়স এক মাস হতে পারে।

এদিকে শিশু পাওয়ার খবর সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন নিঃসন্তান দম্পত্তি ও একাধিক পরিবার শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকি কেউ কেউ টাকার বিনিময়েও শিশুটিকে দত্তক নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া না গেলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।