ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় শিক্ষকের জেল

আজিজুর রহমান রনিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই শিক্ষককে ১ মাসের জেল দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাল(৫২) উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ছালিয়াকান্দি ইন্দ্র ভূষন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ঘটনার শিকার দশম শ্রেনীর ছাত্রী বলেন, গত রবিবার মাথা ব্যাথার কারণে অর্ধ দিবসের পর মৌখিক ভাবে ছুটি নিতে আমি প্রধান শিক্ষকের রুমে যাই। প্রধান শিক্ষক আমার মাথা ব্যাথা কথাটি না শুনার ভান করে বলেন, তোমার কি মাজা ব্যাথা? বলতো মাজা ব্যাথা কি করণে হয়? শিক্ষকের এই প্রশ্নে আমি বিবর্ত বোধ করি। পরে আমার সহপাঠিরা একথা শুনে শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে।

প্রধান শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাল বলেন, ওই ছাত্রী মাথা ব্যাথার অজুহাতে ছুটি চাইলে আমি তাকে দমক দিয়ে বলি ছুটি দেয়া যাবে না। এরপর সে চলে আসে। ঘটনার দুদিন পর একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র করে আমাকে এই বিপদে ফেলেছে।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকের শাস্তিরদাবি তোলে, ঢাকা-মুরাদনগর রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ওই শিক্ষককে নিয়ে আসি। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্যে প্রমানিত হয় সে ইবটিজিং করেছে। শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাকে ১ মাসের জেল দেওয়া হয়।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগরে ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় শিক্ষকের জেল

আপডেট সময় ০৩:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬

আজিজুর রহমান রনিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই শিক্ষককে ১ মাসের জেল দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাল(৫২) উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ছালিয়াকান্দি ইন্দ্র ভূষন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ঘটনার শিকার দশম শ্রেনীর ছাত্রী বলেন, গত রবিবার মাথা ব্যাথার কারণে অর্ধ দিবসের পর মৌখিক ভাবে ছুটি নিতে আমি প্রধান শিক্ষকের রুমে যাই। প্রধান শিক্ষক আমার মাথা ব্যাথা কথাটি না শুনার ভান করে বলেন, তোমার কি মাজা ব্যাথা? বলতো মাজা ব্যাথা কি করণে হয়? শিক্ষকের এই প্রশ্নে আমি বিবর্ত বোধ করি। পরে আমার সহপাঠিরা একথা শুনে শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে।

প্রধান শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাল বলেন, ওই ছাত্রী মাথা ব্যাথার অজুহাতে ছুটি চাইলে আমি তাকে দমক দিয়ে বলি ছুটি দেয়া যাবে না। এরপর সে চলে আসে। ঘটনার দুদিন পর একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র করে আমাকে এই বিপদে ফেলেছে।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকের শাস্তিরদাবি তোলে, ঢাকা-মুরাদনগর রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ওই শিক্ষককে নিয়ে আসি। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্যে প্রমানিত হয় সে ইবটিজিং করেছে। শিক্ষক গুরুদাস চন্দ্রপাকে ১ মাসের জেল দেওয়া হয়।