ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

শয়নকক্ষ বা ঘুমানোর ঘরটি একটি একান্তই ব্যক্তিগত জায়গা। তবে আপনার পছন্দের রঙ, অনুভূতি এবং কিছু ভালো লাগার সংগ্রহ আপনার রুচি প্রকাশ করে। তাই আপনার ব্যক্তিগত এ ঘরটিকে সাজানোর জন্য অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

– ঘরটির দেয়ালের রঙ শুধুই আপনার পছন্দের হলে হবে না। ঘরের দেয়ালের রঙ সাধারণত হালকা নীল, সবুজ অথবা ল্যাভেন্ডার হলেই ভালো দেখায়। এসব রঙ খুব বেশি শান্ত প্রকৃতির মনে করা হয়ে থাকে। সতেজ এসব রঙ মেজাজ ঠিক রেখে মনকে শান্ত করতে পারে। শয়নকক্ষে সাধারণত খুব বেশি কড়া রঙ ব্যবহার না করাই ভালো। যেসব রঙ হালকা, সেসব রঙ দেয়ালে দিতে হবে। আপনার যে রঙ পছন্দ, সেটি যদি খুব বেশি কড়া হয়ে থাকে, তবে রঙটির দুই থেকে তিন শেড কমিয়ে ব্যবহার করলেই হবে।

– ঘরের সিলিংকে অদেখা করা যাবে না। কারণ আপনি যখন সারাদিনের ক্লান্তি শেষে আরাম করে আপনার পছন্দের বিছানায় শোবেন তখন চোখ পড়বে যে জায়গাটি, সেটা হলো সিলিং। তাই তার সজ্জার দিকেও নজর দিতে হবে। অবশ্যই আপনি একটি সাদা শূন্যস্থান দেখতে চাইবেন না। ঘরের পঞ্চম এ দেওয়ালটিতে অন্যান্য রঙ থেকে আরও এক শেড হালকা রঙ ব্যবহার করলে ভালো হয়। রঙের পরিবর্তে বাজারে নানা ধরনের ওয়ালপেপার কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়েও সিলিং সাজানো যেতে পারে।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– যতটা সম্ভব এ ঘরটিতে অল্প সংখ্যক আসবাবপত্র রাখুন। যেমন একটি বিছানা, বিছানার পাশের দু’টি ছোট টেবিল, টেবিল দু’টির উপরে দুটো মাঝারি আকৃতির টেবিল ল্যাম্প, একটি ড্রেসিং টেবিল এবং চেয়ারের মত প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে আসবাবপত্রগুলো যেনো খুব বেশি বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত জায়গা দখল করে এমন জিনিস ঘরটি থেকে দূরে রাখুন। অন্যান্য কিছু জিনিস রেখেও ঘরটিকে আরও বেশি সজ্জিত দেখাতে পারেন। যেমন বিছানার পেছনের দিকে উপরে পারিবারিক একটি ছবির বড় ফ্রেম, ফুলদানি, মোমবাতি অথবা ছবি যদি পছন্দ করেন তাহলে দুই একটা ছবিও দেয়ালে লাগাতে পারেন। আপনার ঘরটি যদি অনেক বেশি বড় অথবা ছোট হয়ে থাকে তবে সে অনুযায়ী জিনিসপত্র কমিয়ে কিংবা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

ঘরে ভালোবাসার ছোঁয়া

– ঘরের একটি কোণ নিজের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। একটি মাদুরের উপরে সিঙ্গেল একটি সোফা অথবা একটি আরামদায়ক চেয়ার রাখতে পারেন। পাশে একটি ছোট টেবিল যার উপরে কয়েকটা পছন্দের বই রাখতে পারেন। এই কোণাটি যদি জানালার পাশে হয় তাহলে আরও বেশি সুন্দর দেখায়। তবে যদি জানালার পাশে না হয় তাহলে চেয়ারের আরেক পাশে একটি লম্বা ল্যাম্প রাখতে পারেন। যা জালিয়ে নিজের পছন্দের বই পড়ে নিজের কিছু সময় কাটাতে পারবেন।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– ঘরের পর্দার প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পর্দার কাপড় লিনেন হলেই বেশি মানানসই। পর্দা প্রিন্টের হলে আকর্ষণীয় দেখায়। শতভাগ সুতি এমন কাপড় থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সুতি কাপড় অনেক বেশি শক্ত হয়ে যায়। লিনেন কাপড়ের দাম খুব একটা বেশি নয়। লিনেন অনেক বেশি ঐশ্বর্য এবং প্রাচুর্য প্রদর্শন করতে সক্ষম।

