ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় সড়ক ও নৌপথে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা থেকে ঢুকছে মানুষ, এএসপি ফজলুল করিমের নেতৃত্বে জোরদার পুলিশি টহল

মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) :

কুমিল্লার হোমনা ও মেঘনা উপজেলায় সরকারি নির্দেশনাকে অমান্য করে প্রশাসন ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী তিতাস দাউদকান্দি উপজেলা থেকে সড়ক ও নৌপথে রাতের আধারে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও ট্রলারযোগে আসতে শুরু করেছে সেখানে বসবাসকারী হোমনা এলাকার ও আত্মীয় স্বজন সম্পর্কিত বহু লোকজন।

তাদের এ আসাকে কেন্দ্র করে হোমনা ও মেঘনাতে করোনা সংক্রামণ দেখা দেয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করোনা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে দুই উপজেলা বাসী। তাই আগত লোকজনের আগমন ঠেকাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা যায়, এ দুই উপজেলার অনেক লোক চাকুরি ও ব্যবসায়ের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে। জেলার ব্যবসাসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ার সুবাদে এখান থেকে প্রতিদিন নৌপথে ট্রলারযোগে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের পন্য আনা নেওয়া করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে যার সিংহভাগই রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরত। সড়কপথে প্রশাসনের নজরদারী থাকলেও নৌপথে তেমন কোন নজরদারী না থাকায় সহজেই তারা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত হোমনা ও মেঘনায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আগতদের কারণে এলাকায় এখন করোনার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে তিতাস উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তারে ৬ জন এবং দাউদকান্দি উপজেলায় ২ জন আক্রান্ত হওয়ার কারনে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ দুই উপজেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন আরো শক্তভাবে মাঠে নেমেছেন। এদিকে নৌপথে যাতে এ দুই উপজেলায় কেউ ঢুকতে না পারে সে বিয়ষটি নজরে নিয়েছে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম। হোমনা-মেঘনা দুই উপজেলায় এর প্রভাব মোকাবেলায় এ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে হোমনা ও মেঘনা থানার পুলিশ বাহিনী অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও মেঘনা-তিতাস নদীতে অব্যাহত টহল আরো জোরদার করেছেন।

গত কয়েকদিন ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মালবাহী ট্রলারে বা বিকল্প যানবাহনে রাতের আধারে গোপনে দলে দলে লোকজন আসছেন এমন খবরে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ইতিমধ্যে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিনে ও বিভিন্ন স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেছেন।

এএসপি মো. ফজলুল করিম বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এইসব মানুষের আগমন ঠেকানো যাচ্ছে না। কোভিট ১৯ একটি মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি। মানুষের সংস্পর্শে এটি দ্রুত ছড়ায়। তিতাস এবং দাউদকান্দিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন হোমনা মেঘনার জন্য হুমকি। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে লোকজনের আগমন ঠেকাতে মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশের একটি টহলটিমসহ মেঘনা থানার দুটি নৌ টহলটিম ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে। হেমনা-মেঘনা উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

হোমনায় সড়ক ও নৌপথে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা থেকে ঢুকছে মানুষ, এএসপি ফজলুল করিমের নেতৃত্বে জোরদার পুলিশি টহল

আপডেট সময় ০৩:২৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) :

কুমিল্লার হোমনা ও মেঘনা উপজেলায় সরকারি নির্দেশনাকে অমান্য করে প্রশাসন ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী তিতাস দাউদকান্দি উপজেলা থেকে সড়ক ও নৌপথে রাতের আধারে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও ট্রলারযোগে আসতে শুরু করেছে সেখানে বসবাসকারী হোমনা এলাকার ও আত্মীয় স্বজন সম্পর্কিত বহু লোকজন।

তাদের এ আসাকে কেন্দ্র করে হোমনা ও মেঘনাতে করোনা সংক্রামণ দেখা দেয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করোনা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে দুই উপজেলা বাসী। তাই আগত লোকজনের আগমন ঠেকাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা যায়, এ দুই উপজেলার অনেক লোক চাকুরি ও ব্যবসায়ের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে। জেলার ব্যবসাসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ার সুবাদে এখান থেকে প্রতিদিন নৌপথে ট্রলারযোগে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের পন্য আনা নেওয়া করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে যার সিংহভাগই রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরত। সড়কপথে প্রশাসনের নজরদারী থাকলেও নৌপথে তেমন কোন নজরদারী না থাকায় সহজেই তারা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত হোমনা ও মেঘনায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আগতদের কারণে এলাকায় এখন করোনার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে তিতাস উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তারে ৬ জন এবং দাউদকান্দি উপজেলায় ২ জন আক্রান্ত হওয়ার কারনে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ দুই উপজেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন আরো শক্তভাবে মাঠে নেমেছেন। এদিকে নৌপথে যাতে এ দুই উপজেলায় কেউ ঢুকতে না পারে সে বিয়ষটি নজরে নিয়েছে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম। হোমনা-মেঘনা দুই উপজেলায় এর প্রভাব মোকাবেলায় এ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে হোমনা ও মেঘনা থানার পুলিশ বাহিনী অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও মেঘনা-তিতাস নদীতে অব্যাহত টহল আরো জোরদার করেছেন।

গত কয়েকদিন ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মালবাহী ট্রলারে বা বিকল্প যানবাহনে রাতের আধারে গোপনে দলে দলে লোকজন আসছেন এমন খবরে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ইতিমধ্যে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিনে ও বিভিন্ন স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেছেন।

এএসপি মো. ফজলুল করিম বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এইসব মানুষের আগমন ঠেকানো যাচ্ছে না। কোভিট ১৯ একটি মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি। মানুষের সংস্পর্শে এটি দ্রুত ছড়ায়। তিতাস এবং দাউদকান্দিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন হোমনা মেঘনার জন্য হুমকি। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে লোকজনের আগমন ঠেকাতে মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশের একটি টহলটিমসহ মেঘনা থানার দুটি নৌ টহলটিম ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে। হেমনা-মেঘনা উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।