ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাওয়াশ থেকে এক ম্যাচ দূরে জিম্বাবুয়ে

চতুর্থ ওয়ানডেতে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ২১ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
sakib
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে দারুণ সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। টেইলর ও মায়ারের জোড়া অর্ধশতকে মাঝে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলেও হার এড়াতে পারেনি তারা।

দুই ওপেনারের শুভ সূচনার পর জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে টাইগার স্পিনাররা। বল হাতে এসে সাকিব আল হাসান ফিরিয়েছেন ভুসি সিবান্দা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।

দলীয় ৪৮ রানে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে সিবান্দা করেন ১৭ রান। আর দলীয় ৫১ রানে বোল্ড হওয়ার আগে মাসাকাদজার সংগ্রহ ২৮ রান।

অভিষেক ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই টি মারুমাকে ঘূর্ণিজাদুতে বিভ্রান্ত করেন জুবায়ের। মারুমা (৬) বোল্ড হয়ে গেলে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬০ রান।

এরপর ব্রেন্ডন টেইলর আর সলোমন মায়ারের জোড়া অর্ধশতকে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জিম্বাবুয়ে। দুজনে গড়েন শতরানের জুটি।

তবে অর্ধশতকের পরই অভিষিক্ত জুবায়ের মায়ারকে (৫২) ফিরিয়ে দেন। পরের ওভারে রুবেল হোসেনের বলে টেইলর (৬৩) মুশফিকের তালুবন্দি হলে ফের ম্যাচে ফিরে টাইগাররা।

আর বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে (৪) ফেরান টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ২১১ রানে রেগিস চাকাভাকে (২৬) ফেরান রুবেল।

পিটার মুর (১৩) রান আউটের শিকার হলে জয়ের কাছাকাছি পৌছে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৫ রানে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামলে ২১ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

চলতি পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এটা বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজেও একই পরিণতি থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে করে ২৫৬ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৭৭ এবং অধিনায়ক মাশরাফি ঝড়োগতির ৩৯ রান করেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাওয়াশ থেকে এক ম্যাচ দূরে জিম্বাবুয়ে

আপডেট সময় ১২:১৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৪

চতুর্থ ওয়ানডেতে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ২১ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
sakib
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে দারুণ সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। টেইলর ও মায়ারের জোড়া অর্ধশতকে মাঝে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলেও হার এড়াতে পারেনি তারা।

দুই ওপেনারের শুভ সূচনার পর জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে টাইগার স্পিনাররা। বল হাতে এসে সাকিব আল হাসান ফিরিয়েছেন ভুসি সিবান্দা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।

দলীয় ৪৮ রানে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে সিবান্দা করেন ১৭ রান। আর দলীয় ৫১ রানে বোল্ড হওয়ার আগে মাসাকাদজার সংগ্রহ ২৮ রান।

অভিষেক ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই টি মারুমাকে ঘূর্ণিজাদুতে বিভ্রান্ত করেন জুবায়ের। মারুমা (৬) বোল্ড হয়ে গেলে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬০ রান।

এরপর ব্রেন্ডন টেইলর আর সলোমন মায়ারের জোড়া অর্ধশতকে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জিম্বাবুয়ে। দুজনে গড়েন শতরানের জুটি।

তবে অর্ধশতকের পরই অভিষিক্ত জুবায়ের মায়ারকে (৫২) ফিরিয়ে দেন। পরের ওভারে রুবেল হোসেনের বলে টেইলর (৬৩) মুশফিকের তালুবন্দি হলে ফের ম্যাচে ফিরে টাইগাররা।

আর বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে (৪) ফেরান টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ২১১ রানে রেগিস চাকাভাকে (২৬) ফেরান রুবেল।

পিটার মুর (১৩) রান আউটের শিকার হলে জয়ের কাছাকাছি পৌছে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৫ রানে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামলে ২১ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

চলতি পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এটা বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজেও একই পরিণতি থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে করে ২৫৬ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৭৭ এবং অধিনায়ক মাশরাফি ঝড়োগতির ৩৯ রান করেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।