ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কোন প্রকার সনদ না থাকলেও সকল রোগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম

রায়হান চৌধুরীঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতুরে ডাক্তাদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। সর্বরোগের চিকিৎসার নামে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন অপ-চিকিৎসা। হাতুরে এসব ডাক্তারদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাম অঞ্চলের সাধারন মানুষ। তেমন একজন উপজেলার রাজনগর গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। তার চিকিৎসার কোন সনদ না থাকার পরও সকল রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন ব‍্যবসায়ী ঔষধ প্রতিষ্ঠানে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ এখনই যদি কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করে, যে কোন সময় বড় ধরনের যে কোন ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

নজরুল ইসলাম উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের রাজনগর বাজারের তাজঁ মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী ও কামাল্লা গ্রামের মৃত আওয়াল হোসেনের ছেলে।

সরেজমিনে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের রাজনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তাজঁ মেডিকেল হল নামে ঔষধের দোকানে স্বতাধিকারি নজরুল ইসলাম কোন প্রকার ডাক্তারি সনদ ছাড়াই সর্বরোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্থানীয় সহজ-সড়ল লোকেরা মনে করেন নজরুল মস্ত বড় একজন ডাক্তার। তা না হলে তিনি কি করে সব রোগের চিকিৎসা করান।

স্থানীয় বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলামের কোনো প্রকার ডাক্তারি ডিগ্রি তো দূরের কথা, কোনো প্রকার  প্রশিক্ষণও নেই তার! নজরুল ইসলামের মতো অনেক হাতুড়ে ডাক্তার মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এসব হাতুরে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় প্রতিনিয়িত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটছে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত জ্ঞান কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তাজঁ মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী নজরল ইসলামের র্ফামাসিষ্ট সনদ ছাড়া আর কোন সনদ না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আগত রোগিদের অ্যান্টি-বায়োটিক ঔষধ প্রধান করে থাকেন এছাড়া আর কোন চিকিৎসা করেন না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, সিভিল র্সাজন স্যার বিষয়টির বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রধান করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনিয়
ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবিহিত নই, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কোন প্রকার সনদ না থাকলেও সকল রোগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম

আপডেট সময় ০১:১২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

রায়হান চৌধুরীঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতুরে ডাক্তাদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। সর্বরোগের চিকিৎসার নামে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন অপ-চিকিৎসা। হাতুরে এসব ডাক্তারদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাম অঞ্চলের সাধারন মানুষ। তেমন একজন উপজেলার রাজনগর গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। তার চিকিৎসার কোন সনদ না থাকার পরও সকল রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন ব‍্যবসায়ী ঔষধ প্রতিষ্ঠানে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ এখনই যদি কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করে, যে কোন সময় বড় ধরনের যে কোন ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

নজরুল ইসলাম উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের রাজনগর বাজারের তাজঁ মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী ও কামাল্লা গ্রামের মৃত আওয়াল হোসেনের ছেলে।

সরেজমিনে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের রাজনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তাজঁ মেডিকেল হল নামে ঔষধের দোকানে স্বতাধিকারি নজরুল ইসলাম কোন প্রকার ডাক্তারি সনদ ছাড়াই সর্বরোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্থানীয় সহজ-সড়ল লোকেরা মনে করেন নজরুল মস্ত বড় একজন ডাক্তার। তা না হলে তিনি কি করে সব রোগের চিকিৎসা করান।

স্থানীয় বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলামের কোনো প্রকার ডাক্তারি ডিগ্রি তো দূরের কথা, কোনো প্রকার  প্রশিক্ষণও নেই তার! নজরুল ইসলামের মতো অনেক হাতুড়ে ডাক্তার মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এসব হাতুরে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় প্রতিনিয়িত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটছে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত জ্ঞান কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তাজঁ মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী নজরল ইসলামের র্ফামাসিষ্ট সনদ ছাড়া আর কোন সনদ না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আগত রোগিদের অ্যান্টি-বায়োটিক ঔষধ প্রধান করে থাকেন এছাড়া আর কোন চিকিৎসা করেন না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, সিভিল র্সাজন স্যার বিষয়টির বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রধান করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনিয়
ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবিহিত নই, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।