ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ৮ বাড়িতে ডাকাতি

শরিফুল আলম চৌধুরী:

১৭ মার্চ ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার পাটুয়াটুলী গ্রামের সুশীল চন্দ্র সরকার, অমর চন্দ্র সরকার, মনি লাল  সরকার, সুভাষ চন্দ্র সরকার, টিশন চন্দ্র সরকার, কেশব কুমার সরকার, হারাদন মন্ডল ও প্রবাসাসী আবুল কাশেম মিয়্ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

সোমবার গভীর রাতে অস্ত্রধারী ডাকাত দল ওই আট বাড়ির শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে চাল-ডাল, টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে আনন্দ বৈরাগী নামের এক কাঠমিস্ত্রি জখম হয়েছে। একই রাতে উপজেলার মেলামচর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র পরামানিকের বাড়ির আরো ৮টি ঘরে ডাকাতি ঘটনা ঘটে।

ডাকাতের হামলায় শিকার মিজানুর রহমান, কেশব কুমার সরকার ও শ্মশান বৈরাগী জানান, রোববার রাত দেড়টার দিকে ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে সবাইকে জিম্মি করে হাত পা বেধেঁ ফেলে। পরে ঘরে থাকা প্রায় সব কিছুই লুট করে নিয়ে যায়। ওই দুই গ্রামে ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় আনন্দ বৈরাগীর ঘরে হানা দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই মুরাদনগর থানার এসআই মাহমুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ডাকাতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন  ডাকাতে আক্রান্তদের মামলা করার জন্য বলেছি কিন্তু তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।

ট্যাগস

মুরাদনগরে ৮ বাড়িতে ডাকাতি

আপডেট সময় ০২:০৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০১৫

শরিফুল আলম চৌধুরী:

১৭ মার্চ ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার পাটুয়াটুলী গ্রামের সুশীল চন্দ্র সরকার, অমর চন্দ্র সরকার, মনি লাল  সরকার, সুভাষ চন্দ্র সরকার, টিশন চন্দ্র সরকার, কেশব কুমার সরকার, হারাদন মন্ডল ও প্রবাসাসী আবুল কাশেম মিয়্ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

সোমবার গভীর রাতে অস্ত্রধারী ডাকাত দল ওই আট বাড়ির শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে চাল-ডাল, টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে আনন্দ বৈরাগী নামের এক কাঠমিস্ত্রি জখম হয়েছে। একই রাতে উপজেলার মেলামচর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র পরামানিকের বাড়ির আরো ৮টি ঘরে ডাকাতি ঘটনা ঘটে।

ডাকাতের হামলায় শিকার মিজানুর রহমান, কেশব কুমার সরকার ও শ্মশান বৈরাগী জানান, রোববার রাত দেড়টার দিকে ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে সবাইকে জিম্মি করে হাত পা বেধেঁ ফেলে। পরে ঘরে থাকা প্রায় সব কিছুই লুট করে নিয়ে যায়। ওই দুই গ্রামে ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় আনন্দ বৈরাগীর ঘরে হানা দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই মুরাদনগর থানার এসআই মাহমুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ডাকাতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন  ডাকাতে আক্রান্তদের মামলা করার জন্য বলেছি কিন্তু তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।