ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ  দঃ কোরিয়ার পতাকা

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর থেকেঃ

আবু কাউসার মিন্টু দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরেছেন ২০১৩ সালে। প্রবাস থেকে ফেরার দীর্ঘ ৯ বছরেও দেশটির প্রতি ভালোবাসা কমেনি তার। তিনি আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমবাগানের জায়গা বিক্রি করে এবং স্ত্রীর জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে গ্রামের সড়কের পাশ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা টানিয়েছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে আবু কাউসার মিন্টু। জীবিকার তাগিদে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। এরই মধ্যে ২০০২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাঠে বসে কোরিয়ার ফুটবল খেলা উপভোগ করেন মিন্টু। তখন থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল দলের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তখন থেকেই ফুটবলের বিভিন্ন আসরে দক্ষিণ কোরিয়া অংশ নিলে তিনি সমর্থন করে যাচ্ছেন।

ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা বানানোর উদ্যোগ নেন এই দম্পতি। পতাকাটি হবে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের, মিন্টুর বাড়ি থেকে তার শ্বশুরবাড়ি তেজখালীর পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত। তারা হিসাব করে দেখলেন, পতাকার কাপড় এবং প্রিন্টিংসহ, বানাতে খরচ পড়বে পাঁচ লাখ টাকা।

মিন্টুর স্ত্রীর আটটি মাটির ব্যাংক ভেঙে পাওয়া যায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু এই টাকায় পতাকাটি বানানো সম্ভব না হওয়ায় পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একটি আমবাগান বিক্রি করে দেন মিন্টু। এতে আসে আরও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে স্বপ্নের সেই পতাকা তৈরি করেন এই দম্পতি।

তিনি বলেন, আমি চাই আমার এই পতাকার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানুক এবং সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাঞ্ছারামপুরে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ  দঃ কোরিয়ার পতাকা

আপডেট সময় ০২:৫২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর থেকেঃ

আবু কাউসার মিন্টু দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরেছেন ২০১৩ সালে। প্রবাস থেকে ফেরার দীর্ঘ ৯ বছরেও দেশটির প্রতি ভালোবাসা কমেনি তার। তিনি আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমবাগানের জায়গা বিক্রি করে এবং স্ত্রীর জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে গ্রামের সড়কের পাশ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা টানিয়েছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে আবু কাউসার মিন্টু। জীবিকার তাগিদে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। এরই মধ্যে ২০০২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাঠে বসে কোরিয়ার ফুটবল খেলা উপভোগ করেন মিন্টু। তখন থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল দলের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তখন থেকেই ফুটবলের বিভিন্ন আসরে দক্ষিণ কোরিয়া অংশ নিলে তিনি সমর্থন করে যাচ্ছেন।

ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা বানানোর উদ্যোগ নেন এই দম্পতি। পতাকাটি হবে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের, মিন্টুর বাড়ি থেকে তার শ্বশুরবাড়ি তেজখালীর পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত। তারা হিসাব করে দেখলেন, পতাকার কাপড় এবং প্রিন্টিংসহ, বানাতে খরচ পড়বে পাঁচ লাখ টাকা।

মিন্টুর স্ত্রীর আটটি মাটির ব্যাংক ভেঙে পাওয়া যায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু এই টাকায় পতাকাটি বানানো সম্ভব না হওয়ায় পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একটি আমবাগান বিক্রি করে দেন মিন্টু। এতে আসে আরও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে স্বপ্নের সেই পতাকা তৈরি করেন এই দম্পতি।

তিনি বলেন, আমি চাই আমার এই পতাকার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানুক এবং সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক।