ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগ থানার এসআই আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা

মো: নাজিম উদ্দিন, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

রোজ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার এস,আই আনোয়ার হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অভিযোগে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে কুমিল্লার গোয়েন্দা সংস্থা (সি.আই.ডি) কে মামলা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলা নং- সি.আর ৪১৬/১৫।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, মুরাদনগর থানার বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামের মৃত: আব্দুল বারেকের পুত্র আলাউদ্দিন (আমিন) বাদী হয়ে মঙ্গলবার কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর আদালতে মুরাদনগর থানার এস.আই মো: আনোয়ার হোসেন, মুরাদগর উপজেলার বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামের মো: নায়েব আলীর পুত্র মো: গিয়াস উদ্দিন, মৃত মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মো: আলাউদ্দিনকে আসামী করে এক মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী অভিযোগ করেন  গত ১৬ সেপ্টেম্বর বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামে বাদীর ভাগিনা শাহিন ও ওয়াসিমের সাথে মো: গিয়াস উদ্দিন ও মো: আলাউদ্দিনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাদীর ভাগিনারা গুরুতর আহত অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঐ রাতে ১১টার দিকে এস.আই আনোয়ার হোসেন এর উপস্থিতিতে বিবাদী গিয়াস উদ্দিন সহ সন্ত্রাসীরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুনরায় হামলা চালায়। এস.আই আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় হামলাকাদীদের গ্রেফতার না করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদীর ভাগিনাদের গ্রেফতার করে। ওলটো পরদিন গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে, ওই মামলায় আহত ভাগিনাদের হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরন করেন।

পরবর্তীতে বাদীর ভাগিনা আব্দুল মমিন বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে এস.আই আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদী আলাউদ্দিনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় খুন, ডাকাতি সহ বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে গাছে লটকিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর আসামী গিয়াস উদ্দিনসহ কতিপয় ডাকাত পত্রিতির লোকদের সাথে নিয়ে এস.আই আনোয়ার হোসেন বাদীর বাড়ীতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বাদীকে হয়রানি করেন। এবং বাদীর মা ও বোনকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে তার সাথে দেখা না করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়।

এমতা অবস্থায় আলাউদ্দিন (আমিন) বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে মুরাদনগর থানার এস,আই আনোয়ার হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালত মামলা করলে মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি শুনানি শেষে সি.আই.ডি কুমিল্লা কে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪৪৭/৪৪৮/১২৮/৩৮৯/ ৩৮৫/৬০৬(২) ও ১০৯ ধারায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. মো: জামাল উদ্দিন, এড. মাজহারুল ইসলাম মামুন, এড. এম.এ মান্নান।

 

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগ থানার এসআই আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা

আপডেট সময় ১০:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

মো: নাজিম উদ্দিন, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

রোজ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার এস,আই আনোয়ার হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অভিযোগে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে কুমিল্লার গোয়েন্দা সংস্থা (সি.আই.ডি) কে মামলা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলা নং- সি.আর ৪১৬/১৫।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, মুরাদনগর থানার বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামের মৃত: আব্দুল বারেকের পুত্র আলাউদ্দিন (আমিন) বাদী হয়ে মঙ্গলবার কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর আদালতে মুরাদনগর থানার এস.আই মো: আনোয়ার হোসেন, মুরাদগর উপজেলার বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামের মো: নায়েব আলীর পুত্র মো: গিয়াস উদ্দিন, মৃত মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মো: আলাউদ্দিনকে আসামী করে এক মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী অভিযোগ করেন  গত ১৬ সেপ্টেম্বর বড়–ইয়াকুড়ি গ্রামে বাদীর ভাগিনা শাহিন ও ওয়াসিমের সাথে মো: গিয়াস উদ্দিন ও মো: আলাউদ্দিনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাদীর ভাগিনারা গুরুতর আহত অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঐ রাতে ১১টার দিকে এস.আই আনোয়ার হোসেন এর উপস্থিতিতে বিবাদী গিয়াস উদ্দিন সহ সন্ত্রাসীরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুনরায় হামলা চালায়। এস.আই আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় হামলাকাদীদের গ্রেফতার না করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদীর ভাগিনাদের গ্রেফতার করে। ওলটো পরদিন গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে, ওই মামলায় আহত ভাগিনাদের হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরন করেন।

পরবর্তীতে বাদীর ভাগিনা আব্দুল মমিন বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে এস.আই আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদী আলাউদ্দিনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় খুন, ডাকাতি সহ বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে গাছে লটকিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর আসামী গিয়াস উদ্দিনসহ কতিপয় ডাকাত পত্রিতির লোকদের সাথে নিয়ে এস.আই আনোয়ার হোসেন বাদীর বাড়ীতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বাদীকে হয়রানি করেন। এবং বাদীর মা ও বোনকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে তার সাথে দেখা না করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়।

এমতা অবস্থায় আলাউদ্দিন (আমিন) বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে মুরাদনগর থানার এস,আই আনোয়ার হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালত মামলা করলে মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি শুনানি শেষে সি.আই.ডি কুমিল্লা কে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪৪৭/৪৪৮/১২৮/৩৮৯/ ৩৮৫/৬০৬(২) ও ১০৯ ধারায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. মো: জামাল উদ্দিন, এড. মাজহারুল ইসলাম মামুন, এড. এম.এ মান্নান।