ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেনআদালত।

আজ দুপুরে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার বিরুদ্ধে মামলা ও মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সকাল ১১টায় মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পুলিশ সদর দফতর হয়ে রোববার সকালে শাহবাগ থানায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দেয়।

জানা গেছে, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক বক্তব্য, অবৈধ পন্থায় সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং
সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়ার অভিযোগে পেনাল কোডের ১২১(ক) থেকে ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। একইভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে চার্জশিট দাখিলের আগেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন তিন বছরের সশ্রম কারাদ- এবং বিভিন্ন নগদ অর্থ জরিমানা করতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেনআদালত।

আজ দুপুরে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার বিরুদ্ধে মামলা ও মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সকাল ১১টায় মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পুলিশ সদর দফতর হয়ে রোববার সকালে শাহবাগ থানায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দেয়।

জানা গেছে, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক বক্তব্য, অবৈধ পন্থায় সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং
সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়ার অভিযোগে পেনাল কোডের ১২১(ক) থেকে ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। একইভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে চার্জশিট দাখিলের আগেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন তিন বছরের সশ্রম কারাদ- এবং বিভিন্ন নগদ অর্থ জরিমানা করতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।