ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফরমালিনের ভয়: ফল খাবেন, না খাবেন না?

লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ

আসছে মধুমাস। এই গরমে সুস্থ থাকতে ও স্বস্তি পেতে আমরা প্রতিদিনই ফল খাওয়ার কথা বলছি। তবে গত কয়েক বছরে শুধু বিদেশি নয়, আমাদের  দেশীয় ফল খেতেও অনেকেই বেশ চিন্তায় পড়ে যাই।

ফল অনেকদিন ভালো রাখতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফলে ফরমালিন মেলান, কেউ রং ভালো করতে ব্যবহার করেন কৃত্রিম কাপড়ের রং। পোকার উপদ্রব থেকে ফলকে রক্ষা করতে মাঠেই প্রয়োগ করা হয় অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক। যার প্রতিটিই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে কি ফল খাওয়াই বন্ধ করে দেব? একদমই না।

আমাদের শরীরের জন্য ফলের পুষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই ফল খেতে হবে। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ফলের ক্ষতিকর ক্যামিকেল দূর হবে। এরপর ফল খেতে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। যা করবেন:

ফল খাওয়ার আগে সব সময় কমপক্ষে একঘণ্টা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ফলের খোসা ছিলে তারপর খান।

সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার/সিরকা ও পানির মিশ্রনে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এক লিটার পানিতে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে ফল মাত্র ১৫ মিনিট রাখুন এবং এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন।

এপদ্ধতিটির বিষয়ে মাইন্ডস.কম সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছে, ভিনেগার একটি শক্তিশালী এসিড জাতীয় পদার্থ হওয়ায় এটি ফল ও সবজিতে মেলানো যে কোনো  ক্ষতিকর ক্যামিকেল ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত দূর করতে পারে।

গৃহসুখনের কর্নধার রন্ধনশিল্পী রিমা জুলফিকার বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য, বাতলে দিলেন আরও কয়েকটি পদ্ধতি।তিনি বলেন, লবণ-পানিতে লেবুর রস দিয়ে ফল আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলেও ফরমালিনসহ ক্ষতিকর ‍অন্য ক্যামিকেলগুলোও দূর হয়।

ফল ছিলে কেটে রাখলে অনেক সময় কালচে হয়ে যায় বিশেষ করে কলা, আপেল, নাসপাতি। এজন্য অনেকেই ফল খোশাসহ পরিবেশন করেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ লেবুর রস এক চা চামচ চিনি দিয়ে রেখে দিন। দেখুন আপনার ফলের রং ঠিক থাকবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

ট্যাগস

ফরমালিনের ভয়: ফল খাবেন, না খাবেন না?

আপডেট সময় ০৩:২২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬

লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ

আসছে মধুমাস। এই গরমে সুস্থ থাকতে ও স্বস্তি পেতে আমরা প্রতিদিনই ফল খাওয়ার কথা বলছি। তবে গত কয়েক বছরে শুধু বিদেশি নয়, আমাদের  দেশীয় ফল খেতেও অনেকেই বেশ চিন্তায় পড়ে যাই।

ফল অনেকদিন ভালো রাখতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফলে ফরমালিন মেলান, কেউ রং ভালো করতে ব্যবহার করেন কৃত্রিম কাপড়ের রং। পোকার উপদ্রব থেকে ফলকে রক্ষা করতে মাঠেই প্রয়োগ করা হয় অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক। যার প্রতিটিই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে কি ফল খাওয়াই বন্ধ করে দেব? একদমই না।

আমাদের শরীরের জন্য ফলের পুষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই ফল খেতে হবে। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ফলের ক্ষতিকর ক্যামিকেল দূর হবে। এরপর ফল খেতে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। যা করবেন:

ফল খাওয়ার আগে সব সময় কমপক্ষে একঘণ্টা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ফলের খোসা ছিলে তারপর খান।

সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার/সিরকা ও পানির মিশ্রনে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এক লিটার পানিতে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে ফল মাত্র ১৫ মিনিট রাখুন এবং এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন।

এপদ্ধতিটির বিষয়ে মাইন্ডস.কম সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছে, ভিনেগার একটি শক্তিশালী এসিড জাতীয় পদার্থ হওয়ায় এটি ফল ও সবজিতে মেলানো যে কোনো  ক্ষতিকর ক্যামিকেল ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত দূর করতে পারে।

গৃহসুখনের কর্নধার রন্ধনশিল্পী রিমা জুলফিকার বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য, বাতলে দিলেন আরও কয়েকটি পদ্ধতি।তিনি বলেন, লবণ-পানিতে লেবুর রস দিয়ে ফল আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলেও ফরমালিনসহ ক্ষতিকর ‍অন্য ক্যামিকেলগুলোও দূর হয়।

ফল ছিলে কেটে রাখলে অনেক সময় কালচে হয়ে যায় বিশেষ করে কলা, আপেল, নাসপাতি। এজন্য অনেকেই ফল খোশাসহ পরিবেশন করেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ লেবুর রস এক চা চামচ চিনি দিয়ে রেখে দিন। দেখুন আপনার ফলের রং ঠিক থাকবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।