ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে আ’লীগ নেতার কাছে অসহায় হিন্দু পরিবার

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

রোজ সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিতর্কিত জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু দম্পতিসহ একই পরিবারের ৪জনকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে আ’লীগ নেতা ভূমিদুস্যু নামে খ্যাত মো: আলম মিয়াসহ তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীবাহিনী।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের জেলে পাড়ায় কানু চন্দ্র বর্ম’র বাড়িতে।

অভিযোগকারী আহত কানু চন্দ্র বর্ম জানায়, ঘটনার দিন সকালে আমি বাড়ি ভরাটের জন্য মাটি এনে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলি, মাটি ভরাটের খবর পেয়ে আলম মিয়া তার দলবলসহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে এসে অশালীন গালি-গালাজ করে আমাকে ও আমার স্ত্রী অষ্টমী বর্ম (৩৫) ছেলে সাগর বর্ম (১২) ও ছোট ভাই সজিব বর্ম (২৮) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং বাড়ির আসবাব পত্র, টয়লেট, টিউবওয়েলসহ ঘরের বেড়া ভাংচুর করে।

পরে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ নিয়ে মুরাদনগর থানার সার্কেল ইকবাল হোসেন হাজারীর নিকট আসলে তিনি উভয় পক্ষকে ৫ই মার্চ শনিবারে মিমাংসা করে দিবে বলে জানায়, তাঁর এ আশ্বাসের ভিত্তিতে আমি থানা থেকে বের হয়ে গেইট পার হওয়া মাত্রই আলম মিয়া ও তার দলবল বিভিন্ন উস্কানিসহ হুমকি/ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মুরাদনগর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত কাবিল মিয়ার ছেলে আলম মিয়াসহ তার পালিত সন্ত্রাসীবাহিনী পুনারায় আমাকে এবং আমার ছেলে ও ভাইকে বেদড়ক মারধর করতে থাকে।

পরে স্থানীয় আ’লীগ নেতা আক্তার হোসেন মেম্বারসহ কয়েজন আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং খবর পেয়ে থানা সার্কেল ইকবাল হোসেন হাজারী এসে ২জন সিপাহীর তত্বাবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

আহত অষ্টমী বর্ম জানায়, দু-চারদিন পরপর আলম মিয়া ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি /ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও বাড়িঘর ভাংচুর করতে আসে। আমরা তার অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে আশ্রয় নেই। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস করে না

যে প্রতিবাদ করবে তাকেই বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা হিন্দু সম্প্রদায় কোথায় যাইব ? কার কাছে বিচার চাইব? আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমাদেরকে এ অত্যাচারী থেকে রক্ষা করুন।

স্থনীয়রা জানায়, একই জায়গার মালিক দাবী করছে কানু চন্দ্র বর্ম, আলম মিয়া ও সরকার। তবে এ জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা বলেই সবাই জানে। আলম মিয়া ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে আদালত থেকে নিজের নামে রায় নিয়ে আসে এবং জায়গার মালিক দাবী করে কয়েকদিন পরপর কানু চন্দ্র বর্মের বাড়িতে হামলা করে।

ট্যাগস

মুরাদনগর ভয়াবহ আগুন কয়ক কাটি টাকার ক্ষতি 

মুরাদনগরে আ’লীগ নেতার কাছে অসহায় হিন্দু পরিবার

আপডেট সময় ০৫:০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

রোজ সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিতর্কিত জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু দম্পতিসহ একই পরিবারের ৪জনকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে আ’লীগ নেতা ভূমিদুস্যু নামে খ্যাত মো: আলম মিয়াসহ তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীবাহিনী।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের জেলে পাড়ায় কানু চন্দ্র বর্ম’র বাড়িতে।

অভিযোগকারী আহত কানু চন্দ্র বর্ম জানায়, ঘটনার দিন সকালে আমি বাড়ি ভরাটের জন্য মাটি এনে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলি, মাটি ভরাটের খবর পেয়ে আলম মিয়া তার দলবলসহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে এসে অশালীন গালি-গালাজ করে আমাকে ও আমার স্ত্রী অষ্টমী বর্ম (৩৫) ছেলে সাগর বর্ম (১২) ও ছোট ভাই সজিব বর্ম (২৮) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং বাড়ির আসবাব পত্র, টয়লেট, টিউবওয়েলসহ ঘরের বেড়া ভাংচুর করে।

পরে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ নিয়ে মুরাদনগর থানার সার্কেল ইকবাল হোসেন হাজারীর নিকট আসলে তিনি উভয় পক্ষকে ৫ই মার্চ শনিবারে মিমাংসা করে দিবে বলে জানায়, তাঁর এ আশ্বাসের ভিত্তিতে আমি থানা থেকে বের হয়ে গেইট পার হওয়া মাত্রই আলম মিয়া ও তার দলবল বিভিন্ন উস্কানিসহ হুমকি/ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মুরাদনগর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত কাবিল মিয়ার ছেলে আলম মিয়াসহ তার পালিত সন্ত্রাসীবাহিনী পুনারায় আমাকে এবং আমার ছেলে ও ভাইকে বেদড়ক মারধর করতে থাকে।

পরে স্থানীয় আ’লীগ নেতা আক্তার হোসেন মেম্বারসহ কয়েজন আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং খবর পেয়ে থানা সার্কেল ইকবাল হোসেন হাজারী এসে ২জন সিপাহীর তত্বাবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

আহত অষ্টমী বর্ম জানায়, দু-চারদিন পরপর আলম মিয়া ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি /ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও বাড়িঘর ভাংচুর করতে আসে। আমরা তার অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে আশ্রয় নেই। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস করে না

যে প্রতিবাদ করবে তাকেই বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা হিন্দু সম্প্রদায় কোথায় যাইব ? কার কাছে বিচার চাইব? আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমাদেরকে এ অত্যাচারী থেকে রক্ষা করুন।

স্থনীয়রা জানায়, একই জায়গার মালিক দাবী করছে কানু চন্দ্র বর্ম, আলম মিয়া ও সরকার। তবে এ জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা বলেই সবাই জানে। আলম মিয়া ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে আদালত থেকে নিজের নামে রায় নিয়ে আসে এবং জায়গার মালিক দাবী করে কয়েকদিন পরপর কানু চন্দ্র বর্মের বাড়িতে হামলা করে।