ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে যুবদলের নতুন কমিটি হওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত

মো: নাজিম উদ্দিন:

দীর্ঘ ১০ বছর পর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত-নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে নতুন কমিটিতে মূল্যায়ণ করায় সবাই খুশি। অনেকেই কখনো ভাবতে পারেননি যে, এভাবে নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালের মে মাসে মুরাদনগরে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছিল। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্যাতিত নিপীড়িত ও মামলায় জর্জরিত এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে মুরাদনগর যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মুরাদনগরের বিএনপিমনা সাধারণ মানুষও খুশি। গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মুরাদনগরে নতুন কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।

এদিকে মুরাদনগর যুবদলের কমিটিকে নানাভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত একটি বিরোধী গ্রুপ। মূলত যারা নিজেদের ব্যর্থতার কারণে পদ পাননি, তারাই এই চক্রান্ত করছে। অথচ যুবদলের নতুন কমিটিতে যারা পদ পেয়েছেন তাদের কমবেশি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪ থেকে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। অনেকেই জেল খেটেছেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নং আকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, যুবদলের নতুন কমিটি খুবই ভালো হয়েছে। কমিটিতে যাদেরকে রাখা হয়েছে তারা সবাই নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ। প্রত্যেকের নামে সর্বনিম্ন ৪টা থেকে ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সুতরাং নির্যাতিত লোকদের সমন্বয়ে একটি নতুন কমিটি দেয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই

জানা গেছে, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন বিএনপির একটি শক্তিশালী দুর্গ হিসেবে পরিচিত। অতীতে এই আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে তিনবার সহ মোট ৫ বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। কিন্তু মুরাদনগরে বিএনপির রাজনীতি এখন বিভক্ত। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন কায়কোবাদ। তখন থেকেই বিএনপি ও তার বিরদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। যারা এমপি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখেন তারা কায়কোবাদকে বাধা মনে করেন। ২০০১ সালে কায়কোবাদ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। তার প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে ফেল করেন। এছাড়া গোলাম কিবরিয়া বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এসব কারণে মুরাদনগরে বিএনপিতে বিভক্তির কাজ করছে একটি চক্র।

অথচ গত ২২ বছর মুরাদনগরে বিএনপির রাজনীতিকে আগলে রেখেছেন কায়কোবাদ। রাজনৈতিক কারণে তিনি দেশে না থাকায় মুরাদনগরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন তার প্রতিপক্ষরা। এর পেছনে মূলত সরকারদলীয় এমপি ও প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদদে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যিনি মুরাদনগরে না গিয়েও ঢাকায় থেকেই নানাভাবে সরকারের ক্ষমতাশালীদের সাথে আঁতাত করে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছেন।

ড. শাহিদা রফিকর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের অনমুতি নিয়েই বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। কিছুদিন পূর্বে যুবদলের নতুন কমিটি দেয়ার খবর আমি জানিনা। কেন্দ্রে আমি যোগাযোগ করেছি, তারা কিছুই বলেনি। গত ১৫ বছর ধরে মুরাদনগরে বিএনপিসহ কোনো অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি নেই।

তবে বছরের শুরুতে বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির তিন পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কর্মীবান্ধব নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ তৃণমূল পর্যন্ত নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুরাদনগরে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০/৬০টি মামলায় আনুমানিক ৪ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। কায়কোবাদ সকল মামলা ও জেলের খরচ, আসামিদের বাসা-বাড়ির খরচ নিয়মিতভাবে প্রদান করে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেন। এতে করে কর্মীরা তার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট।

অভিযোগকারীদের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটি মনে করে অভিযোগকারীদের কেউ হয়তোবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে। আর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিককে অভিযোগকারীগণ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। এটি অনস্বীকার্য যে, সাবেক এমপি কায়কোবাদ বিএনপির একজন পরীক্ষিত ও প্রবীণ নেতা। দলের জন্য ও স্থানীয় মুরাদনগরবাসীর কাছে তিনি এখনো সমানতালে জনপ্রিয়। অঙ্গসংগঠনগুলো সুচারুভাবে পরিচালনায় উনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ তৌফিক মীর বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন কমিটি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত। যার পেছনে স্থানীয় এমপির ভুমিকা রয়েছে।

মুরাদনগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার বলেন, স্থানীয় সরকারদলীয় এমপির সহায়তায় স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপিকে ধ্বংস ও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার পেছনে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মনির মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর উপজেলা যুবদলের কমিটি যুগোপযোগী হয়েছে।

জাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে দীর্ঘদিন পর উপজেলা যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি খুবই ভালো হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে আশা করি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে যুবদলের নতুন কমিটি হওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত

