ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের মৃৎশিল্প

pc muranagar 03-02-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

উন্নত প্রশিক্ষন না থাকায় উৎপাদিত পণ্যে নিত্য-নতুন কারুকার্য সংযোজন করতে না পারায় হারিয়ে যেতে বসেছে কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃৎশিল্প। উপজেলার কামাল্লা, মাজুর, ঘোড়াশাল ও শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থান এ শিল্পের। ডিজিটাল যুগে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা আগের সময়ের নকশা নিয়েই পড়ে থাকায়, প্লাষ্টিক ও এ্যালমুনিয়ামের তৈরি জিনিস পত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেনা।

মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কুমার পাড়া ঘুড়ে ও মৃৎশিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের মৃৎশিল্পিদের পরিবারের সবাই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ না দেখায়, । এ শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে তাদের নতুন প্রজন্মে বাব-দাদার প্রচিনতম পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ৬০/৭০ টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫/১৬টি পরিবার  এখনো বাপ-দাদার আদি পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঐ সব পরিবারদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা।

pc muradnagar1 03-02-15

কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের তেমন চাহিদা না থাকা, নিত্য-নতুন নজরকড়া নকশা সংযোজন করতে না পারা ও উন্নত প্রশিক্ষনের অভাবে এ শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মৃৎশিল্পিরা। এ পেশায় থাকা শিল্পিরা সরকারের তরপ থেকে উন্নত প্রশিক্ষন, ব্যাংক লোন ও গ্যাস সরবারাহের ব্যাবস্থা করলে তারা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ শিল্পকে ধরে রাখতে পারবেন বলে জানান।

ট্যাগস

হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের মৃৎশিল্প

আপডেট সময় ০৭:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

pc muranagar 03-02-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

উন্নত প্রশিক্ষন না থাকায় উৎপাদিত পণ্যে নিত্য-নতুন কারুকার্য সংযোজন করতে না পারায় হারিয়ে যেতে বসেছে কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃৎশিল্প। উপজেলার কামাল্লা, মাজুর, ঘোড়াশাল ও শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থান এ শিল্পের। ডিজিটাল যুগে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা আগের সময়ের নকশা নিয়েই পড়ে থাকায়, প্লাষ্টিক ও এ্যালমুনিয়ামের তৈরি জিনিস পত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেনা।

মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কুমার পাড়া ঘুড়ে ও মৃৎশিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের মৃৎশিল্পিদের পরিবারের সবাই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ না দেখায়, । এ শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে তাদের নতুন প্রজন্মে বাব-দাদার প্রচিনতম পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ৬০/৭০ টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫/১৬টি পরিবার  এখনো বাপ-দাদার আদি পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঐ সব পরিবারদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা।

pc muradnagar1 03-02-15

কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের তেমন চাহিদা না থাকা, নিত্য-নতুন নজরকড়া নকশা সংযোজন করতে না পারা ও উন্নত প্রশিক্ষনের অভাবে এ শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মৃৎশিল্পিরা। এ পেশায় থাকা শিল্পিরা সরকারের তরপ থেকে উন্নত প্রশিক্ষন, ব্যাংক লোন ও গ্যাস সরবারাহের ব্যাবস্থা করলে তারা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ শিল্পকে ধরে রাখতে পারবেন বলে জানান।