ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ৭৫ বছরের পুরাতন প্রাথমিক স্কুলটি নানা সমস্যায় জর্জরিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কথায় বলে, ‘ধ্যানের চর্চা হয় গুহায়, ধর্মের চর্চা হয় মসজিদ-মন্দিরে, নীতির চর্চা হয় পরিবারে, বিদ্যার চর্চা হয় বিদ্যালয়ে’। বিদ্যা চর্চার এমনি একটি বিদ্যাপিঠ ৭৫ বছর ধরে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজও শিক্ষার আলো ও মনুষ্যত্বের বীজ রোপন করে আসছে। সেটি হলো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়টি অবকাঠামো ও পরিবেশের দিক থেকে ভাল অবস্থা থাকলেও শ্রেনী কক্ষ, শিক্ষক, স্থান, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে দিন কাঠাচ্ছে ৭৫ বছরের পুরাতন স্কুলটি। শ্রেনী কক্ষ ও শিক্ষক সংকটটি স্কুলটির প্রধান সমস্যা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লোখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান করে স্কুলটির বেহাল অবস্থার চিত্র তুলে ধরার পরও টনক নড়েনি কতিৃপক্ষের।

প্রতিটি কক্ষে গাদাগাদি করে দেয়া হচ্ছে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। ফলে এ এলাকায় শিক্ষার হার দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়। এ ছাড়াও নানান সমস্যায় আজ জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ্য সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা। এতো সমস্যার মাঝেও স্কুলটি পঞ্চম শ্রেণি দ্রুত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ।

জানা যায়, এলাকার এক শিক্ষানুরাগী পরিবারের উদ্যোগে ১৯৪০ সালে ৩৫ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পওে ২০০৩ সালে স্কুলটির সিমিত পরিমান জমির মধ্যে ৩শত জমিতে শিক্ষকদেও পশিক্ষন ভবন নিমার্ন করায় বিদ্যালয়টির জায়গা আরো ক্ষিন্ন হয়ে পরে। ১৯৭৩ সালে স্কুলটি সরকারী করন করা হয়।

বর্তমানে দু’তলা একটি, একতলা ২টি ভবন রয়েছে। ১টি অফিস রোমসহ শ্রেনী কক্ষ গুলোতে গাধা-গাধি ভাবে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার কার্যক্রম। যাতে করে গড়ম কালে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গত এক যুগ থেকে উপজেলার মডেল সরকারি প্রথমিক স্কুলটি নানান সমস্যায় আজ জর্রজরিত হয়ে ভেঙ্গে পরেছে স্কুলটির সকল কাযক্রম। স্কুলটিতে শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারনে কতৃপক্ষ বাধ্য হয়ে প্রায় ৮ বছর মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিতেক্ত ছাত্রাবাসের ফাটঁল ভবন ও নোংড়া পরিবেশে ৫টি রোম ব্যবহার করে পাঠদান চালিছে।

বিদ্যালয়টিতে শ্রেনী সংখ্যা ৫টি, শাখা ১৪টি এক হাজার শিক্ষ্যার্থীদের নিয়ে শিক্ষক, শ্রেনী কক্ষ, খেলার মাঠ, টয়লেট ও আর্সেনিক মূক্ত পানির সংকটেই চালানো হচ্ছে পাঠদান। স্কুলটি প্রতি বৎসর ১০০% শিক্ষার্থী বিভিন্ন পরিক্ষায় পাশ সহ প্রতি বৎসর পঞ্চম শ্রেনীতে ১০/১২ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি উপজেলার সর্বপ্রথম মডেল বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও আজো মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। উপজেলা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ডিজিটালের ছোয়া লাগলেও বিদ্যালয়টিতে এখনো কোন ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয়ের পাশে ময়লা-আবর্জণা ফেরার কারণে দুর্গন্ধে ক্লাশরুমে বসা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বক্তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কৃপক্ষের অভিযোগ জমির পরিমান কম হওয়ায় এখানে কোন ভবন নির্মান করা যাচ্ছেনা। জমি স্বল্পতার মঝেও বিদ্যালয়টির স্থানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের জন্য তৈরী করা হয় রির্সোস সেন্টার এতে করে স্কুলটির জায়গা স্বল্পতা আরো চরম আকার ধারন করে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, মডেল স্কুলে ২২জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ১৭ জন, প্রতি শ্রেনীতে শাখা রয়েছে ৫টি করে, প্রতি শ্রেনীতে ছাত্র সংখা ৩০ জন থাকার স্থল রয়েছে ৪৫ জন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষ্যক মো: গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, উল্লেখিত বিষয় গুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কতৃক্ষের ক্ষুদ্র পরিমান সহযোগিতা ছারা। সমপূর্ন ভাবে সর্মাসা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ,এন,এম, মাহাবুব আলম জানান, জায়গার স্বল্পতার কারণে উক্ত বিদ্যালয়ে বিল্ডিং করা যাচ্ছে না। তারপরও পুরাতন একটি ভবন ভেঙ্গে পিডিবি-৩ এর আওতায় পুরাতন ২তলা ভবনটি ভেঙ্গে ঐ স্থানে ৪তলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ভবনটি তৈরী করা হয়েছে তাকে ২য় তলা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৭৫ বছরের পুরাতন প্রাথমিক স্কুলটি নানা সমস্যায় জর্জরিত

