ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাত

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান(৭৬)’র সম্মানী ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে দু’বছরে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের আটক ও আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার না করায় হতাশা ও দূর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।

জানা যায়, কামাল্লা গ্রামের মৃত মো: মতিউর রহমানের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের অজান্তে তার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরী করে কামাল্লা গ্রামের করিম চৌধুরীর ছেলে মো: হারুন চৌধুরী সাইদুর রহমান সেজে গেজেট নম্বর-২৫২৯, বই নং-৩৪২, হিসাব নং-৩৯৬ এর মাধ্যমে প্রতারনা করে গত ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দু’বছরের সম্মানি ভাতা এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করে এই প্রতারক চক্রটি।

জালিয়াতির বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধা সাইদুর রহমান জানতে পেরে মৌখিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর ভাতা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় প্রশাসন কিন্তু অভিযুক্ত জালিয়াত চক্রের হোতাসহ জড়িতদের আটক ও আত্মসাতের টাকা উদ্ধার না করার কথা জানান মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান। তিনি আরও জানান গত বছরের ১৫ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সভাপতি সফিউল আহম্মেদ বাবুল, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের বরাবর লিখিত আভিযোগ দেওয়া হলেও এখন প্রর্যন্ত কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের সম্মানী ভাতার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাত করায় অজানা আতংক ও হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অচিরেই আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান,  জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত শেষ হয়েছে। আমরা অচিরেই অভিযোগত কারিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। ফেরত না দেওয়া হলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাত

আপডেট সময় ০৩:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

রোজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান(৭৬)’র সম্মানী ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে দু’বছরে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের আটক ও আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার না করায় হতাশা ও দূর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।

জানা যায়, কামাল্লা গ্রামের মৃত মো: মতিউর রহমানের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের অজান্তে তার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরী করে কামাল্লা গ্রামের করিম চৌধুরীর ছেলে মো: হারুন চৌধুরী সাইদুর রহমান সেজে গেজেট নম্বর-২৫২৯, বই নং-৩৪২, হিসাব নং-৩৯৬ এর মাধ্যমে প্রতারনা করে গত ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দু’বছরের সম্মানি ভাতা এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করে এই প্রতারক চক্রটি।

জালিয়াতির বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধা সাইদুর রহমান জানতে পেরে মৌখিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর ভাতা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় প্রশাসন কিন্তু অভিযুক্ত জালিয়াত চক্রের হোতাসহ জড়িতদের আটক ও আত্মসাতের টাকা উদ্ধার না করার কথা জানান মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান। তিনি আরও জানান গত বছরের ১৫ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সভাপতি সফিউল আহম্মেদ বাবুল, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের বরাবর লিখিত আভিযোগ দেওয়া হলেও এখন প্রর্যন্ত কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের সম্মানী ভাতার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাত করায় অজানা আতংক ও হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অচিরেই আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান,  জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত শেষ হয়েছে। আমরা অচিরেই অভিযোগত কারিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। ফেরত না দেওয়া হলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।