আপডেট সময় ০২:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

মো: নাজিম উদ্দিন:

দীর্ঘ ১০ বছর পর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত-নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে নতুন কমিটিতে মূল্যায়ণ করায় সবাই খুশি। অনেকেই কখনো ভাবতে পারেননি যে, এভাবে নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালের মে মাসে মুরাদনগরে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছিল। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্যাতিত নিপীড়িত ও মামলায় জর্জরিত এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে মুরাদনগর যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মুরাদনগরের বিএনপিমনা সাধারণ মানুষও খুশি। গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মুরাদনগরে নতুন কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।

এদিকে মুরাদনগর যুবদলের কমিটিকে নানাভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত একটি বিরোধী গ্রুপ। মূলত যারা নিজেদের ব্যর্থতার কারণে পদ পাননি, তারাই এই চক্রান্ত করছে। অথচ যুবদলের নতুন কমিটিতে যারা পদ পেয়েছেন তাদের কমবেশি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪ থেকে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। অনেকেই জেল খেটেছেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নং আকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, যুবদলের নতুন কমিটি খুবই ভালো হয়েছে। কমিটিতে যাদেরকে রাখা হয়েছে তারা সবাই নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ। প্রত্যেকের নামে সর্বনিম্ন ৪টা থেকে ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সুতরাং নির্যাতিত লোকদের সমন্বয়ে একটি নতুন কমিটি দেয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই

জানা গেছে, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন বিএনপির একটি শক্তিশালী দুর্গ হিসেবে পরিচিত। অতীতে এই আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে তিনবার সহ মোট ৫ বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। কিন্তু মুরাদনগরে বিএনপির রাজনীতি এখন বিভক্ত। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন কায়কোবাদ। তখন থেকেই বিএনপি ও তার বিরদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। যারা এমপি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখেন তারা কায়কোবাদকে বাধা মনে করেন। ২০০১ সালে কায়কোবাদ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। তার প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে ফেল করেন। এছাড়া গোলাম কিবরিয়া বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এসব কারণে মুরাদনগরে বিএনপিতে বিভক্তির কাজ করছে একটি চক্র।

অথচ গত ২২ বছর মুরাদনগরে বিএনপির রাজনীতিকে আগলে রেখেছেন কায়কোবাদ। রাজনৈতিক কারণে তিনি দেশে না থাকায় মুরাদনগরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন তার প্রতিপক্ষরা। এর পেছনে মূলত সরকারদলীয় এমপি ও প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদদে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যিনি মুরাদনগরে না গিয়েও ঢাকায় থেকেই নানাভাবে সরকারের ক্ষমতাশালীদের সাথে আঁতাত করে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছেন।

ড. শাহিদা রফিকর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের অনমুতি নিয়েই বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। কিছুদিন পূর্বে যুবদলের নতুন কমিটি দেয়ার খবর আমি জানিনা। কেন্দ্রে আমি যোগাযোগ করেছি, তারা কিছুই বলেনি। গত ১৫ বছর ধরে মুরাদনগরে বিএনপিসহ কোনো অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি নেই।

তবে বছরের শুরুতে বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির তিন পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কর্মীবান্ধব নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ তৃণমূল পর্যন্ত নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুরাদনগরে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০/৬০টি মামলায় আনুমানিক ৪ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। কায়কোবাদ সকল মামলা ও জেলের খরচ, আসামিদের বাসা-বাড়ির খরচ নিয়মিতভাবে প্রদান করে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেন। এতে করে কর্মীরা তার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট।

অভিযোগকারীদের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটি মনে করে অভিযোগকারীদের কেউ হয়তোবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে। আর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিককে অভিযোগকারীগণ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। এটি অনস্বীকার্য যে, সাবেক এমপি কায়কোবাদ বিএনপির একজন পরীক্ষিত ও প্রবীণ নেতা। দলের জন্য ও স্থানীয় মুরাদনগরবাসীর কাছে তিনি এখনো সমানতালে জনপ্রিয়। অঙ্গসংগঠনগুলো সুচারুভাবে পরিচালনায় উনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ তৌফিক মীর বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন কমিটি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত। যার পেছনে স্থানীয় এমপির ভুমিকা রয়েছে।

মুরাদনগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার বলেন, স্থানীয় সরকারদলীয় এমপির সহায়তায় স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপিকে ধ্বংস ও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার পেছনে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মনির মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর উপজেলা যুবদলের কমিটি যুগোপযোগী হয়েছে।

জাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে দীর্ঘদিন পর উপজেলা যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি খুবই ভালো হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে আশা করি।