ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ৫০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

pc muradnsagar, comilla 06-04-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৬ এপ্রিল ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্ত ডটকম):

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের কোড়েরপাড় কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৪৯ দিন পর অটোচালক মাইনুদ্দিন(২০)’র লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের কোড়েরপাড় গ্রামের মাছ ব্যাবসায়ী শিশু মিয়ার ছেলে ও মাইনুদ্দিন ।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের এতিমখানার গেইটের উত্তরে নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের পাশথেকে এলাকাবাসী মাইনুদ্দিনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রভাবশালী একটি চক্র পুলিশকে ম্যানেজ করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কৌশলে নবীনগর থানা থেকে লাশ নিয়ে দাফন করিয়ে ফেলে। পরে নিহতের পরিবার আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে লাশের ময়নাতদন্তের দাবী জানালে ওই চক্রটি কবর থেকে রাতের আধারে মাইনুদ্দিনের লাশ তুলে নিতে বেশ কয়েকবার চুরির চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিহতের পরিবার টের পেয়ে পরিবারের লোকজন পালাক্রমে কবরস্থানে লাশ পাহারা দেয়।

পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মাইনুদ্দিনের বড় ভাই শাহ পরান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে, গত ২৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ম আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা আফরিন দীবা লাশ উত্তোলন করে মযনাতদন্তের জন্য নবীনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই নাজির আহমদকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, নবীনগর থানার এস,আই নাজির আহমদ, মুরাদনগর থানার এস আই মাসুদ, মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা ইউপি চেয়ারম্যান হাকিম সওদাগর, চাপিতলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় শতশত মাইনুদ্দিন হত্যার গ্রামবাসী সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান।

মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোট তৈরী করে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেক) মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

এব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) রুপক কুমার সাহা বলেন, ময়নাতদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।

ট্যাগস

মুরাদনগরে ৫০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০১:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০১৫

pc muradnsagar, comilla 06-04-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৬ এপ্রিল ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্ত ডটকম):

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের কোড়েরপাড় কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৪৯ দিন পর অটোচালক মাইনুদ্দিন(২০)’র লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের কোড়েরপাড় গ্রামের মাছ ব্যাবসায়ী শিশু মিয়ার ছেলে ও মাইনুদ্দিন ।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের এতিমখানার গেইটের উত্তরে নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের পাশথেকে এলাকাবাসী মাইনুদ্দিনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রভাবশালী একটি চক্র পুলিশকে ম্যানেজ করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কৌশলে নবীনগর থানা থেকে লাশ নিয়ে দাফন করিয়ে ফেলে। পরে নিহতের পরিবার আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে লাশের ময়নাতদন্তের দাবী জানালে ওই চক্রটি কবর থেকে রাতের আধারে মাইনুদ্দিনের লাশ তুলে নিতে বেশ কয়েকবার চুরির চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিহতের পরিবার টের পেয়ে পরিবারের লোকজন পালাক্রমে কবরস্থানে লাশ পাহারা দেয়।

পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মাইনুদ্দিনের বড় ভাই শাহ পরান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে, গত ২৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ম আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা আফরিন দীবা লাশ উত্তোলন করে মযনাতদন্তের জন্য নবীনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই নাজির আহমদকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, নবীনগর থানার এস,আই নাজির আহমদ, মুরাদনগর থানার এস আই মাসুদ, মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা ইউপি চেয়ারম্যান হাকিম সওদাগর, চাপিতলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় শতশত মাইনুদ্দিন হত্যার গ্রামবাসী সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান।

মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোট তৈরী করে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেক) মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

এব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) রুপক কুমার সাহা বলেন, ময়নাতদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।