ঘর সাজাতে ‘ড্রিম ক্যাচার’

– জানালার দিকে নজর না দিলে তো ঘর সাজানোর সব চেষ্টাই প্রায় বিফলে যাবে। জানালার সাজানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ড্রিম ক্যাচার, ছোট ছোট ফুল, রঙিন রিবন, ছাড়াও নানা জিনিস। ছোট ছোট ফুল গাছ রাখলে সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। তবে এমন কিছু ব্যবহার করা যাবে না যা সকালের সূর্যের আলোকে অথবা বাইরের পরিশুদ্ধ বাতাসকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– ঘর সুন্দর দেখাতে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে আলো। আর আলোর জন্য প্রত্যক্ষ ভূমিকায় রয়েছে লাইট। ঘরে বিভিন্ন ধরনের লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে নানা ধরনের রঙের লাইট লাগাতে হবে। বাজারে ভিন্নধর্মী লাইট পাওয়া যায় যাদের ঘর সাজানোর জন্য ব্যবহারে কোনো জুড়ি নেই। ঘুমানোর সময়ের জন্য খুব বেশি আলো এমন লাইট না জালিয়ে খুব মৃদু আলো সম্পন্ন লাইট জালানো যেতে পারে। এতে চোখেও কোনো ক্ষতি হয় না, ঘুমেও কোনো বাধা আসে না। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট টেবিল ল্যাম্প সেরা উপায়।

এ সকল উপায় বাদেও নিজের রুচি মতো খুব অল্প সংখ্যক জিনিস দিয়েই নিজের এ ঘরটিকে সাজিয়ে নেওয়া সম্ভব। শুধু কিছু জিনিসের প্রতি মনোযোগ দিলেই হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

আপডেট সময় ০৬:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

শয়নকক্ষ বা ঘুমানোর ঘরটি একটি একান্তই ব্যক্তিগত জায়গা। তবে আপনার পছন্দের রঙ, অনুভূতি এবং কিছু ভালো লাগার সংগ্রহ আপনার রুচি প্রকাশ করে। তাই আপনার ব্যক্তিগত এ ঘরটিকে সাজানোর জন্য অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

– ঘরটির দেয়ালের রঙ শুধুই আপনার পছন্দের হলে হবে না। ঘরের দেয়ালের রঙ সাধারণত হালকা নীল, সবুজ অথবা ল্যাভেন্ডার হলেই ভালো দেখায়। এসব রঙ খুব বেশি শান্ত প্রকৃতির মনে করা হয়ে থাকে। সতেজ এসব রঙ মেজাজ ঠিক রেখে মনকে শান্ত করতে পারে। শয়নকক্ষে সাধারণত খুব বেশি কড়া রঙ ব্যবহার না করাই ভালো। যেসব রঙ হালকা, সেসব রঙ দেয়ালে দিতে হবে। আপনার যে রঙ পছন্দ, সেটি যদি খুব বেশি কড়া হয়ে থাকে, তবে রঙটির দুই থেকে তিন শেড কমিয়ে ব্যবহার করলেই হবে।