আপডেট সময় ০৩:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কথায় বলে, ‘ধ্যানের চর্চা হয় গুহায়, ধর্মের চর্চা হয় মসজিদ-মন্দিরে, নীতির চর্চা হয় পরিবারে, বিদ্যার চর্চা হয় বিদ্যালয়ে’। বিদ্যা চর্চার এমনি একটি বিদ্যাপিঠ ৭৫ বছর ধরে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজও শিক্ষার আলো ও মনুষ্যত্বের বীজ রোপন করে আসছে। সেটি হলো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়টি অবকাঠামো ও পরিবেশের দিক থেকে ভাল অবস্থা থাকলেও শ্রেনী কক্ষ, শিক্ষক, স্থান, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে দিন কাঠাচ্ছে ৭৫ বছরের পুরাতন স্কুলটি। শ্রেনী কক্ষ ও শিক্ষক সংকটটি স্কুলটির প্রধান সমস্যা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লোখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান করে স্কুলটির বেহাল অবস্থার চিত্র তুলে ধরার পরও টনক নড়েনি কতিৃপক্ষের।

প্রতিটি কক্ষে গাদাগাদি করে দেয়া হচ্ছে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। ফলে এ এলাকায় শিক্ষার হার দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়। এ ছাড়াও নানান সমস্যায় আজ জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ্য সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা। এতো সমস্যার মাঝেও স্কুলটি পঞ্চম শ্রেণি দ্রুত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ।

জানা যায়, এলাকার এক শিক্ষানুরাগী পরিবারের উদ্যোগে ১৯৪০ সালে ৩৫ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পওে ২০০৩ সালে স্কুলটির সিমিত পরিমান জমির মধ্যে ৩শত জমিতে শিক্ষকদেও পশিক্ষন ভবন নিমার্ন করায় বিদ্যালয়টির জায়গা আরো ক্ষিন্ন হয়ে পরে। ১৯৭৩ সালে স্কুলটি সরকারী করন করা হয়।

বর্তমানে দু’তলা একটি, একতলা ২টি ভবন রয়েছে। ১টি অফিস রোমসহ শ্রেনী কক্ষ গুলোতে গাধা-গাধি ভাবে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার কার্যক্রম। যাতে করে গড়ম কালে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গত এক যুগ থেকে উপজেলার মডেল সরকারি প্রথমিক স্কুলটি নানান সমস্যায় আজ জর্রজরিত হয়ে ভেঙ্গে পরেছে স্কুলটির সকল কাযক্রম। স্কুলটিতে শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারনে কতৃপক্ষ বাধ্য হয়ে প্রায় ৮ বছর মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিতেক্ত ছাত্রাবাসের ফাটঁল ভবন ও নোংড়া পরিবেশে ৫টি রোম ব্যবহার করে পাঠদান চালিছে।

বিদ্যালয়টিতে শ্রেনী সংখ্যা ৫টি, শাখা ১৪টি এক হাজার শিক্ষ্যার্থীদের নিয়ে শিক্ষক, শ্রেনী কক্ষ, খেলার মাঠ, টয়লেট ও আর্সেনিক মূক্ত পানির সংকটেই চালানো হচ্ছে পাঠদান। স্কুলটি প্রতি বৎসর ১০০% শিক্ষার্থী বিভিন্ন পরিক্ষায় পাশ সহ প্রতি বৎসর পঞ্চম শ্রেনীতে ১০/১২ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি উপজেলার সর্বপ্রথম মডেল বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও আজো মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। উপজেলা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ডিজিটালের ছোয়া লাগলেও বিদ্যালয়টিতে এখনো কোন ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয়ের পাশে ময়লা-আবর্জণা ফেরার কারণে দুর্গন্ধে ক্লাশরুমে বসা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বক্তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কৃপক্ষের অভিযোগ জমির পরিমান কম হওয়ায় এখানে কোন ভবন নির্মান করা যাচ্ছেনা। জমি স্বল্পতার মঝেও বিদ্যালয়টির স্থানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের জন্য তৈরী করা হয় রির্সোস সেন্টার এতে করে স্কুলটির জায়গা স্বল্পতা আরো চরম আকার ধারন করে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, মডেল স্কুলে ২২জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ১৭ জন, প্রতি শ্রেনীতে শাখা রয়েছে ৫টি করে, প্রতি শ্রেনীতে ছাত্র সংখা ৩০ জন থাকার স্থল রয়েছে ৪৫ জন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষ্যক মো: গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, উল্লেখিত বিষয় গুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কতৃক্ষের ক্ষুদ্র পরিমান সহযোগিতা ছারা। সমপূর্ন ভাবে সর্মাসা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ,এন,এম, মাহাবুব আলম জানান, জায়গার স্বল্পতার কারণে উক্ত বিদ্যালয়ে বিল্ডিং করা যাচ্ছে না। তারপরও পুরাতন একটি ভবন ভেঙ্গে পিডিবি-৩ এর আওতায় পুরাতন ২তলা ভবনটি ভেঙ্গে ঐ স্থানে ৪তলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ভবনটি তৈরী করা হয়েছে তাকে ২য় তলা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।