ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে গৃহবধুরর রহস্যজনক মৃত্যু! পরিবারের দাবি হত্যা

রায়হান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি(২০) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তবে পরিবারের দাবি শশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা ইউনিয়নের রাজা চাপিতলা গ্রাম থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজা চাপিতলা গ্রামের খাইরুল ইসলাম বাবুর সাথে গত দের মাস পূর্বে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার বৃষ্টির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন সময় বৃষ্টির শশুর বাড়ির লোকজন যতুকের টাকার জন্য ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে বৃষ্টিকে মারদরসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাত চালাত।

নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে গাছকে ঠেকানো বাশেঁ ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে শশুর বাড়ির লোকজন চালিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা ও পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখিনি। বৃষ্টির শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ ব্যপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতার (কুমেক)’র মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাঙ্গরা থানায় একটি অপমৃত্যুও মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে গৃহবধুরর রহস্যজনক মৃত্যু! পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট সময় ০২:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

রায়হান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি(২০) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তবে পরিবারের দাবি শশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা ইউনিয়নের রাজা চাপিতলা গ্রাম থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজা চাপিতলা গ্রামের খাইরুল ইসলাম বাবুর সাথে গত দের মাস পূর্বে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার বৃষ্টির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন সময় বৃষ্টির শশুর বাড়ির লোকজন যতুকের টাকার জন্য ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে বৃষ্টিকে মারদরসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাত চালাত।

নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে গাছকে ঠেকানো বাশেঁ ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে শশুর বাড়ির লোকজন চালিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা ও পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখিনি। বৃষ্টির শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ ব্যপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতার (কুমেক)’র মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাঙ্গরা থানায় একটি অপমৃত্যুও মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।