ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় চিকিৎসকের চিরকুট ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মিনহাজ-উল করিম ভূঁইয়া নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের ইন্টার্ন হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

তিনি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মাহফুজুল হক ভূঁইয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে নামাজে জানাজার পর চিকিৎসকের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।  

কুমেক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডা. মিনহাজ-উল করিম ভূঁইয়া কুমেকের ২৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন। বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু এদিন যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে না এলে একাধিকবার তাকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে রাত ৯টার পরও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫তম ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডা. মিনহাজের হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, কেন আত্মহত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেননি। 

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, যে কক্ষে ডা. মিনহাজের লাশ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এতে লেখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী’। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লায় চিকিৎসকের চিরকুট ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মিনহাজ-উল করিম ভূঁইয়া নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের ইন্টার্ন হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

তিনি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মাহফুজুল হক ভূঁইয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে নামাজে জানাজার পর চিকিৎসকের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।  

কুমেক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডা. মিনহাজ-উল করিম ভূঁইয়া কুমেকের ২৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন। বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু এদিন যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে না এলে একাধিকবার তাকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে রাত ৯টার পরও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫তম ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডা. মিনহাজের হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, কেন আত্মহত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেননি। 

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, যে কক্ষে ডা. মিনহাজের লাশ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এতে লেখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী’।