– ঘরের সিলিংকে অদেখা করা যাবে না। কারণ আপনি যখন সারাদিনের ক্লান্তি শেষে আরাম করে আপনার পছন্দের বিছানায় শোবেন তখন চোখ পড়বে যে জায়গাটি, সেটা হলো সিলিং। তাই তার সজ্জার দিকেও নজর দিতে হবে। অবশ্যই আপনি একটি সাদা শূন্যস্থান দেখতে চাইবেন না। ঘরের পঞ্চম এ দেওয়ালটিতে অন্যান্য রঙ থেকে আরও এক শেড হালকা রঙ ব্যবহার করলে ভালো হয়। রঙের পরিবর্তে বাজারে নানা ধরনের ওয়ালপেপার কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়েও সিলিং সাজানো যেতে পারে।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– যতটা সম্ভব এ ঘরটিতে অল্প সংখ্যক আসবাবপত্র রাখুন। যেমন একটি বিছানা, বিছানার পাশের দু’টি ছোট টেবিল, টেবিল দু’টির উপরে দুটো মাঝারি আকৃতির টেবিল ল্যাম্প, একটি ড্রেসিং টেবিল এবং চেয়ারের মত প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে আসবাবপত্রগুলো যেনো খুব বেশি বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত জায়গা দখল করে এমন জিনিস ঘরটি থেকে দূরে রাখুন। অন্যান্য কিছু জিনিস রেখেও ঘরটিকে আরও বেশি সজ্জিত দেখাতে পারেন। যেমন বিছানার পেছনের দিকে উপরে পারিবারিক একটি ছবির বড় ফ্রেম, ফুলদানি, মোমবাতি অথবা ছবি যদি পছন্দ করেন তাহলে দুই একটা ছবিও দেয়ালে লাগাতে পারেন। আপনার ঘরটি যদি অনেক বেশি বড় অথবা ছোট হয়ে থাকে তবে সে অনুযায়ী জিনিসপত্র কমিয়ে কিংবা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

ঘরে ভালোবাসার ছোঁয়া

– ঘরের একটি কোণ নিজের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। একটি মাদুরের উপরে সিঙ্গেল একটি সোফা অথবা একটি আরামদায়ক চেয়ার রাখতে পারেন। পাশে একটি ছোট টেবিল যার উপরে কয়েকটা পছন্দের বই রাখতে পারেন। এই কোণাটি যদি জানালার পাশে হয় তাহলে আরও বেশি সুন্দর দেখায়। তবে যদি জানালার পাশে না হয় তাহলে চেয়ারের আরেক পাশে একটি লম্বা ল্যাম্প রাখতে পারেন। যা জালিয়ে নিজের পছন্দের বই পড়ে নিজের কিছু সময় কাটাতে পারবেন।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– ঘরের পর্দার প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পর্দার কাপড় লিনেন হলেই বেশি মানানসই। পর্দা প্রিন্টের হলে আকর্ষণীয় দেখায়। শতভাগ সুতি এমন কাপড় থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সুতি কাপড় অনেক বেশি শক্ত হয়ে যায়। লিনেন কাপড়ের দাম খুব একটা বেশি নয়। লিনেন অনেক বেশি ঐশ্বর্য এবং প্রাচুর্য প্রদর্শন করতে সক্ষম।

ঘর সাজাতে ‘ড্রিম ক্যাচার’

– জানালার দিকে নজর না দিলে তো ঘর সাজানোর সব চেষ্টাই প্রায় বিফলে যাবে। জানালার সাজানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ড্রিম ক্যাচার, ছোট ছোট ফুল, রঙিন রিবন, ছাড়াও নানা জিনিস। ছোট ছোট ফুল গাছ রাখলে সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। তবে এমন কিছু ব্যবহার করা যাবে না যা সকালের সূর্যের আলোকে অথবা বাইরের পরিশুদ্ধ বাতাসকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা

– ঘর সুন্দর দেখাতে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে আলো। আর আলোর জন্য প্রত্যক্ষ ভূমিকায় রয়েছে লাইট। ঘরে বিভিন্ন ধরনের লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে নানা ধরনের রঙের লাইট লাগাতে হবে। বাজারে ভিন্নধর্মী লাইট পাওয়া যায় যাদের ঘর সাজানোর জন্য ব্যবহারে কোনো জুড়ি নেই। ঘুমানোর সময়ের জন্য খুব বেশি আলো এমন লাইট না জালিয়ে খুব মৃদু আলো সম্পন্ন লাইট জালানো যেতে পারে। এতে চোখেও কোনো ক্ষতি হয় না, ঘুমেও কোনো বাধা আসে না। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট টেবিল ল্যাম্প সেরা উপায়।

এ সকল উপায় বাদেও নিজের রুচি মতো খুব অল্প সংখ্যক জিনিস দিয়েই নিজের এ ঘরটিকে সাজিয়ে নেওয়া সম্ভব। শুধু কিছু জিনিসের প্রতি মনোযোগ দিলেই হবে।