ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বয়সটাকে তো আর হাতের মুঠোয় বন্দি করে রাখা যায় না। তাই সময়ের ব্যবধানে বয়স বাড়ে আর সাথে করে নিয়ে আসে রোগবালাইয়ের বাক্স। সে বাক্স থেকে বছরের পর বছর বেরিয়ে আসে এক একটি জীবনঘাতী রোগ। মেয়েদের বয়স ত্রিশ পেরোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতার বেশি প্রয়োজন। ত্রিশের পর শরীরের বাঁকবদলে সুস্থ থাকতে কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা উচিত। সেগুলো কী কী জেনে নিন।

জরায়ু ক্যান্সার

৩০ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত মেয়েদের নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার -এর মাধ্যমে জরায়ু পরীক্ষা করানো উচিত। এর ফলে ক্যান্সারের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, সে বিষয়টি বুঝা যায়। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতোটা রয়েছে।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

লিপিড প্রোফাইল

সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে প্রয়োজন পুষ্টিকর সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা করা। শরীরের সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা জানতে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করোনা উচিত।

থাইরয়েড সমস্যা

অনেক মেয়ের মধ্যে অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েডের মতো অসুখের কোনো রকম উপসর্গ দেখা যায়না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই অসুখগুলো ধরা পরে। শরীরে হিমোগ্লোবিন কতোটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে, এই রোগগুলো সহজেই ধরা পড়বে এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

ম্যামোগ্রাম

যাদের শরীরে ব্রাকা ১ ও ব্রাকা ২ মিউটেশন রয়েছে তাদের স্তনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ৩০ বছরের পর থেকেই প্রতি বছর অন্তত একবার হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত। তবে যাদের শরীরে ব্রাকা ১ ও ব্রাকা ২ মিউটেশন নেই, তারা ৪৫ বছর বয়সের পর বছরে একবার করে ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

গর্ভধারণের পরীক্ষা

গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ বছর বয়সের পর মেয়েদের শরীরে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতা একটু একটু করে কমতে থাকে। ত্রিশের শেষের দিকে তা অনেকটাই কমে যায়। তাই কেউ যদি মনে করেন, একটু বেশি বয়সে মা হবেন, তা হলে স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করে নিন। এতে যাচাই করে নিতে পারবেন আপনার সন্তানধারণের ক্ষমতা কতোটুকু।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

আপডেট সময় ০৬:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বয়সটাকে তো আর হাতের মুঠোয় বন্দি করে রাখা যায় না। তাই সময়ের ব্যবধানে বয়স বাড়ে আর সাথে করে নিয়ে আসে রোগবালাইয়ের বাক্স। সে বাক্স থেকে বছরের পর বছর বেরিয়ে আসে এক একটি জীবনঘাতী রোগ। মেয়েদের বয়স ত্রিশ পেরোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতার বেশি প্রয়োজন। ত্রিশের পর শরীরের বাঁকবদলে সুস্থ থাকতে কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা উচিত। সেগুলো কী কী জেনে নিন।

জরায়ু ক্যান্সার

৩০ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত মেয়েদের নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার -এর মাধ্যমে জরায়ু পরীক্ষা করানো উচিত। এর ফলে ক্যান্সারের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, সে বিষয়টি বুঝা যায়। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতোটা রয়েছে।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

লিপিড প্রোফাইল

সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে প্রয়োজন পুষ্টিকর সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা করা। শরীরের সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা জানতে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করোনা উচিত।

থাইরয়েড সমস্যা

অনেক মেয়ের মধ্যে অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েডের মতো অসুখের কোনো রকম উপসর্গ দেখা যায়না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই অসুখগুলো ধরা পরে। শরীরে হিমোগ্লোবিন কতোটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে, এই রোগগুলো সহজেই ধরা পড়বে এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

ম্যামোগ্রাম

যাদের শরীরে ব্রাকা ১ ও ব্রাকা ২ মিউটেশন রয়েছে তাদের স্তনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ৩০ বছরের পর থেকেই প্রতি বছর অন্তত একবার হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত। তবে যাদের শরীরে ব্রাকা ১ ও ব্রাকা ২ মিউটেশন নেই, তারা ৪৫ বছর বয়সের পর বছরে একবার করে ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।

ত্রিশের পর মেয়েদের যে শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার

গর্ভধারণের পরীক্ষা

গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ বছর বয়সের পর মেয়েদের শরীরে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতা একটু একটু করে কমতে থাকে। ত্রিশের শেষের দিকে তা অনেকটাই কমে যায়। তাই কেউ যদি মনে করেন, একটু বেশি বয়সে মা হবেন, তা হলে স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করে নিন। এতে যাচাই করে নিতে পারবেন আপনার সন্তানধারণের ক্ষমতা কতোটুকু।