ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যার রহস্য উদঘ্যাটন:মায়ের পরকীয়ায় খুন হয় শিশু ফয়সাল

আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রোজ রোববার, ০২ আগস্ট ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে মায়ের পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় নুরুল আমিন মীরু নামের এক পরকীয়া প্রেমিকই ফয়সালের বাবাকে ফাঁসাতে তার শিশু সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে।

রোববার বিকেলে কুমিল্লার আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কুমিল্লার গোমতী নদীর মুরাদনগর ও তিতাস উপজেলা সীমান্তবর্তী মানিককান্দি এলাকা থেকে তিতাস থানা পুলিশ ফয়সালের লাশ উদ্ধার করেছিল।

থানা সূত্রে জানা জায়, উপজেলার জাহাপুর গ্রামের হোসেন মিয়া প্রথম স্ত্রী রেখে একই গ্রামের নিলুফা বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাই একমাত্র সন্তান ফয়সালকে(৭) নিয়ে সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। এ সময় তার সাথে একই গ্রামের নুরুল আলম মিরু নামের এক ব্যক্তির পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ফয়সালের বাবা তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক নুরুল আলম মিরুকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সালকে খুন করে। নিহত ফয়সালের মায়ের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে মুরাদনগর থানার এস.আই মাহবুবুর রহমান অভিযান চালিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার মরিচাকান্দা এলাকা থেকে পরকীয়া প্রেমিক নুরুল আলম মিরুকে গ্রেফতার করে। গত রোববার বিকেলে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ফরহাদীন আমিন চৌধুরীর আমলী আদালতে তাকে হাজির করা হলে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।

১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মিরু জানায়, ‘ফয়সালের মা নিলুফা বেগমের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে, কিন্তু এতে ফয়সালের বাবা হোসেন বাঁধা হয়ে দাড়ায়, তাই তাকে নানাভাবে চাপ দেয়ায় ফয়সালের বাবাকে ফাঁসানোর জন্যই তার শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে কৌশলে বাহিরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গোমতী ফেলে দেয়া হয়।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ফয়সাল বাড়ি থেকে নিঁখোজ হয়। এ বিষয়ে রাতে মা স্ত্রী নিলুফা বেগম ছেলে অপহরণের অভিযোগ এনে তার স্বামী হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

হত্যার রহস্য উদঘ্যাটন:মায়ের পরকীয়ায় খুন হয় শিশু ফয়সাল

আপডেট সময় ০৫:০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০১৫

আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রোজ রোববার, ০২ আগস্ট ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে মায়ের পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় নুরুল আমিন মীরু নামের এক পরকীয়া প্রেমিকই ফয়সালের বাবাকে ফাঁসাতে তার শিশু সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে।

রোববার বিকেলে কুমিল্লার আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কুমিল্লার গোমতী নদীর মুরাদনগর ও তিতাস উপজেলা সীমান্তবর্তী মানিককান্দি এলাকা থেকে তিতাস থানা পুলিশ ফয়সালের লাশ উদ্ধার করেছিল।

থানা সূত্রে জানা জায়, উপজেলার জাহাপুর গ্রামের হোসেন মিয়া প্রথম স্ত্রী রেখে একই গ্রামের নিলুফা বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাই একমাত্র সন্তান ফয়সালকে(৭) নিয়ে সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। এ সময় তার সাথে একই গ্রামের নুরুল আলম মিরু নামের এক ব্যক্তির পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ফয়সালের বাবা তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক নুরুল আলম মিরুকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সালকে খুন করে। নিহত ফয়সালের মায়ের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে মুরাদনগর থানার এস.আই মাহবুবুর রহমান অভিযান চালিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার মরিচাকান্দা এলাকা থেকে পরকীয়া প্রেমিক নুরুল আলম মিরুকে গ্রেফতার করে। গত রোববার বিকেলে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ফরহাদীন আমিন চৌধুরীর আমলী আদালতে তাকে হাজির করা হলে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।

১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মিরু জানায়, ‘ফয়সালের মা নিলুফা বেগমের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে, কিন্তু এতে ফয়সালের বাবা হোসেন বাঁধা হয়ে দাড়ায়, তাই তাকে নানাভাবে চাপ দেয়ায় ফয়সালের বাবাকে ফাঁসানোর জন্যই তার শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে কৌশলে বাহিরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গোমতী ফেলে দেয়া হয়।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ফয়সাল বাড়ি থেকে নিঁখোজ হয়। এ বিষয়ে রাতে মা স্ত্রী নিলুফা বেগম ছেলে অপহরণের অভিযোগ এনে তার স্বামী হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।