ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর প্রাইমারী শিক্ষা অফিস কসাইখানায় পরিণত

মুরাদনগর বাতা ডেস্কঃ

রোজ বুধবার, ১০ জুন ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান ও প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর বিভিন্ন অনিয়ন ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ফলে উপজেলা প্রইমারী শিক্ষা অফিস একটি কসাই খানায় পরিণত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে !

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান ও প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর কার্য্যালয়ে যোগদানের প্রায় ১১ বসর অবস্থানের পর থেকে সরকারী সকল প্রকার নিয়ম-বিধি ভঙ্গ করে নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত করছেন প্রইমারী শিক্ষা অফিস। তার সহকারি কেরানী জসিম উদ্দিন সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন। এখানে টাকা ছাড়া কোন শিক্ষকদের কোন প্রকার কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

শিক্ষকদের পেনশন টাকা উত্তোলন ও কিছু ক্রটিতে ২০/৬০ হাজার টাকা, মেডিকেল ছুটি মনজুর ও বকেয়া বিল তৈরীতে ২০/৩০ হাজার টাকা, সদ্য জাতীয় বিদ্যালয়ের অনতভূক্ত হওয়া প্রিধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের ৬/৮ হাজার টাকা, জুনিয়র শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক বানিয়ে অন্য স্কুলে বদলী করিয়ে ১০/১৫ হাজার টাকা, এ উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলীর ছাড়পত্র ও এলপিসি সার্ভিস নিতে ২/৩ হাজার টাকা, কোন টাইম স্কেল ও বকেয়া বিলের সময় ৫/৬ হাজার টাকা দিতে হয়, সেই টাকা প্রতি ক্লাস্টারের মাধ্যমে উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। নতুন শিক্ষক চাকুরীতে যোগদান ও কিছুদিন আগে যোগদান দেওয়ায় ২/৩ হাজার টাকা, কিছুদিন পূর্বে সরকারী ভাবে ২০০ স্কুলের জন্য অফিসিয়াল মালামাল ক্রয়ের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্ধ্য আসে, সেখানে সরকারি ভাবে ভ্যাট ৭শত পঞ্চাশ টাকার স্থলে ২হাজার দু’শত টাকা পঞ্চাশ টাকা কর্ত্যন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছারা টাকা ছাড়া পওয়া যায়না কোন প্রকার সেবা। প্রধান এ প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর বদান্যতায় রাতারাতি উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বনে যান। প্রথমিক শিক্ষা অফিসার না হয়েও এই হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর এ অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন তা কারোরই জানা নেই। এ ছাড়াও অফিসিয়াল কোন ফরম, সরকারী বরাদ্দ কৃর্ত সকল মালামাল ক্রয় করতে হয় তারই নির্দ্দারিত তৃষ্ণা লাইব্রেরী ও ফটোষ্ট্যোট দোকান থেকে ।

এব্যাপারে হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উল্লেখিত সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি হলাম একজন কেরানী, সেখানে আমার কী করার আছে। অফিসাররা যে নির্দ্দেশ প্রদান করে আমি তা পালন করে থাকি।

উল্লেখিত কর্মকান্ডের ব্যপারে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার এ এন এম মাহবুবুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়ে তিনি তার অফিসের কর্মচারিদের বিরোদ্ধে আনিত সকল অবিযোগ অস্বিাকার করে বলেন, আমি এ অফিসে যোগদানের পর থেকে কোন অনিয়ম হতে দেইনি। হলে হয়তো আমার পূর্বে এ অভিযোগ গুলো হতে পারে।

এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক সহঃ শিক্ষা অফিসার, ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, এসব বিষয় গুলো আমার জানা নেই। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগর প্রাইমারী শিক্ষা অফিস কসাইখানায় পরিণত

আপডেট সময় ০৩:৪০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০১৫

মুরাদনগর বাতা ডেস্কঃ

রোজ বুধবার, ১০ জুন ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান ও প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর বিভিন্ন অনিয়ন ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ফলে উপজেলা প্রইমারী শিক্ষা অফিস একটি কসাই খানায় পরিণত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে !

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান ও প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর কার্য্যালয়ে যোগদানের প্রায় ১১ বসর অবস্থানের পর থেকে সরকারী সকল প্রকার নিয়ম-বিধি ভঙ্গ করে নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত করছেন প্রইমারী শিক্ষা অফিস। তার সহকারি কেরানী জসিম উদ্দিন সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন। এখানে টাকা ছাড়া কোন শিক্ষকদের কোন প্রকার কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

শিক্ষকদের পেনশন টাকা উত্তোলন ও কিছু ক্রটিতে ২০/৬০ হাজার টাকা, মেডিকেল ছুটি মনজুর ও বকেয়া বিল তৈরীতে ২০/৩০ হাজার টাকা, সদ্য জাতীয় বিদ্যালয়ের অনতভূক্ত হওয়া প্রিধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের ৬/৮ হাজার টাকা, জুনিয়র শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক বানিয়ে অন্য স্কুলে বদলী করিয়ে ১০/১৫ হাজার টাকা, এ উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলীর ছাড়পত্র ও এলপিসি সার্ভিস নিতে ২/৩ হাজার টাকা, কোন টাইম স্কেল ও বকেয়া বিলের সময় ৫/৬ হাজার টাকা দিতে হয়, সেই টাকা প্রতি ক্লাস্টারের মাধ্যমে উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। নতুন শিক্ষক চাকুরীতে যোগদান ও কিছুদিন আগে যোগদান দেওয়ায় ২/৩ হাজার টাকা, কিছুদিন পূর্বে সরকারী ভাবে ২০০ স্কুলের জন্য অফিসিয়াল মালামাল ক্রয়ের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্ধ্য আসে, সেখানে সরকারি ভাবে ভ্যাট ৭শত পঞ্চাশ টাকার স্থলে ২হাজার দু’শত টাকা পঞ্চাশ টাকা কর্ত্যন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছারা টাকা ছাড়া পওয়া যায়না কোন প্রকার সেবা। প্রধান এ প্রভাবশালী হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর বদান্যতায় রাতারাতি উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বনে যান। প্রথমিক শিক্ষা অফিসার না হয়েও এই হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর এ অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন তা কারোরই জানা নেই। এ ছাড়াও অফিসিয়াল কোন ফরম, সরকারী বরাদ্দ কৃর্ত সকল মালামাল ক্রয় করতে হয় তারই নির্দ্দারিত তৃষ্ণা লাইব্রেরী ও ফটোষ্ট্যোট দোকান থেকে ।

এব্যাপারে হেড কেরানী মো: শাহেব আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উল্লেখিত সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি হলাম একজন কেরানী, সেখানে আমার কী করার আছে। অফিসাররা যে নির্দ্দেশ প্রদান করে আমি তা পালন করে থাকি।

উল্লেখিত কর্মকান্ডের ব্যপারে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার এ এন এম মাহবুবুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়ে তিনি তার অফিসের কর্মচারিদের বিরোদ্ধে আনিত সকল অবিযোগ অস্বিাকার করে বলেন, আমি এ অফিসে যোগদানের পর থেকে কোন অনিয়ম হতে দেইনি। হলে হয়তো আমার পূর্বে এ অভিযোগ গুলো হতে পারে।

এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক সহঃ শিক্ষা অফিসার, ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, এসব বিষয় গুলো আমার জানা নেই। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।