ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর বাজারে চার কোটি টাকার ভূমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ

শিশুর ত্বকে কোনটি

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

রোজ শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজারের ও ভূমি অফিস সংলগ্ন মুরগী বাজার স্থানীয় একটি মহল ভূয়া মালিক সেজে জাল দলিল তৈরী করে চার কোটি টাকা মূল্যের সরকারী ভূমি জবরদখল করে মার্কেট তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারের সাবেক ৫৪৩৪ ও বিএস ১০৪২৭ দাগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রসাশক, কুমিল্লার নামীয় বিএ খতিয়ান ১ এর ০৫৫০ একর ভূমি স্থানীয় ভূমি দস্যু সদর ইউনয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুদ, ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, ৩ নং ওয়র্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, খোরশেদ আলম, তাজুল ইসলাম দখল করার লক্ষে অস্থায়ী দোকানপাট ভাঙ্গচুর করে গত সোমবার গভীর রাতে টিনের ঘর তৈরী করে মার্কেট নির্মাণ করে। এ সময় কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ঘর ভাঙ্গচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। স্থানীয় প্রশাসন এতে বাধা দিলে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তৎকালিন জমিদার মহিম চন্দ্র দে জনস্বার্থে বাজার হিসেবে দান করে যাওয়া মুরাদনগর উপজেলাধীন ৬৬নং মৌজার এসএ ৩৯ নং খতিয়ানভূক্ত মালিক হরিদাস দে পিতা- মহিম চন্দ্র দে, সাং কাশিপুর এর নামে ৫৪৩৪ দাগে ৪৮ শতক ভূমির অংশের ৪ শতক দোকান হিসাবে রেকর্ড হয়। হরিদাসের মৃত্যুর পর তার পুত্র প্রনব চন্দ্র দে হতে গত ৭আগস্ট ৪২৪৩নং দলিলমূলে জবর দখলকারীরা মালিকানা দাবী করে নামজারী জমা খারিজ মোকদ্দমা নং ৭৩৬২/১৪-১৫ দাখিলসহ ভূয়া তঞ্চকি জাল ডিপি খতিয়ান নং ১২০৭ দাখিল করে।

মূল্যবান সরকারী সম্পদ আতœসাৎ করার জন্য দলিল গ্রহীতাগন সুচতুর পন্থায় ভিন্ন লোককে শ্রী প্রনব চন্দ্র দে পিতা মৃত হরিদাস দে, মাতা মৃত রাজ লক্ষী দে সাজিয়ে ও ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলিল দখল কারিরা দলিল করে নেন।
একাধিক সূত্র জানায়, শ্রী প্রনব চন্দ্র দে স্বাধীনতা যুদ্ধের আনেক পূর্বে স্বপরিবারে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতের উদয়পুরে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তার কোন ওয়ারিশ বাংলাদেশে নেই। প্রনব চন্দ্র দে ভারতের তারা বিনিময় মামলা নং ১৯১৭১/৬৮-৬৯ইং মূলে ৭৭১৮নং দলিল সম্পাদন করে ভারতে চলে যান। ফলে উক্ত প্রনব চন্দ্র দে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকায় বর্তমানে উক্ত ভূমির বিক্রয় দলিল সম্পাদন করার আইনগত কোন ভিত্তি নেই।

এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী জানান, জবর দখলকারীদের ৭ দিনের মধ্যে অস্থায়ী ঘর নিজ খরচে সরিয়ে না নিলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

ট্যাগস

মুরাদনগর বাজারে চার কোটি টাকার ভূমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

রোজ শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজারের ও ভূমি অফিস সংলগ্ন মুরগী বাজার স্থানীয় একটি মহল ভূয়া মালিক সেজে জাল দলিল তৈরী করে চার কোটি টাকা মূল্যের সরকারী ভূমি জবরদখল করে মার্কেট তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারের সাবেক ৫৪৩৪ ও বিএস ১০৪২৭ দাগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রসাশক, কুমিল্লার নামীয় বিএ খতিয়ান ১ এর ০৫৫০ একর ভূমি স্থানীয় ভূমি দস্যু সদর ইউনয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুদ, ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, ৩ নং ওয়র্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, খোরশেদ আলম, তাজুল ইসলাম দখল করার লক্ষে অস্থায়ী দোকানপাট ভাঙ্গচুর করে গত সোমবার গভীর রাতে টিনের ঘর তৈরী করে মার্কেট নির্মাণ করে। এ সময় কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ঘর ভাঙ্গচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। স্থানীয় প্রশাসন এতে বাধা দিলে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তৎকালিন জমিদার মহিম চন্দ্র দে জনস্বার্থে বাজার হিসেবে দান করে যাওয়া মুরাদনগর উপজেলাধীন ৬৬নং মৌজার এসএ ৩৯ নং খতিয়ানভূক্ত মালিক হরিদাস দে পিতা- মহিম চন্দ্র দে, সাং কাশিপুর এর নামে ৫৪৩৪ দাগে ৪৮ শতক ভূমির অংশের ৪ শতক দোকান হিসাবে রেকর্ড হয়। হরিদাসের মৃত্যুর পর তার পুত্র প্রনব চন্দ্র দে হতে গত ৭আগস্ট ৪২৪৩নং দলিলমূলে জবর দখলকারীরা মালিকানা দাবী করে নামজারী জমা খারিজ মোকদ্দমা নং ৭৩৬২/১৪-১৫ দাখিলসহ ভূয়া তঞ্চকি জাল ডিপি খতিয়ান নং ১২০৭ দাখিল করে।

মূল্যবান সরকারী সম্পদ আতœসাৎ করার জন্য দলিল গ্রহীতাগন সুচতুর পন্থায় ভিন্ন লোককে শ্রী প্রনব চন্দ্র দে পিতা মৃত হরিদাস দে, মাতা মৃত রাজ লক্ষী দে সাজিয়ে ও ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলিল দখল কারিরা দলিল করে নেন।
একাধিক সূত্র জানায়, শ্রী প্রনব চন্দ্র দে স্বাধীনতা যুদ্ধের আনেক পূর্বে স্বপরিবারে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতের উদয়পুরে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তার কোন ওয়ারিশ বাংলাদেশে নেই। প্রনব চন্দ্র দে ভারতের তারা বিনিময় মামলা নং ১৯১৭১/৬৮-৬৯ইং মূলে ৭৭১৮নং দলিল সম্পাদন করে ভারতে চলে যান। ফলে উক্ত প্রনব চন্দ্র দে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকায় বর্তমানে উক্ত ভূমির বিক্রয় দলিল সম্পাদন করার আইনগত কোন ভিত্তি নেই।

এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী জানান, জবর দখলকারীদের ৭ দিনের মধ্যে অস্থায়ী ঘর নিজ খরচে সরিয়ে না নিলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।