ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হোমনায় প্রধান শিক্ষক ও সহঃশিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ:ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থী

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

রোজ মঙ্গলবার, ১৬ জুন  ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

হোমনা উপজেলার  দড়িচর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মায়া রানী দেবী ও  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরষদের সভাপতি মোঃ কবির আলমের স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে ও সহকারী শিক্ষক ও পরিচালনা পরষদের অন্য সদস্যদের বিরোধ মাধ্যে চরম বিরোধের কারনে বিদ্যালয়ে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে জানা যায়, হোমনা উপজেলা দড়িচর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক দু’গ্রুপে বিভক্ত। সহকারীরা প্রধান শিক্ষকের আদেশ মানছে না। ফলে নিয়মিত ক্লাশ ও সকালে ছাত্র সমাবেশ হচ্ছে না। এতে কমে যাচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা। খারাপ হচ্ছে ফলাফল । কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ফলে শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও জবাব দিহিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে । বিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষকই মহিলা এর মধ্যে ৩ জন সহকারী শিক্ষক একই গ্রামের এবং ৪ জন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির মেয়ে হওয়ায় তাদের তাদের তৈরী নিয়ম নিতীতে চলেন তারা। পরিচালনা পরষদের সভাপতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পরষদের অন্য সদস্যরা অনাস্থা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এসে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার খাদিজা আক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার লোকজনের মাধ্যে ক্ষুভ রয়েছে।

মোঃ কবির আলম অভেযোগ করে বলেন, সভাপতি কমিটির বাকি সদস্যদের কোন পাত্তা না দিয়ে তার খেয়াল খুশি মত কাজ করছেন। বিদ্যালয়ে কোন বরাদ্ধ আসলে তিনি নীজেই তা খরচ করেন। তিনি লেখাপাড়ার স্বার্থে কোন কাজ করছে না। এতে বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার পরিবেশ নষ্ট হযেছে। এবং ফলাফল খারাপ হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মায়া রানী দেবী বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতসহ অধিকাংশ উন্নয়ন কাজে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষর সহ রেজুলেশন বাধ্যতামূলক করায় উন্নয়ন কাজের বিল ভাউচার জমা দিতে রেজুলেশনের প্রয়োজন হয়। কমিটির সভাপতির সাথে সদস্যদের বিরোধ থাকায় বিল ভাউচার ও রেজুলেশান করতে পারছি না।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যকার বিরোধ মিমাংশা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সর্ম্পকে আমি কিছুই জানি না।

সহকারী শিক্ষা অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের তদন্ত করতে গেলে, আমার তদন্ত কাজে বাধা প্রধানের বিষয়ে প্রতিবেদ দাখিল করেছি। ব্যবস্থা নেয়ার দ্বায়িত্ব উর্ধত্মন কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে হোমনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আল আমিন বলেন, দড়িচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। আগ[ামী শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস

হোমনায় প্রধান শিক্ষক ও সহঃশিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ:ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

রোজ মঙ্গলবার, ১৬ জুন  ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

হোমনা উপজেলার  দড়িচর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মায়া রানী দেবী ও  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরষদের সভাপতি মোঃ কবির আলমের স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে ও সহকারী শিক্ষক ও পরিচালনা পরষদের অন্য সদস্যদের বিরোধ মাধ্যে চরম বিরোধের কারনে বিদ্যালয়ে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে জানা যায়, হোমনা উপজেলা দড়িচর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক দু’গ্রুপে বিভক্ত। সহকারীরা প্রধান শিক্ষকের আদেশ মানছে না। ফলে নিয়মিত ক্লাশ ও সকালে ছাত্র সমাবেশ হচ্ছে না। এতে কমে যাচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা। খারাপ হচ্ছে ফলাফল । কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ফলে শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও জবাব দিহিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে । বিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষকই মহিলা এর মধ্যে ৩ জন সহকারী শিক্ষক একই গ্রামের এবং ৪ জন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির মেয়ে হওয়ায় তাদের তাদের তৈরী নিয়ম নিতীতে চলেন তারা। পরিচালনা পরষদের সভাপতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পরষদের অন্য সদস্যরা অনাস্থা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এসে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার খাদিজা আক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার লোকজনের মাধ্যে ক্ষুভ রয়েছে।

মোঃ কবির আলম অভেযোগ করে বলেন, সভাপতি কমিটির বাকি সদস্যদের কোন পাত্তা না দিয়ে তার খেয়াল খুশি মত কাজ করছেন। বিদ্যালয়ে কোন বরাদ্ধ আসলে তিনি নীজেই তা খরচ করেন। তিনি লেখাপাড়ার স্বার্থে কোন কাজ করছে না। এতে বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার পরিবেশ নষ্ট হযেছে। এবং ফলাফল খারাপ হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মায়া রানী দেবী বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতসহ অধিকাংশ উন্নয়ন কাজে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষর সহ রেজুলেশন বাধ্যতামূলক করায় উন্নয়ন কাজের বিল ভাউচার জমা দিতে রেজুলেশনের প্রয়োজন হয়। কমিটির সভাপতির সাথে সদস্যদের বিরোধ থাকায় বিল ভাউচার ও রেজুলেশান করতে পারছি না।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যকার বিরোধ মিমাংশা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সর্ম্পকে আমি কিছুই জানি না।

সহকারী শিক্ষা অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের তদন্ত করতে গেলে, আমার তদন্ত কাজে বাধা প্রধানের বিষয়ে প্রতিবেদ দাখিল করেছি। ব্যবস্থা নেয়ার দ্বায়িত্ব উর্ধত্মন কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে হোমনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আল আমিন বলেন, দড়িচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। আগ[ামী শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।