ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঘোষণা ছাড়াই কিয়েভে জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ-নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সফর করেছেন তিনি।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূলত পোল্যান্ড সফরে ছিলেন। সেখান থেকে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই সীমান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভ আসেন তিনি।

পোল্যান্ড সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাইডেন।

খবরে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুদ্ধের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তার এ সফরের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। জেলেনস্কিও টেলিগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা যায়। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন- আপনাকে কিয়েভে স্বাগতম! আপনার সফর সমস্ত ইউক্রেনীয়দের সমর্থনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।

খবরে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার এক বছর পূর্ণ হতে চলছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বর্তমান। এ অবস্থায় প্রথমবারের মতো বাইডেনের কিয়েভ সফর অনেকটাই চমকপ্রদ।

বাইডেনের সফর নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সেখানে বলা হয়েছে, এ সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেনের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করা। এক বছর আগে যখন রুশ প্রধান পুতিন যখন আগ্রাসন শুরু করেন, তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন দুর্বল এবং পশ্চিম বিভক্ত। আমাদেরও তিনি ছাড়িয়ে যাবেন বলে ভেবেছিলেন পুতিন, যা তার মারাত্মক ভুল।

এদিকে, ইউক্রেনকে যুদ্ধ সহায়তার অংশ হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেন বাইডেন। এর আওতায় রয়েছে আর্টিলারি গোলাবারুদ, অ্যান্টি-আরমার সিস্টেম ও বিমান নজরদারি রাডারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরঞ্জাম।

সফরে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানীতে হেঁটেছেন বাইডেন। এ ছাড়া শহরজুড়ে বিমান হামলার সতর্কবার্তা চলার সময় তারা সেন্ট মাইকেলের মঠ পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এ সময়ের মধ্যে বহু মানুষ দেশ ছেড়েছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ঘোষণা ছাড়াই কিয়েভে জো বাইডেন

আপডেট সময় ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ-নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সফর করেছেন তিনি।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূলত পোল্যান্ড সফরে ছিলেন। সেখান থেকে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই সীমান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভ আসেন তিনি।

পোল্যান্ড সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাইডেন।

খবরে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুদ্ধের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তার এ সফরের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। জেলেনস্কিও টেলিগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা যায়। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন- আপনাকে কিয়েভে স্বাগতম! আপনার সফর সমস্ত ইউক্রেনীয়দের সমর্থনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।

খবরে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার এক বছর পূর্ণ হতে চলছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বর্তমান। এ অবস্থায় প্রথমবারের মতো বাইডেনের কিয়েভ সফর অনেকটাই চমকপ্রদ।

বাইডেনের সফর নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সেখানে বলা হয়েছে, এ সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেনের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করা। এক বছর আগে যখন রুশ প্রধান পুতিন যখন আগ্রাসন শুরু করেন, তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন দুর্বল এবং পশ্চিম বিভক্ত। আমাদেরও তিনি ছাড়িয়ে যাবেন বলে ভেবেছিলেন পুতিন, যা তার মারাত্মক ভুল।

এদিকে, ইউক্রেনকে যুদ্ধ সহায়তার অংশ হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেন বাইডেন। এর আওতায় রয়েছে আর্টিলারি গোলাবারুদ, অ্যান্টি-আরমার সিস্টেম ও বিমান নজরদারি রাডারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরঞ্জাম।

সফরে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানীতে হেঁটেছেন বাইডেন। এ ছাড়া শহরজুড়ে বিমান হামলার সতর্কবার্তা চলার সময় তারা সেন্ট মাইকেলের মঠ পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এ সময়ের মধ্যে বহু মানুষ দেশ ছেড়েছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।