ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরের ঘোড়াশালে ৭৬টি পরিবারে ৪০ দিনের খাদ্য সামগ্রি প্রদান করলেন আবু বকর ছিদ্দিক

এম কে আই জাবেদ:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২নং আকুবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের ৭৬ টি পরিবারের নিকট ৪০ দিনের জন্য খাদ্য দ্রব্য প্রদানের প্রথম দফা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকালে গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব আবুবকর ছিদ্দিকের বাড়ীতে তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকার কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে এক মাসের খাদ্য দ্রব্য বিতরণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হয়।

করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন চলায় এ বছর এই মহৎ উদ্যেগ্যের উদ্যেক্তা সমাজসেবক আবু বকর ছিদ্দিক ঢাকা থাকায় নিজে উপস্থিত থাকতে পারেনি।  মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও রায়হান উদ্দিনের পরিচালনায় প্রথম ধাপের এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

শ্রীকাইল কলেজ ও শ্রীকাইল কে কে উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য,  ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সমাজসেবক আবু বকর ছিদ্দিকের সাথে ফোনে কথা বলে জানাযায়: প্রত্যেক বছর ওনার ব্যক্তিগত উদ্যেগে ঘোড়াশাল গ্রামে হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারগুলোর মধ্যে এক মাসের জন্য চাল, ডাল, তৈল এবং নগদ টাকা বিতরণ করা হয়।

বিশেষ করে প্রত্যেক রমজানের সময় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও এ বছর করোনার প্রভাবের কারনে কিছুটা পূর্বেই দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ দিন পর পর ৪ বারে ৪০ দিন এই খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হবে, প্রয়োজনে এক মাসের পরেও এলাকায় এই ত্রাণ বিতরণ চালু রাখা হবে। প্রত্যেক পরিবারের লোক সংখ্যার অনুপাতিক হারে এই খাদ্য প্রদান করা হয়। যাতে করে কারো কম বেশি না হয়।

এই কার্যক্রমে ওনার ছেলে কানাডা প্রবাসি শাহাদত হোসেন বাবু অর্থিক সহায়তা করেছেন বলেও জানান। করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে কর্মহীন পরিবারগুলো এক মাসের খাদ্য সামগ্রির নিশ্চয়তা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন ঘোড়াশাল গ্রামের মোঃ সুহাগ টেইলার্স বলেন, আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ীর সাথে আমাদের ওয়ার্ডটি যুক্ত থাকায় এবং গ্রামটি ছোট ও দুরুত্বের কারনে অত্যান্ত  অবহেলিত।

ইউপি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় না। ভৌগোলিক ভাবে মেটংঘর  ও শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মাঝে ঘোড়াশাল গ্রামটি হওয়াতে আমাদের মেম্বর কড়ইবাড়ীর হওয়ায় সরকারি ত্রাণ আমরা অনেকেই তেমন পাইনা। তবে বিভিন্ন জনের ব্যক্তি উদ্যেগে সাহায্যে প্রদানের কারনে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান আবুবকর ছিদ্দিক সাহেব বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষদের কল্যাণে সহায়তা করে থাকেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

মুরাদনগরের ঘোড়াশালে ৭৬টি পরিবারে ৪০ দিনের খাদ্য সামগ্রি প্রদান করলেন আবু বকর ছিদ্দিক

আপডেট সময় ০৫:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

এম কে আই জাবেদ:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২নং আকুবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের ৭৬ টি পরিবারের নিকট ৪০ দিনের জন্য খাদ্য দ্রব্য প্রদানের প্রথম দফা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকালে গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব আবুবকর ছিদ্দিকের বাড়ীতে তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকার কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে এক মাসের খাদ্য দ্রব্য বিতরণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হয়।

করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন চলায় এ বছর এই মহৎ উদ্যেগ্যের উদ্যেক্তা সমাজসেবক আবু বকর ছিদ্দিক ঢাকা থাকায় নিজে উপস্থিত থাকতে পারেনি।  মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও রায়হান উদ্দিনের পরিচালনায় প্রথম ধাপের এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

শ্রীকাইল কলেজ ও শ্রীকাইল কে কে উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য,  ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সমাজসেবক আবু বকর ছিদ্দিকের সাথে ফোনে কথা বলে জানাযায়: প্রত্যেক বছর ওনার ব্যক্তিগত উদ্যেগে ঘোড়াশাল গ্রামে হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারগুলোর মধ্যে এক মাসের জন্য চাল, ডাল, তৈল এবং নগদ টাকা বিতরণ করা হয়।

বিশেষ করে প্রত্যেক রমজানের সময় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও এ বছর করোনার প্রভাবের কারনে কিছুটা পূর্বেই দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ দিন পর পর ৪ বারে ৪০ দিন এই খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হবে, প্রয়োজনে এক মাসের পরেও এলাকায় এই ত্রাণ বিতরণ চালু রাখা হবে। প্রত্যেক পরিবারের লোক সংখ্যার অনুপাতিক হারে এই খাদ্য প্রদান করা হয়। যাতে করে কারো কম বেশি না হয়।

এই কার্যক্রমে ওনার ছেলে কানাডা প্রবাসি শাহাদত হোসেন বাবু অর্থিক সহায়তা করেছেন বলেও জানান। করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে কর্মহীন পরিবারগুলো এক মাসের খাদ্য সামগ্রির নিশ্চয়তা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন ঘোড়াশাল গ্রামের মোঃ সুহাগ টেইলার্স বলেন, আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ীর সাথে আমাদের ওয়ার্ডটি যুক্ত থাকায় এবং গ্রামটি ছোট ও দুরুত্বের কারনে অত্যান্ত  অবহেলিত।

ইউপি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় না। ভৌগোলিক ভাবে মেটংঘর  ও শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মাঝে ঘোড়াশাল গ্রামটি হওয়াতে আমাদের মেম্বর কড়ইবাড়ীর হওয়ায় সরকারি ত্রাণ আমরা অনেকেই তেমন পাইনা। তবে বিভিন্ন জনের ব্যক্তি উদ্যেগে সাহায্যে প্রদানের কারনে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান আবুবকর ছিদ্দিক সাহেব বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষদের কল্যাণে সহায়তা করে থাকেন।