ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে এতিমখানায় সন্ত্রাসী হামলা

আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার হায়দরাবাদ মরহুম লে: এম রকিব উদ্দিন এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদারসায় সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার গভীর রাতে ধমীয় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুমন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, হায়দরাবাদ এলাকার একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবত ওই প্রতিষ্ঠানের মুল্যবান কিছু জায়গা বেদখলের পায়তারা করে আসছিল। উক্ত জায়গায় সন্ত্রাসীরা একটি গায়েবী মাজার করার উদ্দেশ্যে ওরশের নামে নিয়মিত গাজা ও মাদক সেবনসহ নানা অশ্লীল কর্মকান্ডের ব্যবসা পরিচালনা করলেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। এ নিয়ে ওই এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মোমেন বাদী হয়ে বেশ কিছু দিন পুর্বে মুরাদনগর থানায় ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে এতিমখানার ছাত্র শিক্ষকরা এলাকাবাসীকে অবহিত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী এতিমখানায় প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক আতাউল্লাসহ ২ শিক্ষক ও ৮ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরতর আহত করে।

আহত ছাত্ররা জানায়, ঘটনার সময় সোনারামপুর গ্রামের সন্ত্রাসী জুম্মানকে চিনতে পারলেও বাকি কাউকে চিনতে পারেনি তারা।

এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে এলাকাবাসী ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে আমরা অবহিত নই, লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে এতিমখানায় সন্ত্রাসী হামলা

আপডেট সময় ০৮:৪৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

আবুল খায়ের, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মুরাদনগর উপজেলার হায়দরাবাদ মরহুম লে: এম রকিব উদ্দিন এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদারসায় সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার গভীর রাতে ধমীয় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুমন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, হায়দরাবাদ এলাকার একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবত ওই প্রতিষ্ঠানের মুল্যবান কিছু জায়গা বেদখলের পায়তারা করে আসছিল। উক্ত জায়গায় সন্ত্রাসীরা একটি গায়েবী মাজার করার উদ্দেশ্যে ওরশের নামে নিয়মিত গাজা ও মাদক সেবনসহ নানা অশ্লীল কর্মকান্ডের ব্যবসা পরিচালনা করলেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। এ নিয়ে ওই এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মোমেন বাদী হয়ে বেশ কিছু দিন পুর্বে মুরাদনগর থানায় ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে এতিমখানার ছাত্র শিক্ষকরা এলাকাবাসীকে অবহিত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী এতিমখানায় প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক আতাউল্লাসহ ২ শিক্ষক ও ৮ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরতর আহত করে।

আহত ছাত্ররা জানায়, ঘটনার সময় সোনারামপুর গ্রামের সন্ত্রাসী জুম্মানকে চিনতে পারলেও বাকি কাউকে চিনতে পারেনি তারা।

এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে এলাকাবাসী ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে আমরা অবহিত নই, লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।