ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেয়েদের কপালে টিপ পরার ক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে?

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ নিজেকে সাজাঁতে বেশিরভাগ সময়ই মেয়েরা বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। সাঁজার এই উপকরণগুলোর মধ্যে টিপ অন্যতম। কপালে টিপ না পরলে হয়তো সাজাঁটা পূর্ণতা পায় না। কিন্তু কপালে টিপ পরার ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলছে?

পবিত্র ইসলাম ধর্মে মেয়েদের কপালে টিপ পরাকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ অতীতকালে সমাজে যারা অনৈতিক কার্যকলাপ করত তারা কপালে টিপ পরিধান করত। এছাড়াও এর পেছনে একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।

মুসলিম জাহানের পিতা হযরত ঈবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮ মাইল পরিমাণ জায়গা আগুন জ্বালালো (নাউযুবিল্লাহ) তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল নমরুদ বাহিনির জালানো আগুন নিয়ে। আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে দূর থেকে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়।

কিন্তু রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান এসে নমরুদকে কুবুদ্ধি দিয়েছিল যে, সমাজে যারা অনৈতিক কার্যকলাপ করে এমন কয়েকজন মেয়ে এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা থাকতে পারবেন না। তাই করা হলো এবং ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চলে গেলেন, আর ঠিক তখনি তারা মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হলো।

কিন্তু আগুন আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে জালানোর বদলে ফুলের বাগান হয়ে গেলো, পরবর্তিতে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল যে পতিতা মেয়েদের কারণে রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরক ছেড়ে দূরে সরে গিয়েছিলেন, এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত যা মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে ব্যবহার করে যা সম্পূর্ণ হারাম। অতএব যারা বলে যে, মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন?

অশ্লীল পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন। অতএব যারা বলে— মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপকে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন?

পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন! ওহে! মুসলিম নারীরা, এই সত্য কথাটা জানার পর ও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন??

এছাড়া কপালে টিপ দেয়া বিধর্মীয় সাংস্কৃতিক রীতিতে পরিণত হওয়ায় তা বিধর্মীয় সাথে সম্পৃক্ত হিসাবেই গন্য হয়। আর বিধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পৃক্ত কোন বিষয় কোন মুসলমানের জন্য গ্রহন করা জায়েয হতে পারে না । কারো কাছে তা ভাল লাগলে মনে করতে হবে এ ব্যাপারে তার রুচিবোধ নষ্ট হয়ে গেছে ।

তাই স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য ও কপালে টিপ দেয়া যাবে না । কোনো স্বামী এমনটা চাইলে তাকে বুঝিয়ে এ অন্যায় থেকে বেঁচে থাকতে হবে ।

তথ্যসূত্র: তাফসীরে মা-রেফুল কুরআন, হযরত ইবরাহিম (আঃ) মূলগ্রন্থ, তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী, আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর

ট্যাগস

মেয়েদের কপালে টিপ পরার ক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে?

আপডেট সময় ০৪:১০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ নিজেকে সাজাঁতে বেশিরভাগ সময়ই মেয়েরা বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। সাঁজার এই উপকরণগুলোর মধ্যে টিপ অন্যতম। কপালে টিপ না পরলে হয়তো সাজাঁটা পূর্ণতা পায় না। কিন্তু কপালে টিপ পরার ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলছে?

পবিত্র ইসলাম ধর্মে মেয়েদের কপালে টিপ পরাকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ অতীতকালে সমাজে যারা অনৈতিক কার্যকলাপ করত তারা কপালে টিপ পরিধান করত। এছাড়াও এর পেছনে একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।

মুসলিম জাহানের পিতা হযরত ঈবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮ মাইল পরিমাণ জায়গা আগুন জ্বালালো (নাউযুবিল্লাহ) তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল নমরুদ বাহিনির জালানো আগুন নিয়ে। আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে দূর থেকে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়।

কিন্তু রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান এসে নমরুদকে কুবুদ্ধি দিয়েছিল যে, সমাজে যারা অনৈতিক কার্যকলাপ করে এমন কয়েকজন মেয়ে এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা থাকতে পারবেন না। তাই করা হলো এবং ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চলে গেলেন, আর ঠিক তখনি তারা মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হলো।

কিন্তু আগুন আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে জালানোর বদলে ফুলের বাগান হয়ে গেলো, পরবর্তিতে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল যে পতিতা মেয়েদের কারণে রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরক ছেড়ে দূরে সরে গিয়েছিলেন, এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত যা মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে ব্যবহার করে যা সম্পূর্ণ হারাম। অতএব যারা বলে যে, মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন?

অশ্লীল পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন। অতএব যারা বলে— মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপকে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন?

পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন! ওহে! মুসলিম নারীরা, এই সত্য কথাটা জানার পর ও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন??

এছাড়া কপালে টিপ দেয়া বিধর্মীয় সাংস্কৃতিক রীতিতে পরিণত হওয়ায় তা বিধর্মীয় সাথে সম্পৃক্ত হিসাবেই গন্য হয়। আর বিধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পৃক্ত কোন বিষয় কোন মুসলমানের জন্য গ্রহন করা জায়েয হতে পারে না । কারো কাছে তা ভাল লাগলে মনে করতে হবে এ ব্যাপারে তার রুচিবোধ নষ্ট হয়ে গেছে ।

তাই স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য ও কপালে টিপ দেয়া যাবে না । কোনো স্বামী এমনটা চাইলে তাকে বুঝিয়ে এ অন্যায় থেকে বেঁচে থাকতে হবে ।

তথ্যসূত্র: তাফসীরে মা-রেফুল কুরআন, হযরত ইবরাহিম (আঃ) মূলগ্রন্থ, তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী, আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর