ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

1443346610
তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ
রোজ  রোববার, ২৭ সেপ্টম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার হোমনায় যৌতুকের দাবিতে হাসপাতালে ঢুকে আহত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছেন এক স্বামী। রবিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর বেডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হতভাগা গৃহবধূ স্বপ্না (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে একই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সঙ্গে এক সন্তানের জননী ও  উপজেলার মিরশীকারি গ্রামের মো. ফুল মিয়ার মেয়ে। আহতের বাবা মো. ফুল মিয়া জানান, গত চার বছর আগে তার মেয়েকে উপজেলার বাবরকান্দি গ্রামের চাঁনবাদশার ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় তাদেরকে এক লাখ দশ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারপরও বিয়ের পর থেকেই আরও যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় স্বামী নির্যাতন করতেন। ২৩ সেপ্টেম্বর স্বামী আবারও যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে খবর পেয়ে তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবার সকাল ৮টার দিকে স্বামী গোপনে হাসপাতালে ঢুকে তার আহত স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে এলোপাথারি গলায় পোছাতে থাকে। এ সময় অন্য রোগীরা চিৎকার করতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
হাসপালের কর্তব্যরত নার্স জাহানারা বেগম বলেন, ‘রোগীর স্বামী আমাদের সামনে যখন গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন, তখন ভয়ে অন্যান্য রোগীরা চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হাসপাতালে আগুন লেগেছে বলতে বলতে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।’
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনা শুনার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে ভিকটিমকে মামলা করতে বলা হয়েছে।’
ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

হোমনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:২১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
1443346610
তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ
রোজ  রোববার, ২৭ সেপ্টম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার হোমনায় যৌতুকের দাবিতে হাসপাতালে ঢুকে আহত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছেন এক স্বামী। রবিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর বেডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হতভাগা গৃহবধূ স্বপ্না (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে একই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সঙ্গে এক সন্তানের জননী ও  উপজেলার মিরশীকারি গ্রামের মো. ফুল মিয়ার মেয়ে। আহতের বাবা মো. ফুল মিয়া জানান, গত চার বছর আগে তার মেয়েকে উপজেলার বাবরকান্দি গ্রামের চাঁনবাদশার ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় তাদেরকে এক লাখ দশ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারপরও বিয়ের পর থেকেই আরও যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় স্বামী নির্যাতন করতেন। ২৩ সেপ্টেম্বর স্বামী আবারও যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে খবর পেয়ে তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবার সকাল ৮টার দিকে স্বামী গোপনে হাসপাতালে ঢুকে তার আহত স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে এলোপাথারি গলায় পোছাতে থাকে। এ সময় অন্য রোগীরা চিৎকার করতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
হাসপালের কর্তব্যরত নার্স জাহানারা বেগম বলেন, ‘রোগীর স্বামী আমাদের সামনে যখন গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন, তখন ভয়ে অন্যান্য রোগীরা চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হাসপাতালে আগুন লেগেছে বলতে বলতে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।’
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনা শুনার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে ভিকটিমকে মামলা করতে বলা হয়েছে।’